Adipurush Controversy: ‘প্রকৃত হিন্দু হলে… ‘! ‘খিলজির মতো রাবণ’ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ‘শক্তিমান’
Adipurush: সবে মুক্তি পেয়েছে টিজার। কিন্তু আলোচনা হচ্ছে বিস্তর। একদিকে যেমন নেটিজেনরা ট্রোল করছেন অন্যদিকে মুকেশ খান্না ওরফে 'শক্তিমান'ও ক্ষোভ উগরে দিলেন সরাসরি।
সবে মুক্তি পেয়েছে টিজার। কিন্তু আলোচনা হচ্ছে বিস্তর। একদিকে যেমন নেটিজেনরা ট্রোল করছেন অন্যদিকে মুকেশ খান্না ওরফে ‘শক্তিমান’ও ক্ষোভ উগরে দিলেন সরাসরি। তাঁর সাফ ঘোষণা, ‘এ ছবি চলবে না’। কোন ছবি? প্রভাস-সইফ-কৃতির ছবি ‘আদিপুরুষ’। কেন এমনটা মনে হয়েছে মুকেশের, সে ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন।
তাঁর কথায়, “সইফ স্পষ্ট ভাবে বলেছে, আমি রাবণের চরিত্রে অভিনয় করছি, আমি এই চরিত্রটিকে মজাদার করে তুলব। একজন অভিনেতা সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতেই পারে।কিন্তু যখন রামায়ণকে নিয়ে কিছু ভাবা হচ্ছে তখন রামায়ণকে নিয়ে মানুষের যে ভালবাসা সে সবেরও ফায়দা নেওয়া হচ্ছে বলেই আমার ধারণা। তাই যে মুহূর্তে আপনি বলছে, রাবণের চরিত্রে আপনি নিজের মতো বদল আনবেন, স্বভাবতই একজন সত্যিকারের হিন্দু যেমন আমি এ নিয়ে অবাক তো হবই। রাবণের চরিত্র বদল করার তুমি কে?”
এখানেই থামেননি তিনি। তাঁর সাফ কথা যত টাকাই থাক না কেন, শুধুমাত্র ভিএফএক্স ও প্রযোজকের পয়সার জোরে এ ছবি তৈরি করা যাবে না। তাঁর কথায়, “রামায়ন এক মূল্যবোধের উপর নির্মিত। যদি ‘অবতার’ ছবির মতো কিছু বানাতে চাও, তাহলে বল না যে রামায়ন বানাচ্ছ”। পাশাপাশি সইফের লুক নিয়েও তিনি প্রকাশ্যে করেছেন তুলোধনা। অনেকের মতো তাঁরও মনে হয়েছে সইফের লুক নাকি অনেক ক্ষেত্রেই মুগল সম্রাটদের মতো। আলাউদ্দিন খিলজির সঙ্গে নাকি আদিপুরুষ ছবির লঙ্কেশের বেজায় মিল রয়েছে! নির্মাতাদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “মজা হচ্ছে?” পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য, “এই ছবি চলবে না, কারণ আপনারা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন”। একদিকে মুকেশ যখন একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন, ঠিক তখনই এ নিয়ে দিন দুয়েক আগেই মুখ খুলেছিলেন ছবির নির্মাতা ওম রাউত ও লেখক মনোজ মুন্তাশির।
ওম বলেন, “আমাদের এই রাবণ চরিত্রগত দিক দিয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। সে নিষ্ঠুর, নির্মম। আমাদের দেবী সীতাকে সে হরণ করেছে। আমাদের কাছে এই ছবিটি আক্ষরিক অর্থেই কোনও ছবি নয়। তা আমাদের কাছে শ্রদ্ধার্ঘ।” ওমের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়েই লেখক মনোজ আবার সাফ জানিয়েছেন, ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের টিজার দেখে গোটা ছবিটিতে কী হতে চলেছে তা আগাম ভেবে নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। তাঁর কথায়, “আমি জানতে চাই কোন খিলজির কপালে তিলক আঁকা রয়েছে? জানতে চাই খিলজি কবে রুদ্রাক্ষের মালা পরেছে?” রাবণের ওই লুকের সঙ্গে খিলজির সাদৃশ্য যে একেবারেই যুক্তিহীন তা পরিষ্কার করেছেন লেখক। যদিও আলোচনা চলছেই।