দুল পরতে ভালবাসতাম, মেয়েদের মতো সাজাত আমার মা: চাঙ্কি পান্ডে

এখানেই শেষ নয় তিনি যে 'মামাজ বয়' ছিলেন সে কথা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছেন চাঙ্কি। তাঁর কথায়, "সাধারণত হিরোইনরা ছবির জন্য বাইরে যেতে হলে তাঁদের মা'কে নিয়ে যায়। আমি বোধহয় একমাত্র হিরো ছিলাম যে এই সব ক্ষেত্রে মা'কে নিয়ে বাইরে যেতাম।"

দুল পরতে ভালবাসতাম, মেয়েদের মতো সাজাত আমার মা: চাঙ্কি পান্ডে
মায়ের সঙ্গে চাঙ্কি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2021 | 7:37 AM

এ মাসেরই গোড়াতে মা’কে হারিয়েছেন অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডে। এ দুনিয়ায় মা’ ছিলেন তাঁর বড় কাছের। মা চলে গেলেও স্মৃতি তাজা আজও। মাকে নিয়ে স্মৃতির ঝুলি উজাড় করলেন চাঙ্কি। জানালেন, ছোট থেকে মেয়ে ভালবাসা মা একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত চাঙ্কিকে মেয়েদের মতো পোশাক পরাতেন। দুল পরতে ভাল লাগত তাঁরও।

এখানেই শেষ নয় তিনি যে ‘মামাজ বয়’ ছিলেন সে কথা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছেন চাঙ্কি। তাঁর কথায়, “সাধারণত হিরোইনরা ছবির জন্য বাইরে যেতে হলে তাঁদের মা’কে নিয়ে যায়। আমি বোধহয় একমাত্র হিরো ছিলাম যে এই সব ক্ষেত্রে মা’কে নিয়ে বাইরে যেতাম। আমার কোনও স্টেডি প্রেমিকা না হওয়া পর্যন্ত মা’কেই সব জায়গায় নিয়ে যেতাম আমি। আমি খুশি আমার জন্য সারা দুনিয়া দেখতে পেরেছে মা।”

চাঙ্কি আরও জানাচ্ছেন মা স্নেহলতা দেবীর মেয়ের শখ ছিল। কিন্তু হল ছেলে। শখ পূর্ণ হল না। অগত্যা, দুধের স্বাদ ঘোলে। দু’বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের পোশাক পরতেন চাঙ্কি। তিনি যোগ করেন, “ওই সব কানের দুল পরতে কী ভাল লাগত। এখনও যখন শপিংয়ে যাই মেয়েদের জামাকাপড় কিনে ফেলি। দোকানদার জিজ্ঞাসা করে মেয়ের জন্য না স্ত্রীর জন্য। আমি বলি, আমার জন্য।” তবে শান্ত বাচ্চা তিনি যে ছিলেন না সে কথাও জানাচ্ছেন চাঙ্কি। একবার বাবার রেজর দিয়ে নিজের ভুরু অবধি কেটে ফেলেছিলেন তিনি।

গত ১০ জুলাই প্রয়াত হন স্নেহলতা পান্ডে। তিনি ছিলেন পেশায় ডাক্তার। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নাতনি অনন্যা। তিনি লিখেছিলেন, “যখন দাদি জন্মেছিল ডাক্তার বলেছিল এক বছরের বেশি নাকি আয়ু হবে না তাঁর। কারণ তাঁর হার্টে সমস্যা ছিল। তিনি ৮৫ টা বছর পার করেছেন। সকাল সাতটায় উঠে কাজে গিয়েছেন। হাঁটু ব্যথা নিয়েও…এই এত বয়সেও। যা ভালবাসি চিরকাল আমায় তা করতে উৎসাহ দিয়ে এসছে আমার দাদি। ওঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তির আলোয় কাটিয়ে দিলাম আমি। ওঁর মতো নরম হাত আমি আর কারও দকেহিনি। সবচেয়ে ভাল ম্যাসাজ করে দিত আমার ঠাকুমা। বলত খুব ভাল নাকি হাত দেখতে পারে। কিন্তু কখনও তা মিলত না। আমি হাসতাম। খুব হাসতাম।” তিনি যোগ করেন, “দাদি আমাদের পরিবারের জীবন ছিল। তোমায় এত ভালবেসেছি যে ভুলতেই পারব না। দাদি- তোমায় খুব খুব খুব ভালবাসি।”

আরও পড়ুন-বিস্ফোরক অভিযোগ: গ্রেফতারি এড়াতে ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন রাজ কুন্দ্রা!