TV9 Kannada opinion poll: কর্নাটকে এক সপ্তাহেই হাওয়া ঘুরল বিজেপির দিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে কংগ্রেস
TV9 Kannada opinion poll: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। ভোট প্রচারের শেষ পর্যায়ে ভোটারদের মেজাজ বোঝার জন্য একটি সমীক্ষা করেছে TV9 কন্নড় ৷ এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দুটি পৃথক জনমত সমীক্ষায় ভোটারদের মনোভাবে একটি সুনির্দিষ্ট পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
বেঙ্গালুরু: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। ভোট প্রচারের শেষ পর্যায়ে ভোটারদের মেজাজ বোঝার জন্য একটি সমীক্ষা করেছে TV9 কন্নড় ৷ এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দুটি পৃথক জনমত সমীক্ষায় ভোটারদের মনোভাবে একটি সুনির্দিষ্ট পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ভোটাররা অনেকটাই বিজেপির দিকে ঝুঁকে গিয়েছেন। তবে এর ফলে আসন প্রাপ্তির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত জয় গেরুয়া শিবিরেরই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষার ফল অনুযায়ী বিজেপিই একক বৃহত্তম দল হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারে কংগ্রেস, ম্যাজিক সংখ্যা ১১৩-র থেকে বেশ কম আসন পাবে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
TV9 কন্নড়ের জনমত সমীক্ষার ফল –
দল এপ্রিলের পূর্বাভাস মে-র পূর্বাভাস রেঞ্জ
বিজেপি ১১০ ১০৫ ১০৫-১১০
কংগ্রেস ৯০ ৯৭ ৯০-৯৭
জেডি (এস) ১৯ ২২ ১৯-২২
অন্যান্য ৫ ০ ০-৫
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে TV9 কন্নড় যে সমীক্ষা করেছিল, তাতে বিজেপি ১১০টি আসন পাবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু মে মাসের প্রথম সপ্তাহে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, দেখা যাচ্ছে কর্নাটকের বর্তমান শাসক দল ১০৫ আসনেই থামবে।
অন্যদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা দুই সমীক্ষায়, কংগ্রেসের আসন সংখ্যায় ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের সমীক্ষা অনুযায়ী কংগ্রেস ৯০টি আসন পেতে পারত। মে-র প্রথম সপ্তাহে ইঙ্গিত মিলেছে কংগ্রেস পেতে পারে ৯৭ টি আসন। সমীক্ষায় আরও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, জেডিএস-এর আসন সংখ্যা ১৯ থেকে বেড়ে ২২ হচে পারে। এপ্রিলের সমীক্ষায় নির্দল ও অন্যান্যরা পাঁচটি আসন পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। মে-র প্রথম সপ্তাহের সমীক্ষা অনুসারে তারা একটিও আসন নাও পেতে পারে।
ভোটারদের সাম্প্রতিক সমস্যা-সহ ৯টি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।
বজরং দলের বিতর্ক কি কংগ্রেসের ভোট-ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলবে?
হ্যাঁ – ৫৪% না – ২৬% বলতে পারব না – ২০%
২ মে, কংগ্রেস তার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। তাতে ঘৃণা ও শত্রুতা ছড়ানোর অভিযোগে পিএফআই এবং বজরং দলের মতো সংগঠনগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদীরা কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করেছে এবং পাল্টা ‘হনুমান চাল্লিশা’ প্রচার শুরু করেছে। সমীক্ষায় ৫৩ শতাংশ ভোটার বলেছেন, এই ইস্যু নির্বাচনে কংগ্রেসের ফলাফলে প্রভাব ফেলবে। ২৬ শতাংশ বলেছেন এর কোনও প্রভাব ভোটের ফলে পড়বে না।
লিঙ্গায়ত বিতর্ক কি কংগ্রেসের ভোটের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে? হ্যাঁ – ৪৮% না – ২৮% বলতে পারব না – ২৪%
জগদীশ শেত্তার, লক্ষ্মণ সাভাড়ির মতো কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতারা টিকিট না পেয়ে দল বদল করেছেন। ভোটারদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই বিষয়টি কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনার উপর প্রভাব ফেলবে কিনা। ৪৮ শতাংশ ভোটার হ্যাঁ বলেছেন, ২৮ শতাংশ বলেছেন না।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কংগ্রেসের ব্যক্তিগত আক্রমণ কি বিজেপিকে সহানুভূতির ভোট এনে দেবে? হ্যাঁ – ৫১% না – ২৭% বলতে পারব না – ২২%
ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্কে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়্গের ‘বিষাক্ত সাপ’ মন্তব্য এবং তাঁর ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়্গের কথিত ‘নালায়েক’ মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর উপর এই ব্যক্তিগত আক্রমণগুলি বিজেপিকে সহানুভূতির ভোট এনে দেবে কিনা জিজ্ঞাসা করায়, ৫১ শতাংশ ভোটার হ্যাঁ বলেছেন, এবং ২৭ শতাংশ না বলেছেন।
মোদীর প্রচারে কি সিদ্ধান্তহীন ভোটাররা বিজেপিকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ হবেন?
হ্যাঁ – ৫২% না – ২১% বলতে পারব না – ২৭%
গত এক সপ্তাহে, প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্নাটকে জোরদার প্রচার করেছেন। ভোটারদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মোদীর উপস্থিতি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ভোটারদের বিজেপি দিকে টানবে কিনা। ৫২ শতাংশ বলেছেন হ্যাঁ, ২১ শতাংশ বলেছেন না।
২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপনি কাকে ভোট দিতে চান?
দল এপ্রিলের পূর্বাভাস মে-র পূর্বাভাস বিজেপি ৩৪% ৪৮%
কংগ্রেস ৪০% ৩৩%
জেডি (এস) ১৯% ১৪%
অন্যান্য ৭% ৫%
আসন্ন নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন, এই প্রশ্নে এপ্রিলের সমীক্ষায় ৩৪ শতাংশ জানিয়েছিলেন বিজেপিকে ভোট দেবেন। কিন্তু মে-র প্রথম সপ্তাহে বজেপিকে ভোট দিতে ইচ্ছুকের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ শতাংশ হয়েছে। এপ্রিলে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ৪০ শতাংশ, মে-র শুরুতে তা নেমে এসেছে ৩৩ শতাংশে। জেডিএস-র পক্ষে এপ্রিলে যেখানে ১৯ শতাংশ ভোটার ছিলেন, মে মাসে তা ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
ভোটার হিসাবে আপনার জন্য মূল সমস্যার বিষয় কী?
বিষয় এপ্রিল মে
রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন ৪৪% ৪৫%
কর্মসংস্থান ২৫% ২১%
দুর্নীতি ১৪% ১৩%
সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সমস্যা ৮.৫% ১৫%
DK/CS ৩.৫% ৩%
অন্যান্য ৫% ৩%
TV9 কন্নড়ের সমীক্ষা অনুসারে, এপ্রিল এবং মে মাসে যথাক্রমে ৪৪ শতাংশ এবং ৪৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নই তাদের কাছে মূল কথা। এছাড়া ভোটের ইস্যু হিসেবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিক। অগ্রাধিকারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে দুর্নীতি রোধ এবং চতুর্থ স্থানে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সমস্যা।
আপনার দৈনন্দিন জীবনে, আপনি সবচেয়ে কি পরিবর্তন করতে চান?
এপ্রিল মে সরকারি পরিষেবার সহজলভ্যতা ২০% ১৭% উন্নত পরিকাঠামো ৪৬% ৪৮% সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করার সহজতা ১১% ১৩% উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং শিক্ষা ২৩% ২২%
দৈনন্দিন জীবনে কী পরিবর্তন প্রয়োজন, এই প্রশ্নের জবাবে এপ্রিল মাসে ২০ শতাংশ ভোটার বলেছিলেন জমি নিবন্ধনের মতো সরকারী পরিষেবাগুলি আরও সহজ করতে হবে। তবে মে-র প্রথম সপ্তাহে এই পরিসংখ্যান ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
এপ্রিলে ৪৬ শতাংশ ভোটার এবং মে মাসে ৪৮ শতাংশ ভোটার বলেছেন, দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন হিসেবে, ভাল রাস্তা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মতো আরও ভাল পরিকাঠামো চান।
কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিগুলি কি তাদের দলকে ভোট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট উৎসাহিত করছে?
এপ্রিল মে হ্যাঁ ৪১% ৩২% না ৩৮% ৫৬% বলতে পারব না ২১% ১২%
কংগ্রেস বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ এবং মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাসের পাস-এর মতো বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ৪১ শতাংশ মানুষ তাদের জানিয়েছিলেন এগুলির জন্য তারা কংগ্রেসকে ভোট দিতে চান। কিন্তু মে মাসে সংখ্যাটা ৩২ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, উত্তরদাতাদের ৩৮ শতাংশ এপ্রিলে বলেছিলেন, এই প্রতিশ্রুতিগুলি তাঁদের কংগ্রেসের প্রতি আকৃষ্ট করছে না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫৬ শতাংশ মানুষ এই মতের শরিক হয়েছেন।
কারা সরকার গঠন করবে বলে মনে হয়?
এপ্রিল মে বিজেপি ৩৬% ৪৫% কংগ্রেস ৩৮% ৩২% জেডি (এস) ১৩% ১২% বিজেপি + জেডি (এস) ৬% ৫% কংগ্রেস + জেডি (এস) ৭% ৬%
কোন দল সরকার গঠন করবে তা জানতে চাওয়া হলে, এপ্রিলে ৩৬ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন বিজেপি, ৩৮ শতাংশ কংগ্রেস, ১৩ শতাংশ জেডিএস, ৬ শতাংশ বিজেপি+জেডিএস এবং ৭ শতাংশ ভোটার বলেছিলেন কংগ্রেস+জেডিএস। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে, ৪৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন বিজেপি সরকার গঠন করবে, ৩২ শতাংশ বলেছেন কংগ্রেস, ১২ শতাংশ ভোটার বলেছেন জেডিএস সরকার গঠন করবে, ৫ শতাংশের মতে বিজেপি ও জেডিএস-এর জোট সরকার হবে, আর ৬ শতাংশ বলেছেন কংগ্রেস এবং জেডিএস-এর জোট সরকার গঠন করবে।