India-EFTA trade pact: মোদীর এক চুক্তিতেই ম্যাজিক, দাম কমছে সুইস ঘড়ি, চকলেট, ওয়ইন আরও কত কিছুর

India-EFTA trade pact: রবিবার, চার ইউরোপীয় দেশের গোষ্ঠী, ইএফটিএ (EFTA)-র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। এই চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড থেকে ভারতে আমদানী করা পণ্যগুলির উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করতে চলেছে ভারত। ফলে, এই পণ্যগুলির দাম করতে চলেছে। কী কী পণ্য সস্তা হচ্ছে? দেখে নিন এক নজরে।

India-EFTA trade pact: মোদীর এক চুক্তিতেই ম্যাজিক, দাম কমছে সুইস ঘড়ি, চকলেট, ওয়ইন আরও কত কিছুর
ভারতে কমছে সুইস পণ্যের দামImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2024 | 10:40 AM

নয়া দিল্লি: মোদী সরকারের এক চুক্তিতেই ম্যাজিক। এক ধাক্কায় দেশিয় বাজারে দাম কমছে ঘড়ি, চকলেট, বিস্কুটের মতো সুইজারল্যান্ডে তৈরি উচ্চ মানের পণ্যাদির। রবিবার, চার ইউরোপীয় দেশের গোষ্ঠী, ইএফটিএ (EFTA)-র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। এই চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড থেকে ভারতে আমদানী করা পণ্যগুলির উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করতে চলেছে ভারত। ফলে, এই পণ্যগুলির দাম করতে চলেছে। আইসল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড – এই চার দেশ ইএফটিএ গোষ্ঠীর সদস্য। কাজেই, সুইস পণ্যগুলির পাশাপাশি বাকি তিন দেশ থেকে আসা পণ্যগুলির দামও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমতে পারে।

ইকোনমিক থিঙ্কট্যাঙ্ক, ‘গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই চুক্তির আওতায় সুইজারল্যান্ড থেকে আসা বেশ কিছু পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমতে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে টুনা, স্যামনের মতো সিফুড, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ফলাদি, কফি, বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি-চকোলেট, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ওয়াইন, হাতঘড়ি, দেওয়াল ঘড়ি, স্মার্টফোন, সাইকেলের যন্ত্রাংশ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, রঞ্জক, বস্ত্র, পোশাক, লোহা ও ইস্পাতের তৈরি পণ্যাদি, যন্ত্রাংশ ইত্যাদি।

গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “এই চুক্তিতে ৭ থেকে ১০ বছরের মেয়াদে বেশ কিছু উচ্চ মানের সুইস পণ্যের উপর আমদানী শুল্ক প্রত্যাহার করেছে ভারত। তাই, শিগগিরই এই সকল পণ্য অত্যন্ত সস্তায় মিলবে ভারতে। যেমন ধরুন, যে সকল ওয়াইনের দাম ৫ থেকে ১৫ ডলারের মধ্যে, সেগুলির দাম প্রথম বছরেই ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। আর তারপরের ১০ বছরে ধীরে ধীরে আরও ৫০ শতাংশ দাম কমবে সেগুলির। একইভাবে কাটা এবং পালিশ করা হিরের দামও ২.৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।”

সুইজারল্যান্ড থেকে ভারত সবথেকে বেশি যে জিনিসটি আমদানী করে, তা হল সোনা। প্রতি বছর প্রায় ১২৬ কোটি টাকার সোনা আমদানী করা হয় এই দেশ থেকে। অথচ, সোনা আমদানীর দামই খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি। এখনও সোনা আমদানী করতে গেলে ১৫ শতাংশ আমদানী শুল্ক দিতে হবে। সোনা ছাড়া যে পণ্যগুলো সুইজারল্যান্ড থেকে বেশি বেশি করে আমদানী করে ভারত, তার মধ্যে রয়েছে – যন্ত্রাংশ, ওষুধ, কয়লা, চোখ ও হাড়ের চিকিৎসার সরঞ্জামাদি, সয়াবিন তেল এবং চকোলেট।