TCS-এর ঘুষের বিনিময়ে চাকরি, বরখাস্ত ৬ কর্মী, নিষিদ্ধ ৬ নিয়োগকারী সংস্থাও
TCS recruitment bribe case: six employees sacked, six business associate firms banned, says N Chandrasekaran
নয়া দিল্লি: গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস (TCS)-এ ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার এই বিষয়ে সরাসরি মুখ খুললেন সংস্থার চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ছয়জন কর্মী এবং ছয়টি ব্যবসায়িক সহযোগী ফার্ম বা কর্মী নিয়োগের ফার্মকে নিষিদ্ধ করেছে টিসিএস। ২৯ জুন ছিল টিসিএস-এর বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানে, এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন শেয়ারহোল্ডাররা। সেখানেই চন্দ্রশেখরন বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, এই ক্ষেত্রে ছয়জন কর্মী অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা কী কী সুবিধা আদায় করেছে, তা আমরা জানতে পারিনি। তবে, তারা যে কয়েকটি নির্দিষ্ট সংস্থার প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে, এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। আমরা ওই ছয় কর্মী এবং ছয়টি ব্যবসায়িক সহযোগী সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছি। আরও তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।”
টিসিএস চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীক সহযোগী ফার্মগুলি থেকে সংস্থায় কর্মী সরবরাহের ক্ষেত্রে কোথাও দুর্বলতা রয়েছে, তা পরীক্ষা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রশেখরন আরও বলেছেন, “টাটা গোষ্ঠীর যে কোনও সংস্থার কাছেই কর্মচারীদের নৈতিকতা এবং সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীরা নৈতিক আচরণ করবেন এবং তাঁদের কাজের প্রতি সত থাকবেন, আমরা সেটাই চাই। অন্যান্য যে কোনও পারফরম্যান্সের থেকে কর্মীদের এই দুই বিষয় আমরা সবথেকে বেশি দেখি। তাই যখনই কোনও কর্মী অনৈতিক আচরণ করে, আমি এবং আমাদের সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্তারা খুবই আঘাত পাই। আমাদের খুব দুঃখ হয়। আমরা এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত কড়া। এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করব।”
প্রায় মাসখানেক আগে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, সংস্থার কয়েকজন কর্মী কিছু কর্মী সরবরাহ সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশ করে নিজেদের পছন্দ মতো কর্মী নিয়োগ করছে। তার বিনিময়ে সংস্থাগুলির থেকে মোটা আর্থিক সহায়তা নিচ্ছে তারা। এই অনৈতিক কাজে যুক্তরা প্রত্যেকেই উচ্চপদস্থ কর্মী বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। এই বাআইনি কাজ-কারবার গত বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছিল। এই অভিযোগ পেয়েই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল টিসিএস। দলের নেতৃত্বে ছিলেন চিফ ইনফরমেশন সিকিওরিটি অফিসার অজিত মেনন। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই অভিযুক্ত কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়।