‘ভেবেছিলাম এর থেকে ভাল ছবি হতেই পারে না…’, নস্টালজিক সোনু সুদ

সেপিয়া রঙের ছবিটি। সোনু পরেছেন এক কালো রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি। অভিনেতার পিছনের দেওয়ালের দিকে ঠেস দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে এক বাতিস্তম্ভ। যদিও তাতে লাগানো নেই কোনও বাল্ব।

'ভেবেছিলাম এর থেকে ভাল ছবি হতেই পারে না...', নস্টালজিক সোনু সুদ
সোনু সুদ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 12:33 PM

স্মৃতির সরণীতে হাঁটলেন সোনু সুদ। শেয়ার করলেন জীবনের প্রথম পোর্টফোলিও থেকে ছবি। সোনু জানিয়েছেন ওই তাঁর প্রথম পেশাগত ভাবে পোর্টফোলিও শুট। কিন্তু সে শুট দেখে নিজেই নিজের মজা উড়িয়েছেন সোনু।

সেপিয়া রঙের ছবিটি। সোনু পরেছেন এক কালো রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি। অভিনেতার পিছনের দেওয়ালের দিকে ঠেস দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে এক বাতিস্তম্ভ। যদিও তাতে লাগানো নেই কোনও বাল্ব। সোনু খানিক রসিকতা করেই ক্যাপশনে লিখেছেন, “সে সময় মনে হয়েছিল এর থেকে ভাল কোনও ছবি হতেই পারে না। ওই যে পিছনের লাইট স্ট্যান্ড, যেটায় আবার বাল্ব লাগানো নেই, আমার মনের অবস্থা অনেকটা সেরকমই ছিল।”

বহু বছর কেটেছে এরপর… সেদিনের সেই ছেলে আজ আমজনতার মসিহা। তবু সোনুর এই ছবি দেখে মজায় অএতেছেন সেলেব থেকে সাধারণ। ফারহা খান লিখেছেন,’এপিক’। উত্তরে সোনু লিখেছেন, ‘এই ছবি দেখিয়েই তো তোমার ছবি হ্যাপি নিউ ইয়ারে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম।’ একটি ছবি, আর তা নিয়েই আলোচনা যেন থামছেই না। গত বছর করোনার জেরে লকডাউন থেকে শুরু করে, চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়া পর্যন্ত একই রকম ভাবে সাধারণের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন সোনু। বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্যের আবেদন নিয়ে সোনুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাধারণ মানুষ। তিনি নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সুস্থ হয়ে ফের থেকেছেন সাধারণের পাশে।

View this post on Instagram

A post shared by Sonu Sood (@sonu_sood)

রাতারাতি হয়ে গিয়েছেন ‘মসিহা’। তাঁকে নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনার নজির বারংবার চোখে পড়েছে। তাঁর নামে তৈরি হয়েছেন মন্দির। সেখানে দু’বেলা ভগবান হিসেবে পূজিত হন তিনি। তাঁকে ভালবেসে মাংসের দোকানের নামও ‘সোনু’ রেখেছে দোকানি। সোনুর প্রতি ভালবাসা প্রকাশে পোস্টারে দুধও ঢেলেছেন ভক্তরা। কারও কাছে তিনি ‘বিপদের বন্ধু’ আবার কারও কাছে সাক্ষাৎ ‘দেবতা’। তাঁকে একবার চোখের দেখা দেখতে সুদূর হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই পায়ে হেঁটে এসেছেন জনৈক যুবক। তাঁর ছবিতে দুধ ঢেলে দুধ অপচয়ের নিন্দা করলেও ওই যুবককে নিরাশ করেননি তিনি। দেখা করে নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, “ভেঙ্কাটেশ, হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই খালি পায়ে হেঁটে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। ওঁর জন্য যাতায়াতের কোনও ব্যবস্থা করার সুযোগই দেয়নি ও। আমি অভিভূত এবং একইসঙ্গে বিনীত।”

এই ভালবাসা তিনি বিফলে যেতে দেননি। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার এখন আগের থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। তাই দিন কয়েক আগে ফারহা খানের পরিচালনায় এক মিউজিক ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরই মধ্যে তাঁর এই পুরনো ফোটোশুটে হাসির রোল নেটমাধ্যমে।