দিলীপকে শোকজের পর এবার শুভেন্দুকে সতর্কবার্তা কমিশনের
সিপিআইএমএল-এর কবিতা কৃষ্ণনের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন চিঠি পাঠিয়েছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)।
কলকাতা: সোমবারের পর মঙ্গলবার ফের সকাল থেকে চিঠিচাপাটি শুরু নির্বাচন কমিশনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষের পর এবার চিঠি শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রথম দু’জনের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, তৃতীয়জনকে শোকজের পর শুভেন্দুর জন্য কমিশন থেকে এল সতর্কবার্তা। এর আগেই তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়। কমিশনকে জবাবি চিঠিও পাঠান তিনি। তবে সে জবাবে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় কমিশন আধিকারিকরা। বক্তব্য নিয়ে আরও সতর্ক থাকতে হবে, তাঁর প্রতি বার্তা কমিশনের।
আরও পড়ুন: বিতর্ক সেই শীতলকুচি নিয়েই! এবার দিলীপ ঘোষকে শোকজ নোটিস কমিশনের
নন্দীগ্রামের এক সভায় শুভেন্দুর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে গত ৮ এপ্রিল শোকজ নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন। একদিনের মধ্যে জবাব তলব করা হয়। সিপিআইএমএল-এর কবিতা কৃষ্ণন এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী গত ২৯ মার্চ এক জনসভায় তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন: কমিশনের ‘শাস্তি’র মুখে রাহুল সিনহা, ৪৮ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা
নির্বাচন কমিশন তার নোটিসে লেখে, ‘শুভেন্দু সেদিন বলেছিলেন —আমি কীর্তন শুনতে ও গাইতে ভালবাসি। এ নিয়ে আপনাদের নতুন করে কিছু বলার নেই। একদিকে বেগম আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে রয়েছে আপনাদের পরিবারের ছেলে, আপনাদের দাদা, ভাই, বন্ধু। আমাকে বলুন কাকে আপনারা গ্রহণ করবেন। আপনারা বেগমকে ভোট দেবেন না।আপনারা যদি বেগমকে ভোট দেন এখানে মিনি পাকিস্তান হবে। দাউদ ইব্রাহিম আপনাদের এলাকায় ঘুরবে…।’
একইসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘কোন ফুলে রামচন্দ্র মা দুর্গার পুজো করেছিলেন? আপনাদের সকলের উচিৎ সেই ফুলেই ভোট দেওয়া, পদ্মে!’ যদিও ৯ এপ্রিলের জবাবি চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি ছিল, ধর্মের ভিত্তিতে তাঁর দল বা তিনি ভোট সুরক্ষিত করেন না। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা ভিত্তিহীন। তাঁর বক্তব্যে এমন কিছু ছিল না যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল। তবু একজন দেশের নাগরিক হিসাবে কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।
কমিশন মনে করছে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য কমিশনের যে সাধারণ নির্বাচনী বিধি রয়েছে, তা শুভেন্দু লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁকে সতর্ক করতে মঙ্গলবার চিঠি দেওয়া হয়। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, প্রচারে বেরিয়ে এ ধরনের বক্তব্য যেন তিনি না রাখেন।