‘ভয় পেতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে, সঙ্গে থাকুক রাজ্য পুলিশ’, কমিশনে দাবি তৃণমূলের

রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) প্রথম দফার জন্যই ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) দাবি জানিয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা (Special Observer)।

'ভয় পেতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে, সঙ্গে থাকুক রাজ্য পুলিশ', কমিশনে দাবি তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2021 | 4:29 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) বাংলা ভাষা বোঝে না। তাই তাদের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের প্রতিনিধি রাখার আর্জি জানাল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দুপুর ১২টা নাগাদ দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতরে যান তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন যে তাঁদের দাবি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।

এ দিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সৌগত রায় (Sougata Roy), মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha), প্রতিমা মণ্ডল ও নাদিমুল হক। কমিশন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিমা মণ্ডল বলেন, ‘যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলা বোঝে না তাই কমিশনের কাছে আমার আর্জি ছিল, এক জন অন্তত রাজ্য পুলিশ দেওয়া হোক। তাহলে বিশেষত মহিলা ভোটারদের সুবিধা হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করার ব্যাপারে কোনও বাধা নেই কমিশনের তরফে। সৌগত রায় বলেন, একই সঙ্গে কোভিড সংক্রান্ত বিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্যও একজন থাকবেন, আর তিনি বাঙালি। তাই বুথে বাঙালি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এই ভাষার জন্য সমস্যা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ‘একে ভাষা বোঝা যায় না, তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক বা রুট মার্চ করা দেখে ভয় পেয়ে যান গ্রামের মানুষ।’ বুথে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে তাতে ভোটারদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মহুয়া জানান, বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কমিশন। প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘টিএমসি মানে টেরর, মার্ডার, কোরাপশন’, বাংলার জনসভায় বার্তা শিবরাজ সিং চৌহানের

জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার জন্যই ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। আট দফার জন্য এই পরিমাণ বাহিনী চাওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দফাতেই এই বাহিনী চেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। আট দফায় ভোটই রাজ্যের জন্য নজিরবিহীন। আর এই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজিরও নেই রাজ্যে। ইতিমধ্যেই এসেছে ৭২৫ কোম্পানি বাহিনী। পর্যবেক্ষকদের দাবি মানলে আরও বেশি বাহিনী আনতে হবে রাজ্যে। এ ছাড়া কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তার একটা প্রাথমিক নকশা তৈরি করা হয়েছে।