AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমার কাছেও উঁচুমহল থেকে প্রস্তাব এসেছে’, রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন সৌরভ ?

এ দিন সকালে সৌরভ তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, " রাজনীতি বা সমাজে আপনার পছন্দের মানুষ কোনজন? একজন শিল্পী বা খেলোয়াড় নাকি রংবাজ মস্তান?" তাঁর পর থেকেই শুরু নানা জল্পনা। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, সাম্প্রতিককালে টলিপাড়ার দল বদলের খেলায় কি তবে পরোক্ষে অভিনেতাদের দিকে কটাক্ষ ছুড়লেন সৌরভ? নাকি শিল্পীদের বিপরীত প্রান্তে দাঁড় করানো আর এক প্রতিপক্ষ 'রংবাজ মস্তান'দের দিকেই তাঁর এই সোশ্যাল পোস্ট? যদি তাই হয় সৌরভের চোখে এই 'রংবাজ মস্তান' কারা?

'আমার কাছেও উঁচুমহল থেকে প্রস্তাব এসেছে', রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন সৌরভ ?
সৌরভ সাহা।
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2021 | 6:06 PM
Share

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছোট্ট পোস্ট। আর তাতেই সকাল থেকে আলোচনার শীর্ষে অভিনেতা সৌরভ সাহা। ছোট পর্দায় যিনি করুণাময়ী রাণী রাসমণীধারাবাহিকের রামকৃষ্ণ। প্রশ্নটলিপাড়ার বিভাজনের রাজনীতিতে কি তবে নয়া সংযোজন সৌরভ?

এ দিন সকালে সৌরভ তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ” রাজনীতি বা সমাজে আপনার পছন্দের মানুষ কোনজনএকজন শিল্পী বা খেলোয়াড় নাকি রংবাজ মস্তান?” তাঁর পর থেকেই শুরু নানা জল্পনা। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠেসাম্প্রতিককালে টলিপাড়ার দল বদলের খেলায় কি তবে পরোক্ষে অভিনেতাদের দিকে কটাক্ষ ছুড়লেন সৌরভনাকি শিল্পীদের বিপরীত প্রান্তে দাঁড় করানো আর এক প্রতিপক্ষ রংবাজ মস্তানদের দিকেই তাঁর এই সোশ্যাল পোস্টযদি তাই হয় সৌরভের চোখে এই রংবাজ মস্তান‘ কারা?

TV9 বাংলা যোগাযোগ করেছিল সৌরভের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “একটা বিষয় প্রথমে বলা দরকারকেন অভিনেতা/অভিনেত্রীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁদের দলে টানছেউত্তর হল, তাঁরা সেই অঞ্চলের বা সেই জায়গার পরিচিত মুখ। আজকে যদি তাঁরা জনসভা করেন তবে খুব সঙ্গত কারণেই এলাকার মানুষ এসে ভিড় জমাবে। হ্যাঁআমার কাছেও খুব উঁচুমহল থেকে প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু যেহেতু একটি রাজনৈতিক পরিবারে আমি বড় হয়েছিতাই চাইলেই হঠাৎ করে একটা দলে যোগ দিয়ে মঞ্চে উঠে পতাকা ধরলাম এবং সেই দলের সমর্থক হয়ে গেলামদলগত ভাবে হয়তো সেই সমর্থন আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

 

অর্থাৎ রাজনীতিতে না‘ সৌরভেরসৌরভের উত্তর, “আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক মনস্ক। আগেই বললাম দলগত ভাবে যে রাজনীতি করতে হবে এমনটা আমি মনে করি না। আমার বাবাকেও কিন্তু কোনও দলের সঙ্গে গিয়ে ভোটে জিততে হয়নি।প্রসঙ্গত সৌরভের বাবা খড়দহ পুরসভার অন্যতম প্রবীণ কাউন্সিলার। বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন।

সৌরভের করা প্রশ্নই যদি তাঁকে করা হয়শিল্পী খেলোয়াড় নাকি রংবাজ মস্তান‘– রাজনীতির মঞ্চে তাঁর পছন্দ কেতাঁর উত্তর, “একজন শিল্পী যিনি নিজের চেষ্টায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সেই মানুষটিকে আমার জননেতা হিসেবে বেশি কাম্য নাকি একজন মস্তান যিনি হয়তো দেখনদারির জন্য অনেক কিছু করেছেনকিন্তু তাঁর মূল পেশা মস্তানিসেটা করেই সে ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে চেয়েছেসে বেশি প্রয়োজনীয়?” তাঁর আরও সংযোজন, “রাজনীতি কি খারাপ নাকিপরিবারেও রাজনীতি রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর রাজনীতি কথাটাই বিভিন্ন কারণে গালাগালিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ ধরেই নিচ্ছে ওটা তো গুন্ডা মস্তানদের জায়গা। আর সেই জায়গা থেকেই যখন কোনও শিল্পী রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন মানুষ ধরে নিচ্ছে সে সমাজের নিকৃষ্টতম জীব হয়ে যাচ্ছে।

