Twitter: অফিসে দুর্গন্ধে টেকা দায়, বাড়ি থেকে টয়লেট পেপার নিয়ে যাচ্ছেন টুইটারের কর্মীরা, কেন জানেন?

Elon Musk: খরচ কমানোর জন্যই ইলন মাস্ক টুইটারের সদর দফতরের জ্যানিটর বা সাফাইকর্মীদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতিই তারা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এরপরই সকল সাফাই কর্মীকে একসঙ্গে তাড়িয়ে দেন মাস্ক।

Twitter: অফিসে দুর্গন্ধে টেকা দায়, বাড়ি থেকে টয়লেট পেপার নিয়ে যাচ্ছেন টুইটারের কর্মীরা, কেন জানেন?
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2023 | 12:36 PM

সান ফ্রান্সিসকো: খরচ কমাতে অদ্ভুত অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে টুইটার (Twiiter) সংস্থাকে কিনে নেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। অক্টোবর মাসে মালিকানা অধিগ্রহণ করার পরই তিনি টুইটারকে লাভজনক বানাতে ও সংস্থার পরিচালনের জন্য খরচ কমাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরমধ্যে অন্যতম ছিল ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই। যারা ছাঁটাইয়ের পরও সংস্থায় টিকে গিয়েছেন, তাঁরাও জানিয়েছেন, উদ্ভট বিভিন্ন নিয়ম মানতে বাধ্য করাচ্ছেন মাস্ক। তুলে নেওয়া হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। টুইটারের অফিসগুলির ভাড়াও দিচ্ছেন না ইলন মাস্ক। তবে এবার যে তথ্য সামনে এল, তা শুনে চোখ কপালে ওঠার জো। জানা গিয়েছে, টুইটারের সান ফ্রান্সিসকো অফিসে যারা কাজ করেন, তারা বাড়ি থেকে টয়লেট পেপার নিয়ে আসছেন। কারণ সেই অফিসে বাথরুম পরিষ্কার করার মতো কেউ নেই।

জানা গিয়েছে, খরচ কমানোর জন্যই ইলন মাস্ক টুইটারের সদর দফতরের জ্যানিটর বা সাফাইকর্মীদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতিই তারা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এরপরই সকল সাফাই কর্মীকে একসঙ্গে তাড়িয়ে দেন মাস্ক। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের জেরে বিপদে পড়েছেন টুইটারের কর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, সাফাই কর্মী না থাকায় অফিস জুড়ে দুর্গন্ধ। বাথরুমগুলির করুণ দশা। টয়লেট পেপার বদলের মতো একজন লোকও না থাকায়, তারা বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকেই নিজেদের ব্যবহারের জন্য টয়লেট পেপার আনছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টুইটার কর্মীরা জানিয়েছেন, ইলন মাস্কের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েই চাকরি ছেড়েছেন সংস্থার সাফাই কর্মীরা। তারপর থেকেই বাথরুম ও ক্যান্টিন থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ডাস্টবিনগুলি উপচে পড়ছে উচ্ছিষ্ট খাবারে। বাথরুমেও গন্ধে টেকা দায়। সপ্তাহের পর সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বাথরুম পরিষ্কার করার মতো কেউ নেই। অফিস এতটাই নোংরা হয়ে গিয়েছে যে অফিসের চারটি তলের বাথরুম বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বর্তমানে মাত্র দুটি বাথরুম খোলা রয়েছে কর্মীদের ব্যবহারের জন্য।