Gujarat Exit Poll: গুজরাটে বুথ ফেরত সমীক্ষায় মোদী ম্যাজিকেরই ইঙ্গিত, কী বলছেন বিশ্লেষকরা?

Gujarat Exit Poll: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলের প্রবণতার অনুযায়ী আসন সংখ্যার নিরিখে, গুজরাটে বিপুল শক্তি বাড়িয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। 'মোদী ম্যাজিক' অব্যাহত কারণ কী?

Gujarat Exit Poll: গুজরাটে বুথ ফেরত সমীক্ষায় মোদী ম্যাজিকেরই ইঙ্গিত, কী বলছেন বিশ্লেষকরা?
ভোট দিতে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 12:38 AM

আহমেদাবাদ: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলের প্রবণতার অনুযায়ী আসন সংখ্যার নিরিখে, গুজরাটে বিপুল শক্তি বাড়িয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। TV9-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় বিজেপি পেতে পারে ১২৫ থেকে ১৩০টি আসন। নিউজএক্স এবং এবিপি-সি ভোটারের পূর্বাভাস ঠিক হলে, বিজেপি এবার প্রায় ১৪০টি আসন পেতে চলেছে। ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস জোরালো লড়াই ছুড়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের দিকে। কিন্তু, এবার তারা আসন সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে যেতে পারে। গুজরাটে এই ‘মোদী ম্যাজিক’ অব্যাহত কেন?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপির এই বিস্ময়কর ফলাফলের প্রধান কারণ আম আদমি পার্টির উপস্থিতি। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী আপ খুব বেশি আসন পাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। বেশিরভাগ সমীক্ষাই জানিয়েছে, তারা একক সংখ্যার আসন পেতে পারে। কিন্তু, তাদের জন্যই বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের জায়গায় অনেকেই কেজরীবালকে উপযুক্ত বিকল্প বলে মনে করেছেন। আর এটাই গুজরাটে বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। TV9 বাংলাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র জানিয়েছেন , “বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়লেও, ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হার সম্ভবত কমতে চলেছে। ২০২৪ সালের কথা মাথায় রাখলে এটা বিজেপির জন্য ভাল খবর নয়।”

২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ৯২। ২০১২ সালের থেকে তাদের আসন সংখ্যা কমেছিল ১৬টি। তবে একই সময়ে ২০১৭-য় তারা ভোট পেয়েছিল ৪৯.০৫ শতাংশ। ৫ বছর আগের থেকে ১.১৫ শতাংশ বেশি। TV9-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে চলতি নির্বাচনে বিজেপি পেতে পারে ৪৭ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট অনেকটাই কমতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ৫ বছর আগে যেখানে ৪১.৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, এবার TV9-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী তারা পেতে পারে, ৩৫ শতাংশ ভোট, আপের ঝুলিতে যেতে পারে ১২ শতাংশ ভোট।

আসন সংখ্যায় অনেক এগিয়ে বিজেপি

আপের এই ১২ শতাংশ ভোট প্রাপ্তিই বিজেপির ঝুলিতে আসন সংখ্যা উপচে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা শুভময় মৈত্র উল্লেখ করেছেন ২০০৬ সালের পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের কথা। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা আলাদাভাবে লড়েছিল। বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাওয়াতেই ২৩৫টি আসনে বিশাল জয় পেয়েছিল বামফ্রন্ট। ৩৩টি আসন বেড়েছিল বামেদের।

এছাড়াও, গুজরাট নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রেও কংগ্রেসের দিক থেকে ঘাটতি ছিল বলে মনে করা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যা আখেরে বিজেপির পক্ষে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-সহ বিজেপির বহু কেন্দ্রীয় নেতা গুজরাটে একের পর এক সভা করেছেন, রোডশো করেছেন। আম আদমী পার্টির হয়ে প্রচার করতে বারবার গুজরাটে এসেছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া, ভগবন্ত সিং মানরা। তাঁরা যেভাবে গুজরাটে পড়ে থেকে প্রচার করেছেন, সেই ঝাঁঝে গুজরাটে প্রচার করতে দেখা যায়নি কংগ্রেসকে। নয়া কং সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন বটে, কিন্তু গান্ধীরা যেন গুজরাটকে এড়িয়েই গিয়েছেন। রাহল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন, গুজরাটের প্রচারে সময় দিয়েছেন মাত্র দুই দিন। দেখা যায়নি সনিয়া, প্রিয়াঙ্কাদের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র বলেছেন, “গতবার অত ভাল ফল করার পর, গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারকে গান্ধীরা যেভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন, তা বিস্ময়কর। আসলে একের পর এক রাজ্যে হারের মধ্যে এখনও রাহুল গান্ধীই কংগ্রেসের একমাত্র আশার আলো। সার্বিক অন্ধকারের মধ্যে সেই আলোর বিন্দুটুকু মুছে ফেলতে চাইছেন না তাঁরা। কংগ্রেস যেন ধরেই নিয়েছিল তারা হারতে চলেছে।”