Investment Scheme: পোস্ট অফিসে মাসিক স্কিম নাকি SBI-র বার্ষিক স্কিম, কোন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করলে বেশি রিটার্ন পাবেন?
Investment Scheme: প্রতিমাসেই উপার্জিত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কোথাও বিনিয়োগ করা যায়, তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর তা সুদে আসলে ফেরত পাওয়া যায়।
নয়া দিল্লি: শুধুমাত্র বর্তমানে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যই নয়, ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যেও আমরা উপার্জন করি। উপার্জিত অর্থ যেমন ব্যায় হবে, তেমনই আবার বিশেষ পরিস্থিতি বা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও প্রয়োজন। প্রতিমাসেই উপার্জিত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কোথাও বিনিয়োগ করা যায়, তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর তা সুদে আসলে ফেরত পাওয়া যায়। যারা বিনিয়োগ করে বেশি রিটার্নের আশা করেন, বিশেষত বয়স্করা অধিকাংশই পোস্ট অফিসে মাসিক টাকা জমা রাখার প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। অন্যদিকেই আবার একাংশের পছন্দ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার অ্যানুয়িটি ডিপোজিট স্কিম। কোন খাতে টাকা জমা রাখলে আপনি বেশি লাভবান হবেন, দেখে নিন-
এসবিআই অ্যানুয়িটি ডিপোজিট স্কিম-
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এই স্কিমে একবারেই মোটা অঙ্কের একটি টাকা আপনি জমা রাখতে পারেন। মেয়াদ শেষে আপনি জমা অর্থের পাশাপাশি মোটা অঙ্কের রিটার্নও পাবেন। মূলত এসবিআইয়ের এই ডিপোজিটের মেয়াদ ৩৬, ৬০, ৮৪ ও ১২০ মাসের হয়। এই স্কিমের আরও একটি বড় সুবিধা হল নাবালকরাও এই স্কিমের সুবিধা পান। একক বা অভিভাবকের সঙ্গে যুগ্ম অ্যাকাউন্টে এই বিনিয়োগ করা যায়।বর্তমানে এই স্কিমে সুদের হার ৫.৪৫ শতাংশ থেকে ৫.৫০ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার ৫.৯৫ শতাংশ থেকে ৬.৩০ শতাংশ। স্কিমের মেয়াদকালের উপরে সুদের হার নির্ভর করে। এই স্কিমে আরও একটি সুবিধা হল এতে ৭৫ শতাংশ অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ঋণ বা ওভারড্রাফ্ট হিসাবে তোলা যায়। ১৫ লাখ টাকার বেশি জমা রাখলে, স্কিমের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই টাকা তোলা যাবে। তবে এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক জরিমানা দিতে হবে।
পোস্ট অফিস মাসিক বিনিয়োগ স্কিম-
প্রাপ্তবয়স্করা পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা জমা রাখতে পারেন। এছাড়া ১০ বছরের উপরে নাবালক-নাবালিকারাও অভিভাবকের সঙ্গে যুগ্ম অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখতে পারে। এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম ১ হাজার টাকা ডিপোজিট করতে হয়। সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে টাকা বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা ৪.৫ লাখ টাকা এবং যুগ্ম অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৯ লক্ষ টাকা। পোস্ট অফিসে বার্ষিক ৬.৬ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। ৫ বছর এই স্কিমের মেয়াদ। একবার বিনিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আপনি ফের ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই বিনিয়োগকারীর মৃত্যু হয়, তবে নমিনি বা আইনিভাবে উত্তরাধিকারীকে জমা অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে। যদি তিন বছরের আগেই কেউ ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়, তবে ২ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়।