কয়লাকাণ্ড: আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না লালাকে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, লালাকে আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।

কয়লাকাণ্ড: আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না লালাকে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2021 | 4:05 PM

নয়া দিল্লি: কয়লাকাণ্ডে আপাতত লালাকে গ্রেফতার করা যাবে না। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি সিবিআইকে যেন লালা সহযোগিতা করে সি বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৮ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কোর্ট বন্ধ থাকবে। তারপরই ৬ এপ্রিল এই মামলায় ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআই যেভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে তাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অনুপ মাজির আইনজীবী।

সেখানে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, লালাকে আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। কয়লাকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে লালার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, সিবিআই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা না করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। তাই সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছিল লালাপক্ষ।

সেখানে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে লালা যেমন আপাতত স্বস্তি পেয়েছে, তেমনই সিবিআই জেরার মুখে পড়তে হবে তাঁকে। ৬ এপ্রিল শুনানির দিন সিবিআই রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কি না সে নিয়েও সওয়াল জবাব হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, কয়লাকাণ্ডের মূলচক্রী লালা এখন গা ঢাকা দিয়ে আছে। তবে ইডির হাতে রয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্রর (Vinay Mishra) ভাই বিকাশ মিশ্র। তাঁকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কয়লাপাচারের মূল চক্রী অনুপ মাজি ওরফে লালার ব্যবসা চিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। প্রভাবশালীদের পিছনে ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, এই ৭৩০ কোটি টাকা প্রভাবশালীদের হয়ে নিয়েছিল পলাতক অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্র ও তার ভাই বিকাশ মিশ্র। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইডির গোয়েন্দাদের হাতে।

ইডি সূত্রে খবর, লালার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হিসেবের খাতা। এ ছাড়া ধৃত তৃণমূল যুবনেতার ভাই বিকাশ মিশ্রকে জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে এসেছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কয়লাপাচার কাণ্ডে লালার আয় হয়েছিল ১৩০০ কোটি টাকা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই টাকার পরিমাণের হিসেব হাতে এসেছে। কয়েকশো কোটি টাকার হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে বাধা দিলেই ক্ষমতায় আসে বিজেপি, হুঁশিয়ারি যোগীর