Nitin Gadkari: ‘রিলায়েন্সের টেন্ডার খারিজ করে ২ হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়েছিলাম’, অভিজ্ঞতা থেকেই বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ গড়করীর
Nitin Gadkari Shares his Experience: তিনি বলেন, "আজকের এই কনফারেন্স আমায় ১৯৯৫ সালে রাজ্য মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেস হাইওয়ের জন্য আমি যখন রিলায়েন্সের টেন্ডার খারিজ করে দিয়েছিলাম, তখন ধীরুভাই অম্বানী আমার উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।"
মুম্বই: অ্যামাজ়ন-ফিউচার গ্রুপের চুক্তি (Amazon-Future Retail Deal) স্থগিত হতেই উদ্বেগে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা (Investors)। বড় প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেলে তাদের বিনিয়োগ করা টাকার কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রাতের ঘুম উঠেছে অনেকেই। তবে শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করী (Nitin Gadkari) বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “পরিকাঠামো প্রকল্প আটকে গেলে নিজেদের রিটার্ন নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
শুক্রবার মুম্বইয়ে পরিবহন ও সম্পর্কিত ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে একটি জাতীয় কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গড়করী। সেখানেই তিনি বলেন, “আজকের এই কনফারেন্স আমায় ১৯৯৫ সালে রাজ্য মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেস হাইওয়ের জন্য আমি যখন রিলায়েন্সের টেন্ডার খারিজ করে দিয়েছিলাম, তখন ধীরুভাই অম্বানী আমার উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তৎকালীন যিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি এবং বালাসাহেব ঠাকরেও খুব রাগ করেছিলেন। ওনারা আমায় প্রশ্ন করেছিলেন যে কেন আমি এইরকম করলাম? আমি তখন বলেছিলাম আমরা এই প্রকল্পের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই টাকা তুলব এবং বান্দ্রা-ওরলি সি লিঙ্কের মতো অন্যান্য় প্রকল্প থেকেও টাকা পাব। তখন সবাই আমার উপর হেসেছিল।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “মনোহর জোশী (মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী) আমায় বলেছিলেন, আমি যা বলছি, তা যেন করে দেখাই। আমরা এমএসআরডিসি তৈরি করি সেই সময়, আমি চেয়ারম্য়ান হয়েছিলাম। আমরা হাতে ল্য়াপটপ নিয়ে চেম্বার অব কমার্সে গিয়েছিলাম বিনিয়োগের জন্য আবেদন করতে। সেই সময় ল্যাপটপ নতুন এসেছিল। আমার এইসব মনে আছে, কারণ তখন আমাদের বিনিয়োগকারীর কাছে যেতে হত, আর এখন বিনিয়োগকারীরাই আমাদের কাছে আসেন।”
পরিকাঠামো প্রকল্প থেকে কত টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি এই উদাহরণটা দিচ্ছি বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। সেই সময় ওই প্রকল্পের জন্য রিলায়েন্স ৩৬০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলাম এবং এমএসআরডিসির মাধ্যমে সেই প্রকল্প ১৬০০ কোটি টাকায় শেষ করেছিলাম। অর্থাৎ আমরা ২০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছিলাম। মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রকল্প থেকেই ৩০০০ কোটি টাকা লাভ করেছিল। দেড় বছর আগেই মহারাষ্ট্র সরকার ওই প্রকল্প থেকেই ৮০০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন ১৬০০ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পে মুদ্রাকরণের মাধ্য়মে প্রথমে ৩,০০০ এবং দ্বিতীয়বারে ৮০০০ কোটি টাকা লাভ সম্ভব। তাই এই ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ করা অর্থ নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন।”
কোনও প্রকল্পের কাজ আটকে গেলে, তা নিয়েও বিনিয়োগকারীদের চিন্তা করতে বারণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০১৪ সালের আগে বিভিন্ন প্রকল্প জমি জটের কারণে আটকে যেত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ৯০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকা অবধি আমরা কোনও প্রকল্প মঞ্জুর করব না। এরফলে কোনও প্রকল্প নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলেও, তা দ্রুতই সমাধান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।”