Modi invokes Kerala Story: ‘ওরা সন্ত্রাসবাদীদের পাশে…’, ভোটমুখী কর্নাটকে ‘কেরল স্টোরি’র প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে চাঁছাছোলা আক্রমণ মোদীর
Modi invokes Kerala Story: কর্নাটক নির্বাচনের আগে এক সপ্তাহও বাকি নেই। এই অবস্থায় রাজ্যে প্রচারের ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (৫ মে), বেল্লারিতে হিন্দি ফিল্ম, 'দ্য কেরল স্টোরি'-র প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের পাশে দাঁড়ানোর গুরুতর অভিযোগ করলেন তিনি।
বেঙ্গালুরু: ১০ মে কর্নাটকের নির্বাচন। তার আগে এক সপ্তাহও বাকি নেই। এই অবস্থায় রাজ্যে প্রচারের ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (৫ মে), কর্নাটকের বেল্লারিতে তাঁর বক্তব্যে উঠে এল হিন্দি ফিল্ম, ‘দ্য কেরল স্টোরি’-র প্রসঙ্গ। এই বিতর্কিত ফিল্মের প্রসঙ্গ টেনে এদিন তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের পাশে দাঁড়ানোর গুরুতর অভিযোগ করলেন। নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কেরল স্টোরি সিনেমায়, সমাজে, বিশেষ করে কেরলের মতো পরিশ্রমী, প্রতিভাবান, বুদ্ধিমানদের রাজ্যে, সন্ত্রাসবাদের পরিণাম ফাঁস করা হয়েছে। কিন্তু, কংগ্রেস দল ফিল্মটিকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করছে ওরা। ওরা আসলে শুধু নিষিদ্ধ করতেই জানে, উন্নয়নকে অবহেলা করে। আমি জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলেও এই পার্টির সমস্যা হয়।”
শুধু কংগ্রেসকে আক্রমণ করাই নয়, কেরল স্টোরি সিনেমাটিরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “আজ সন্ত্রাসবাদ নতুন চেহারা নিয়েছে। অস্ত্র-বোমা ইত্য়াদি ব্যবহারের পাশাপাশি ভিতর থেকে সমাজকে ফাঁপা করে দিতে চাইছে সন্ত্রাসবাদীরা। কেরল স্টোরি সিনেমায় সন্ত্রাসবাদের এই নয়া মুখটিকে ফাঁস করা হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন সন্ত্রাবাদের সামনে মাথা নত করেছিল কংগ্রেস। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই হিংসার শিকার হতে হয়েছে। কংগ্রেস কখনই সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেনি। কংগ্রেস কি কর্নাটককে রক্ষা করতে পারবে?” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতা দখলের জন্য সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তলায় তলায় আপোস করছে কংগ্রেস।
শুক্রবারই (৫ মে), মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য কেরল স্টোরি’। ২০২২ সালের নভেম্বরে ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই, ‘দ্য কেরল স্টোরি’ সিনেমাটি নিয়ে কেরলের বিভিন্ন অংশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ট্রেলারে দাবি করা হয়েছে, কেরল থেকে ৩২,০০০ মহিলাকে আইএসআইএস-এ নিযুক্ত করা হয়েছে। সেন্সর বোর্ডের পক্ষ থেকেও সিনেমাটিতে বেশ কিছু কাঁচি চালানো হয়েছে। অন্তত ১০টি সিন বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপর, ‘A’ অর্থাৎ, প্রাপ্তবয়স্কদের দেখার যোগ্য হিসেবে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। তারপরও, এই ফিল্মটির মুক্তি আটকাতে কেরল হাইকোর্টে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছিল। শুক্রবারই, হাইকোর্ট ফিল্মটির মুক্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করতে অস্বীকার করেছে। আদালত জানিয়েছে, ফিল্মটি সত্যি ঘটনা থেকে ‘অনুপ্রাণিত’, হুবহু সত্য ঘটনা নয়। তাছাড়া ফিল্মটিতে নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক কিছু নেই। যা অভিযোগ রয়েছে, সবই আইএসআইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ।