Sidhu on Punjab: ‘আম গাছে সবাই ঢিল মারে’, সিধুর মন্তব্যে নতুন ইঙ্গিত?
Navjyot Singh Sidhu: কিন্তু কোনও কিছুতেই কংগ্রসের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যেন থামানোই যাচ্ছে না। বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে এবং তাতে বিড়ম্বনা বাড়ছে শতাব্দী প্রাচীন দলটির।
চণ্ডীগঢ়: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়ার সঙ্গেই হবে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই কংগ্রসের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যেন থামানোই যাচ্ছে না। বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে এবং তাতে বিড়ম্বনা বাড়ছে শতাব্দী প্রাচীন দলটির। পঞ্জাবে দলের নির্বাচন কমিটির প্রধান তথা রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু আবার নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিলেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাব আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে। সিধুর অভিযোগ, মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ হয়েছে।
পঞ্জাবের আর্থিক অবস্থা প্রসঙ্গ
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের আর্থিক অবস্থা নিয়ে সরব হয়ে আসছিলেন সিধু। সোমবার তিনি বলেন, “আমি মানুষের উন্নয়ন চাই। কিন্তু রাজ্য অন্যদের উন্নয়ন হয়েছে। পঞ্জাবের টাকা প্রভাবশালীরা ব্যবহার করেছেন। রাজ্য এখন আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার মুখে।” সিধু জানিয়েছেন পঞ্জাবে নারীদের শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হওয়ার প্রযোজন ছিল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চন্নি সরকারকে কোনও ধরনের র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে রাখা উচিৎ নয়। রাজ্যের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।” সিধু জানিয়েছেন অন্য কারোর সঙ্গে তিনি প্রতিযোগীতায় নেই, নিজের সঙ্গেই তাঁর প্রতিযোগীতা
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-কে কটাক্ষ
নাটকীয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নতুন দল তৈরি করেছেন ক্যাপ্টের অমরিন্দর সিং। নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোটও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। নিজের প্রাক্তন রাজনৈতিক সতীর্থ সম্পর্কে সিধুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ইডি ও আয়কর দফতরের জন্যই ক্যাপ্টেনের এই সিদ্ধান্ত। বিজেপির হয়ে তিনি কাজ করে গিয়েছেন। বিহার, পশ্চিমবঙ্গে মতো রাজ্যেও বিজেপি একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল।” সিধু জানিয়েছেন সাড়ে চার বছর ধরে মানুষের বিশ্বাস বারবার ভাঙা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে ‘ভোলবদল’
পঞ্জাব নির্বাচনে কোনও মুখ্যমন্ত্রী মুখ না থাকার কথা আগেই জানিয়েছিল কংগ্রেস। সেই সিদ্ধান্ত ‘না পসন্দ’ ছিল সিধুর। বুধবার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে তিনি জানিয়েছেন, “পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী মুখের প্রয়োজন নেই। গত নির্বাচনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আম আদমি পার্টি ফল ভুগেছে। জনগণ জানতে চায় কার তাদের নেতৃত্ব দেবে। নির্বাচন হবে ইস্যুভিত্তিক।”
তিনি বিভিন্ন কারণে সংবাদ শিরোনামে থাকেন। এই বিষয়ে সিধুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “সবাই আমাকে নিয়ে কথা বলে। আম গাছে সবাই ঢিল মারে. কিন্তু মৃত কুকুরকে কেউ লাথি মারেনা।”