Municipal Elections 2022: প্রার্থী হয়েও মনোনয়ন জমা দিলেন না, নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী
Municipal Elections 2022: ওয়ার্ড পছন্দ না হওয়াতেই দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করেননি, দাবি মেমারির বিজেপি নেতৃত্বের।
পূর্ব বর্ধমান: প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন পত্র দাখিল না করে উল্টে দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি নেতা সৈকত মণ্ডলকে প্রার্থী করেছিল দল। বুধবার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষদিন থাকলেও, মনোনয়ন পত্র জমা না দিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। সৈকত বলেন, “দল কর্মীদের পাশে দাঁড়ায় না। কোন ওয়ার্ডে কার কতটা প্রভাব তা না ভেবেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।” সৈকত মণ্ডল-সহ মোট ৫ জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেননি। পাশাপাশি মেমারি পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীই দিতে পারেনি। ওয়ার্ড পছন্দ না হওয়াতেই দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করেননি, দাবি মেমারির বিজেপি নেতৃত্বের।
সৈকত মণ্ডলের বক্তব্য, “৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রস্তাবিত প্রার্থী আমি। ২০১৪ থেকে আমি বিজেপি করছি। বিষয় যেটা হচ্ছে, কর্মীদের সঙ্গে জেলা নেতৃত্ব, রাজ্য নেতৃত্ব কেউই সুসম্পর্ক রাখেননি। দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন রাজ্য নেতৃত্ব। দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা নেই। কর্মীদের যোগ্য মূল্যায়ন করা হয়নি। রাজনীতির ক্ষেত্রে অনেক কেসেই ফেঁসে যান কর্মীরা। কখনও রাজ্য নেতৃত্ব তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। এইসব বিষয়গুলো একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “মেমারিতে বর্তমানে যাঁরা বিজেপির নেতানেত্রী হয়েছেন, তাঁদের ভাবমূর্তি ও মানসিকতা নোংরা। পুরনো কর্মীদের তাঁরা সম্মান দেন না। তাঁদের সঙ্গে জঘন্য ব্যবহার করেন।”
তিনি জানান, বিধানসভা নির্বাচনের পর এক জন ব্যক্তি বিজেপি কর্মীদের যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। থানা-পুলিশ-কেসে সাহায্য করেছিলেন। রাজনৈতিক কর্মী না হলেও বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। অন্যদিকে, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক মহিলাকে নিয়ে গিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে, যাঁর সেখানে কোনও বেস নেই বলেই দাবি করেছেন সৈকত।
সৈকতের কথায়, “ওই মহিলা আগের নির্বাচনে ১২ টা ভোট পেয়েছিলেন, তাঁকে প্রার্থী করা হল, যোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী না করে।” এই সব কারণেই মনোনয়ন জমা দিলেন না বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের কটাক্ষ, হার নিশ্চিত বুঝেই সরে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির প্রার্থীরা। তৃণমূল নেতা বলেন, “এটায় আমাদের কিছু বলার নেই। এটা ওদের অভ্যন্তরিণ ব্যাপার। এই অভিযোগ আমরা আগেও করেছি। যে স্বজনপোষণ ও টাকা পয়সা দিয়ে বিজেপি দলটা চলে। প্রার্থীপদ ঘোষণার পর থেকেই ওদের মধ্যে ঝামেলা চলছে। বিজেপির এটাই কালচার। ওদের সবাই নেতা, কর্মী তো কেউ ছিল না। টাকাপয়সা দিয়ে মানুষগুলোকে আনা হয়েছিল। যারা খেটেছিল, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। তৃণমূল কোনও ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।”
১৬ টি আসন বিশিষ্ট মেমারী পৌরসভায় ৬ টি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে না পারায় মেমারী পুরসভা দখল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।তবে বামেরা মেমারি পৌরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী দিয়েছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা