RBI Rules: অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স নেই? আর জরিমানা করতে পারবে না ব্যাঙ্ক, RBI-র নির্দেশ
Minimum Account Balance Rule: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও আর্থিক লেনদেন না হলে, এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখার জন্য জরিমানা করতে পারবে না ব্যাঙ্ক।
নয়া দিল্লি: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই, এদিকে ন্যূনতম ব্যালেন্স (Minimum Balance in Bank Account) বজায় না রাখার জন্য জরিমানা করছে ব্যাঙ্ক? এবার আর চিন্তা নেই। ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখার জন্য আর জরিমানা করতে পারবে না ব্যাঙ্ক (Bank)। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও আর্থিক লেনদেন না হলে, এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখার জন্য জরিমানা করতে পারবে না ব্যাঙ্ক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে আরও জানানো হয়েছে, স্কলারশিপ বা অন্য কোনও প্রকল্পের টাকা জমা পড়ে, সেই অ্যাকাউন্টগুলিতেও দুই বছর ধরে লেনদেন না হলে, ব্যাঙ্ক সেই অ্যাকাউন্টকে ‘ইনঅপারেটিভ’ বলে গণ্য করতে পারবে না।
ইনঅপারেটিভ অ্য়াকাউন্ট বা অ-ব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নতুন সার্কুলার জারি করা হয়েছে। মূলত দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে দাবিদারহীন যে বিপুল অঙ্ক জমা রয়েছে, তা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ডিপোজিট কমানো ও যোগ্য মালিক বা অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের কাছে তাদের প্রাপ্য় টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কী বলা হয়েছে আরবিআই-র নতুন নিয়মে?
নতুন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনও অ্যাকাউন্ট দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকে, তবে ব্যাঙ্ক-কে এসএমএস, চিঠি বা ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যদি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ না করা যায়, তবে ওই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নমিনির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
যে অ্যাকাউন্টগুলি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে, তাতে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখার জন্য় ব্য়াঙ্ক কোনও জরিমানা নিতে পারে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ মাস অবধি দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ৪২ হাজার ২৭২ কোটি টাকা জমা রয়েছে, যার কোনও দাবিদার নেই। গত বছর এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। এক বছরেই দাবিদারহীন ডিপোজিটের পরিমাণ বেড়েছে ২৮ শতাংশ।