এই গুন্ডা মস্তান কারারাজনীতিতে তাঁদের ভূমিকাই বা কীসৌরভের কথায়, “বর্তমানে যাঁদের দিয়ে কোনও দল পরিচালনা করা হয়সবার কথা বলছি নাতবে বেশিরভাগের ফেস‘ এতটাই ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের এবং তাঁদের সঙ্গী সাথীদের মধ্যেও সমাজবিরোধী কাজকর্ম এত বেশিসে কারণে তাঁদের ভোটে দাঁড় করালে তাঁদের নিজেদের দলই তাঁদের জেতাবে না। মানুষ তো ছেড়েই দিন। আর সে কারণেই শিল্পীখেলোয়াড় বা অন্য জগতের মানুষের সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এখন রাজনীতি এমন হয়েছে সেই সব মস্তানদের ৩০টি ছেলে থাকবে। যারা সকাল থেকে বসে মদ্যপান করবে। ডাকলে ৩০টি ছেলেই এসে দাঁড়াবে। প্রয়োজনে মস্তানি করবে। তাঁদের তো অন্য অনুভূতি নেই।

কী অনুভূতি? “সমাজকে ভাল রাখার। রাজনৈতিক পড়াশোনাও নেই। শুধু গরম গরম ভাষণ দেওয়া মানেই তো রাজনীতি নয়। আমার মতে রাজনীতি করতে গেলে এমন লোকেরই দরকার যারা রাজনীতিকে নিয়ে বড় হয়েছেরাজনীতির খুঁটিনাটিতে অবাধ বিচরণ রয়েছে। পারিপার্শ্বিক বিষয় সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহালসর্বোপরি রাজনৈতিক পড়াশোনা রয়েছে“, বক্তব্য পর্দার রামকৃষ্ণের।

কিন্তু বর্তমানে টলিপাড়ার রঙ বদলের রাজনীতিতে প্রত্যেক কলাকুশলীরই কি রাজনৈতিক পড়াশোনা রয়েছে অবাধযে রাজনৈতিক সচেতনতার কথা সৌরভ বললেনযে কূটনৈতিক বুদ্ধিসর্বোপরি প্রশাসনিক দক্ষতা আয়ত্তে তাঁদের? “একটা কথাই বলতে চাই রাজনীতি শুধু ফেসবুক ভাষণেআর মাঠে ময়দানের গরম গরম বক্তৃতার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখার জন্য নয়। রাজনীতিটা পঞ্চায়েতে রয়েছেবিধানসভায় রয়েছেসমাজের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। সেই বিষয়গুলো অতি অবশ্যই আগে ভালভাবে জানা দরকার। শুধু তেলের দাম বাড়ল কেনগ্যাসের দাম বাড়ল কেন তা নিয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি তা কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়েও কিন্তু দৃষ্টিপাত করা উচিত। নেতাদেরসাধারণ মানুষেরও, “তাঁর সাফ বক্তব্য।

নিজে যদি কখনও দলগত রাজনীতিতে সক্রিয় যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন সে ক্ষেত্রে তার প্রস্তুতি কেমন হবেসৌরভের উত্তর গ্রাসরুট থেকেই কাজ শুরু করবেন তিনি। বাড়াবেন রাজনৈতিক জ্ঞানও। অদূর ভবিষ্যতে কি সেই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে? “ওই যে শুরুতেই বললামএই মুহূর্তে দলগত রাজনীতিতে না থেকে নিজের মতো করে কাজ করছি। করবও। যদি ভবিষ্যতে মনে হয় একা একা বা অল্প কয়েকজনকে নিয়ে সেই সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে নাবা দেখা যায় যে কোনও একটি দলের সঙ্গে আমার মতাদর্শগত খানিক মিল হলসে ক্ষেত্রে ভাবা যেতে পারে“, বললেন অভিনেতা সৌরভ সাহা।