Budget 2024: মন্দার বাজারে ঋণ শোধ করতে নাভিশ্বাস উঠছে, বাজেট থেকে কী প্রত্যাশা ছোট ব্যবসায়ীদের?
Budget 2024: লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতিকে সঙ্গী করে বিগত কয়েক মাসে হু হু করে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। সে কারণেই যে কোনও ছোটখাটো ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে গেলেও বাড়ছে খরচ। একইসঙ্গে নাভিশ্বাস উঠছে ব্যয়বহুল ঋণের শর্তে।
কলকাতা: দেশের রফতানির প্রায় ৪৫ শতাংশই হয় MSME সেক্টর থেকে। দেশের GDP-তে অংশীদারিত্ব প্রায় ২৯ শতাংশ। কিন্তু, আসন্ন বাজেটে এই ক্ষেত্রের ব্যবসায়ীদের কথা কী নতুন করে ভাববে সরকার? রফতানিকারকদের জন্য মিলবে সস্তায় ঋণ? ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আটকানো যাবে লাল ফিতের ফাঁস? বন্ধক ছাড়াই মিলবে ঋণ? পেমেন্ট বকেয় থাকলে ঋণের মাসিক কিস্তিতে ছাড় কী মিলবে? অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের হাত ধরে বাজেট পেশের আগে এই প্রশ্নগুলিই এখন সবথেকে বেশি ঘোরা ফেরা করছে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীদের মনে। সামনেই আবার লোকসভা নির্বাচন। সে কারণে এবারের বাজেট থেকে বড় প্রত্যাশা যে রয়েছে বাণিজ্য মহলের একটা বড় অংশের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে মোদী সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার।
প্রসঙ্গত, লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতিকে সঙ্গী করে বিগত কয়েক মাসে হু হু করে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। সে কারণেই যে কোনও ছোটখাটো ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে গেলেও বাড়ছে খরচ। একইসঙ্গে নাভিশ্বাস উঠছে ব্যয়বহুল ঋণের শর্তে। সে কারণেই মুনাফা কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। শুধু ভারত নয় বিশ্বব্যাপী মন্দার জেরে সবথেকে বেশি মার খাচ্ছে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলি। বড় বড় সংস্থাগুলির মতো চাইলেই দাম বাড়াতে পারছে না পণ্যের। বাড়ালেই কমছে বিক্রি। ধার-বাকি-ঋণ মেটাতে গিয়ে বাড়ছে চাপ। সামান্য উত্থান-পতনেই একেবারে ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এই অবস্থারই পরিবর্তন চাইছেন এখনকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চাইছেন ঋণের শর্তে বদল।
আপাতত এই ধরনের ছোট ব্যবসায়ীরা এবারের বাজেটে সরকারের কাছে তিনটি প্রত্যাশা রাখছেন। প্রথমত, ক্ষুদ্রশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চাইছেন সস্তা ঋণ। দ্বিতীয়ত, তাঁদের একটা বড় অংশ চাইছেন রফতানির জন্য ব্যাঙ্ক সস্তায় ঋণ দিক, বা বন্ধক ছাড়াই ঋণ দেওয়া হয়। তৃতীয়ত, ছোট হোক বা বড় যে কোনও ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীকে আগুন, শ্রম, দূষণ, EPFO সহ ৩০ টিরও বেশি সরকারি বিভাগের গ্রিন সিগন্যাল নিতে হয়। অনেকেই মনে করছেন পুরো বিষয়টা যদি শীঘ্রই এক ছাতার তলায় আনা যায় তাহলে আবেদনকারীদের সময় ও অর্থ দুই বাঁচবে। যদিও এখন দেখার সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়।