PM Narendra Modi in Kanpur: ‘গোয়ায় হিন্দুভোট ভাঙানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল’, কমিশনকে দৃষ্টিপাত করার আর্জি নমোর

Uttar Pradesh Assembly Election 2022: কানপুরের দেহাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোটের হার দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ফের একবার বিজেপিই ক্ষমতায় আসতে চলেছে।"

PM Narendra Modi in Kanpur: 'গোয়ায় হিন্দুভোট ভাঙানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল', কমিশনকে দৃষ্টিপাত করার আর্জি নমোর
কানপুরের সভায় প্রধানমন্ত্রী। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 4:16 PM

কানপুর: উত্তেজনায় ভরপুর সপ্তাহের প্রথম দিনই। একদিকে তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2022) চলছে, অন্য়দিকে প্রচারের ময়দানে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন তিনি উত্তর প্রদেশের কানপুরে একটি নির্বাচনী ব়্যালিতে অংশ নেন। সেখান থেকেই একদিকে যেমন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সমাজবাদী পার্টি(Samajwadi Party)-কে আক্রমণ করলেন, তেমনই আবার গোয়ায় হিন্দু ভোট ভাঙানোর অভিযোগ আনলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি এই বিষয়ে দৃষ্টিপাতের আবেদন জানান।

এদিন কানপুরের দেহাতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোটের হার দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ফের একবার বিজেপিই ক্ষমতায় আসতে চলেছে। পরিবারবাদীরা ফের একবার পরাজিত হবে উত্তর প্রদেশের মানুষের কাছে। আগামী ১০ মার্চই উত্তর প্রদেশে হোলি উৎসব পালন করা হবে।”

এদিকে, তৃণমূলকেও এদিন একহাত নেন নমো। সম্প্রতিই একটি সাক্ষাৎকারে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা গোয়ায় দলের ইনচার্জ বলেছিলেন যে তাদের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত্রক পার্টি হিন্দু ভোট ভাগ হওয়া আটকাবে। মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, “উত্তর গোয়ায় এমজিপির সঙ্গে ১৩-১৪টি আসনে বিজেপির মুখোমুখি লড়াই হবে। এই আসনগুলির কেউই কংগ্রেসের জন্য ভোট করবে না।”

এদিনের প্রচার সভায় সেই প্রসঙ্গই টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হিন্দু ভোট ভাগাভাগি করার কথা সরাসরি স্বীকার করে নিচ্ছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের এই দিকে দৃষ্টিপাত করা উচিত।”

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এমজিপির সঙ্গে ভোট পরবর্তী জোটের কারণেই সরকার গঠন করতে পেরেছিল বিজেপি। কংগ্রেস সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা ছুঁতে না পারায় তারা সরকার গঠন করতে পারেনি। সেই সময় এমজিপির তরফে ধাভাবলিকরকে মন্ত্রী পদ দেওয়া হলেও, ২০১৯ সালে মনোহর পারিকরের মৃত্যুর পর প্রমোদ সাওয়ান্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতেই, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে এমজিপি।

অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টিকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি দিনরাত উত্তর প্রদেশে লুঠতরাজ চালাচ্ছে। এরাই মাফিয়াদের খোলা হাতে ছাড় দিয়েছিল। এই ঘোর পরিবারবাদী দল বিভিন্ন অঞ্চলকে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করত। যদি এদের হাতে ক্ষমতা থাকত, তবে কানপুরের মাফিয়াগঞ্জ মহাল্লাকে প্রতিটি শহরে তৈরি করে ফেলত।”

তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেকবারই যখন নির্বাচন আসে, এরা নতুন নতুন জোটসঙ্গী নিয়ে হাজির হয়। যারা ঘনঘন নিজেদের সঙ্গী বদল হয়, তারা আপনাদের সাহায্য করবে? হেরে যাওয়ার পর এরা নিজেদের জোটসঙ্গীদেরই দোষারোপ করে। ১০ মার্চের পর দেখবেন এরা কীভাবে একে অপরকে দোষারোপ শুরু করে।”

আরও পড়ুন: Karnataka Hijab Row: ‘আগে ওটা খোলো, তারপর ঢুকবে’, স্কুল খুলতেই ফের শুরু হিজাব বিতর্ক