RapidX Train: ‘বন্দে ভারতে’র থেকেও দ্রুত ছুটবে লোকাল ট্রেন! দাঁড়াবে সব স্টেশনে
Indian Railways: রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি রেকে থাকবে ছয়টি কামরা। এর মধ্যে একটি প্রিমিয়াম কামরা ও বাকি পাঁচটি স্টান্ডার্ড কামরা থাকবে। একটি স্ট্য়ান্ডার্ড কামরা সংরক্ষিত থাকবে মহিলা যাত্রীদের জন্য। যারা প্রিমিয়াম ক্লাসের টিকিট কাটবেন, তাদের জন্য স্টেশনে আলাদা একটি ওয়েটিং লাউঞ্জও থাকবে।
নয়া দিল্লি: এক ঝলকে দেখলে মনে হবে বিমান আসন। এটি যে আসলে ট্রেনের কামরা, তা দেখে বোঝা দায়। হ্যাঁ, এমনটাই ঝা চকচকে রূপে আসতে চলেছে র্যাপিডএক্স ট্রেন (RapidX Train)। বন্দে ভারতের (Vande Bharat) পর এবার আসছে আরও এক দ্রুতগতির ট্রেন। মেট্রো ও ট্রেনের সংমিশ্রণ হবে এই ট্রেন। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে র্যাপিডএক্স। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে চলবে এই ট্রেন। ইতিমধ্যেই রেক তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার প্রকাশ্যে এল এই ট্রেনের কামরাগুলির ফার্স্ট লুক।
গত সপ্তাহের শুক্রবারই উদ্বোধন হয় দিল্লি-মিরাট র্যাপিড রেল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের। বর্তমানে ট্রায়াল রান চলছে এই ট্রেনের। আর সেখানেই দেখা গেল, কেমন হতে চলেছে এই ট্রেনের অন্দরসজ্জা। ঠিক বিমানে যেমন নরম গদি রিক্লাইনার সিট থাকে, তেমনই আসন র্যাপিড ট্রেনের। এছাড়াও ট্রেনে থাকবে ডিজিটাল স্ক্রিন, যেখানে যাত্রীরা দেখতে পাবেন ট্রেনটি কোন রুট দিয়ে যাচ্ছে এবং পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছতে কত সময় লাগবে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি রেকে থাকবে ছয়টি কামরা। এর মধ্যে একটি প্রিমিয়াম কামরা ও বাকি পাঁচটি স্টান্ডার্ড কামরা থাকবে। একটি স্ট্য়ান্ডার্ড কামরা সংরক্ষিত থাকবে মহিলা যাত্রীদের জন্য। যারা প্রিমিয়াম ক্লাসের টিকিট কাটবেন, তাদের জন্য স্টেশনে আলাদা একটি ওয়েটিং লাউঞ্জও থাকবে।
#RAPIDX trains come with a host of commuter-centric features like Cushioned seats, Grab handles, Luggage racks, Device charging points, and Auto light control to make your travel comfortable & memorable. #RRTS #NewIndia #makeinindia #AtmanirbharBharat #publictransport @NDB_int… pic.twitter.com/8zjIQ9NAjA
— National Capital Region Transport Corporation Ltd. (@officialncrtc) October 16, 2023
শুধু যাত্রীদের ক্ষেত্রেই নয়। র্যাপিডএক্স ট্রেনের ৫০ শতাংশ মহিলা কর্মী থাকবেন। দিল্লি-মিরাট রুটের এই ট্রেনে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়, তাও নিশ্চিত করবে রেল।
ভারতীয় রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকে এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে এই ট্রেন চলবে। প্রতিটি স্টপেজে বা স্টেশনে মাত্র ৩০ সেকেন্ড দাঁড়াবে।
রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সাধারণ ট্রেন ও মেট্রোর থেকে আলাদা হবে। দিল্লি থেকে মিরাটের রুটে মোট ১৪টি স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে এই ট্রেনের। গড় গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থাকবে। ট্রায়াল রানের সময়ে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৪৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর তৈরি করতে খরচ হবে ৩০ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। যেখানে লোকাল ট্রেনে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে দিল্লি থেকে মিরাট যেতে, সেখানেই র্যাপিড ট্রেনে সময় লাগবে ৫৫ থেকে ৬০ মিনিট। আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যেই করিডর তৈরি হয়ে যাবে।