Bihar Professor: বিশ্ববিদ্যালয়ের পিওন থেকে একলাফে অধ্যাপক! কমলের গল্প যেন হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য

Assistant Professor: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি আবার পড়াশুনো শুরু করেন। সেখান থেকে ২০০৯ সালে তিনি আম্বেদকর চিন্তা এবং সমাজবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাস করেন।

Bihar Professor: বিশ্ববিদ্যালয়ের পিওন থেকে একলাফে অধ্যাপক! কমলের গল্প যেন হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্য
ছবি: সংগৃহীত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2022 | 12:15 AM

বিহার: কথায় আছে কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় দিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে, এমন বেশ কিছু উদাহরণ আমাদের আশেপাশেই রয়েছে। এবার এই কথাকে আরও একবার সত্যি বলে প্রমাণ করলেন বিহারের কমল কিশোর মণ্ডল। বিহারের তিলকা মাজি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্বেদকর চিন্তা এবং সমাজবিদ্যার স্নাতকোত্তর বিভাগে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।

ভাগলপুরের বাসিন্দা কমল নাইট গার্ড হিসেবে মুঙ্গেরের আরডি অ্যান্ড ডিজে কলেজে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ২০০৩ সালে ২৩ বছর বয়সে তিনি ওই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে তিলকা মাজি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্বেদকর চিন্তা এবং সমাজবিদ্যা বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, এবং সেখানে তিনি পিওনের পদে পদোন্নতি পান।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি আবার পড়াশুনো শুরু করেন। সেখান থেকে ২০০৯ সালে তিনি আম্বেদকর চিন্তা এবং সমাজবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাস করেন। কিন্তু এমএ পাশ করে থেমে থাকতে চাননি কমল, তিন বছরেরে চেষ্টার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে পিএইচডি করার অনুমতি দেয়। ২০১৩ সালে পিএইচডি শুরু করে ৪ বছর পর তিনি তা শেষ করেন। এর পাশাপাশি ইউজিসি পরিচালিত নেট পরীক্ষা তিনি পাশ করেন।

২০২০ সালে কমলের কাছে আসে সুবর্ণ সুযোগ, বিহার স্টেট ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশন তিলকা মাজি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিওনের চাকরি করতেন কমল। তিনি পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০২২ সালে পরীক্ষার ফল বেরোতেই দেখা যায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁকে তিলকা মাজি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ করা হয়। যে বিভাগে তিনি পিওনের চাকরি করতেন, সম্পূর্ণ নিজের দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমে অধ্যাপনার সুযোগ পান কমল।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে কমল জানিয়েছেন তাঁর বাবা এখনও রাস্তার ধারে ছোট দোকানে চা বিক্রি করেন। কমল বলেন, “আমি কখনও দারিদ্র ও পারিবারিক সমস্যাকে আমি আমার পড়াশুনোর মাঝে আসতে দিই নি। সকালে ক্লাস করার পর আমি অফিস করে রাতে পড়াশুনো করেছি।” তাঁর সাফল্যের গল্প অনেককেই অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভাল থাকুন কমল।