Jacqueline Fernandez: ইডি অফিসের বাইরে জ্যাকলিন, নতুন করে জিজ্ঞাসা করা হল অভিনেত্রীকে

Jacqueline Fernandez: আর্থিক তছরুপের মামলায় নতুন করে বক্তব্য রেকর্ড করার জন্যই এদিন তাঁকে ডেকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা।

Jacqueline Fernandez: ইডি অফিসের বাইরে জ্যাকলিন, নতুন করে জিজ্ঞাসা করা হল অভিনেত্রীকে
জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজ়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2022 | 9:15 PM

সোমবার (২৭.০৬.২০২২) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসের বাইরে দেখা যায় জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজ়কে। অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল এদিন। আর্থিক তছরুপের মামলায় নতুন করে বক্তব্য রেকর্ড করার জন্যই এদিন তাঁকে ডেকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এর আগে তাঁকে ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। ২-৩ বার ইডি তলব করেছিল জ্যাকলিনকে। তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ২-৩ বার। জ্যাকলিনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের। সময়ে সময়ে সুকেশের থেকে দামী উপহার নিয়েছেন জ্যাকলিন। তাঁদের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই মামলায় ফেঁসে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছিলেন না জ্যাকলিন। সেই জন্য দিল্লি কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁকে যেন বিদেশের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যেতে দেওয়া হয়।

জ্যাকলিনের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল দিল্লি আদালত। তবে দিয়েছিল অনেকগুলো শর্ত। সেইগুলো মেনে তবেই তিনি যেতে পারবেন আবু ধাবি। সেখানেই হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। ২০০ কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। সুকেশের সঙ্গে তোলা ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হতেই তার সঙ্গে জ্যাকলিনের নাম জড়িয়েছে। সুকেশের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় জ্যাকলিনের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।

এক বছর আগে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়ই জ্যাকলিনের সঙ্গে নাকি প্রায় চার বার দেখা হয়েছিল সুকেশের। অভিনেত্রীর জন্য ব্যক্তিগত বিমানেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সুকেশ। এর আগে সুকেশের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সুকেশের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন জ্যাকলিন। যদিও জ্যাকলিনের তরফে তা অস্বীকার করা হয়।

প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশের ইকনমিক অফেনসেস উইং এর আগে সুকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছাড়াও প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর চেন্নাইয়ের বাংলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২ লক্ষ টাকা, দুই কেজি সোনা, ১৬টি দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডির কর্তারা। তা থেকেই জ্যাকলিনের নাম সামনে আসে। জারি হয় সমনও। ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পি এম এল এ) নিরিখে তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। যদিও জ্যাকলিনের তরফে জানানো হয়েছিল সুকেশ কাণ্ডে শুধুমাত্র সাক্ষী হিসেবে তাঁকে তলব করা হয়েছে। সুকেশের সঙ্গে ফাঁস হওয়া এই ছবি যে নিঃসন্দেহে অভিনেত্রীর অস্বস্তি বাড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।