‘নন্দীগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে’, দিব্যেন্দু অধিকারীর চিঠি জেলাশাসককে
২০০৭ সালের বিখ্যাত আন্দোলনের সময়ও এই এলাকার হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়েছেন। তবে হেভিওয়েট নির্বাচনী যুদ্ধের জেরে কার্যত আড়াআড়িভাবে ভেঙে গিয়েছে নন্দীগ্রাম।
পূর্ব মেদিনীপুর: সবে কয়েক ঘণ্টা আগেই নন্দীগ্রামে শেষ হয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সময়ের অন্যতম প্রতীক্ষিত ভোট। তা মেটার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারাত্মক আশঙ্কার কথা জানিয়ে জেলাশাসক ও জেলা নির্বাচনী আধিকারীককে চিঠি দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লেখা এই চিঠিতে দিব্যেন্দু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে নন্দীগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাহত হতে পারে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী লড়াইয়ের জেরে এমনিতেই দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে ‘ভিআইপি’ আসন হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। এখানে সংখ্যালঘুদের প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট। মোট ভোটারদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ২৮ শতাংশ ভোটদাতাই মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের এতদিনের ইতি এই এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কখনই ব্যাহত হয়নি। ২০০৭ সালের বিখ্যাত আন্দোলনের সময়ও এই এলাকার হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়েছেন।
তবে হেভিওয়েট নির্বাচনী যুদ্ধের জেরে কার্যত আড়াআড়িভাবে ভেঙে গিয়েছে নন্দীগ্রাম। সেখানে একদিকে যেমন রয়েছে মেরুকরণের ধোঁয়া, অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই উঠেছে তোষণের অভিযোগ। এহেন যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে ভোটটা আপাতভাবে শান্তিপূর্ণভাবে মিটলেও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুর সহোদর দিব্যেন্দু। তাঁর আশঙ্কা, নন্দীগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় ‘হয়তো’ ৩০-এ ৩০, দাবি বঙ্গ বিজেপির
তিনি চিঠিতে লিখেছেন, আপাতত ভোট শান্তিপূর্ণভাবে মিটেছে। কিন্তু, কিছু কারণে এই দুই প্রধান সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে বলে দাবি করেছেন দিব্যেন্দু। সেই কারণে জেলাশাসকের কাছে তাঁর আবেদন, যেন আগাম পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় যাতে এলাকার দুই সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারেন।
আরও পড়ুন: নজরে নন্দীগ্রাম: কী কী ঘটল সারাদিন জুড়ে? রইল বহু প্রতীক্ষিত ভোটের দশকাহন