Income Tax: ব্যাঙ্কে মোটা টাকা ফিক্সড ডিপোজিট, ক্রেডিট কার্ডে দেদার শপিং? আয়কর ফাঁকি দিচ্ছেন না তো?

Income Tax: ছোটখাটো লেনদেন নয়, একটি নির্দিষ্ট সীমার উপরে লেনদেন হলে, তবেই তা আয়কর বিভাগের নজরদারির আওতায় পড়ে। করদাতারা যাতে নিজেদের বকেয়া কর নিয়ে সচেতন হন এবং নির্দিষ্ট সময়ে কর প্রদান করেন, তার জন্য নিয়মিত মেসেজ ও ই-মেইলও পাঠানো হয়।

Income Tax: ব্যাঙ্কে মোটা টাকা ফিক্সড ডিপোজিট, ক্রেডিট কার্ডে দেদার শপিং? আয়কর ফাঁকি দিচ্ছেন না তো?
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2022 | 8:00 AM

নয়া দিল্লি: একটি নির্দিষ্ট সীমার উপরে আয় করলে বা আর্থিক লেনদেন হলেই আয়কর বিভাগকে কর দিতে হয়। তবে অনেকেই আয়কর নিয়ে সচেতন নন। সঠিক সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে, আইনি নোটিস, গ্রেফতারি অবধি গড়াতে পারে জল। সেই কারণেই আয়কর দাখিল করার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে শুধুমাত্র আয়কর দাখিলই নয়, আর্থিক লেনদেনের উপরেও আয়কর বিভাগ বিশেষ নজর রাখে। সুতরাং কোন কোন লেনদেনের ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে জানানো জরুরি, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।

একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেই আয়কর বিভাগ আর্থিক লেনদেনের উপরে নজরদারি শুরু করেছে। তবে ছোটখাটো লেনদেন নয়, একটি নির্দিষ্ট সীমার উপরে লেনদেন হলে, তবেই তা আয়কর বিভাগের নজরদারির আওতায় পড়ে। করদাতারা যাতে নিজেদের বকেয়া কর নিয়ে সচেতন হন এবং নির্দিষ্ট সময়ে কর প্রদান করেন, তার জন্য নিয়মিত মেসেজ ও ই-মেইলও পাঠানো হয়।

কোন কোন লেনদেনে নজর থাকে আয়কর বিভাগের?

সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডিপোজিট: কোনও অর্থবর্ষে যদি সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হয়, তবে সেক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক। একইভাবে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে কোনও অর্থবর্ষে যদি ৫০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হয়, তবে সেই ক্ষেত্রেও আয়কর বিভাগকে সেই লেনদেনের তথ্য জানাতে হয় এবং নির্দিষ্ট অঙ্কের করও দিতে হয়।

ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট- অনেকেই মনে করেন ফিক্সড ডিপোজিটে যত ইচ্ছে অর্থ জমা রাখা যায়। এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে কোনও তথ্য জানাতে হয় না। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ১০ লক্ষ টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিটে জমা রাখলেই, সে সম্পর্কে আয়কর বিভাগকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ককেও সতর্ক থাকতে হবে। এক বা একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট মিলিয়ে যদি জমা রাখা টাকার অর্থ ১০ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বসীমা ছাড়ায়, তবে আয়কর বিভাগের ফর্ম ৬১ এ ফিলআপ করে সেই তথ্য অবশ্যই জানাতে হবে।

ক্রেডিট কার্ডের বিল- যদি ক্রেডিট কার্ড ব্য়বহার করে ১ লক্ষ টাকার বেশি কোনও লেনদেন বা পেমেন্ট হয়, সেক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক। আয়কর বিভাগ ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের উপরে নজর রাখে। যদি কেউ ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট লুকানোর চেষ্টা করেন, তবে আয়কর বিভাগের তরফে নোটিস পাঠানো হবে।

স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচা- যেকোনও স্থাবর সম্পত্তি, যার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকার বেশি, তা কেনা বা বেচার সময়ে অবশ্যই আয়কর দফতরকে জানাতে হয়।

শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড,বন্ড- যেকোনও শেয়ার, স্টক, বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এক অর্থবর্ষে আর্থিক লেনদেন ১০ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। যদি তার বেশি লেনদেন হয়, তবে ফর্ম ২৬এ পূরণ করতে হবে।

বিদেশি মুদ্রার বিক্রয়- যদি কেউ বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে কোনও অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ বা তার বেশি লেনদেন হলেই, তা আয়করের আওতায় পড়ে।