ভিভকে দেখতে বলিউডের এই ভিলেনের মতো, বলেছিলেন আশা ভোঁসলে, মানতে চাননি নীনা
ভিভের প্রসঙ্গ কোনওদিনই এড়িয়ে যেতে দেখা যায়নি নীনাকে। সংবাদমাধ্যমেও বহুবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
কিংবদন্তী ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস এবং নীনা গুপ্তর প্রেমের কথা কারও অজানা নয়। নীনার প্রেমে একসময় বুঁদ ছিলেন ভিভ। নীনাও ফেরাননি তাঁকে। জন্ম হয় মাসাবার। তবু, সেই প্রেম গড়ায়নি বিয়েতে। যদিও নিজেদের মধ্যে তিক্ততা বজায় রাখেননি ওঁরা। মাসাবার জন্মের পরেও এ দেশে এসেছেন ভিভ, দেখা করেছেন নীনার সঙ্গে। একসঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। এরকমই এক অনুষ্ঠানে ভিভকে দেখে গায়িকা আশা ভোঁসকে তাঁকে তুলনা করেছিলেন বলিপাড়ার বেশ কয়েকবার শ্রেষ্ঠ ভিলেনের পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা নানা পটেকরের সঙ্গে। আশার নাকি মনে হয়েছিল কিংবদন্তী ক্রিকেটারকে দেখতে অনেকটা নানার মতোই। যদিও নীনা এ কথা একেবারেই মানতে চাননি।
এক পুরনো ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে, নীনা এবং ভিভ বসে রয়েছেন আশার পাশে। সেখানেই আশার সঙ্গে কথা বলার পর নীনা ভিভকে জানান, ওই তুলনার কথা। যদিও একই সঙ্গে যোগ করেন, “আমি মানিনি। আমি বলেছি ও অনেক ভাল দেখতে।” আশা ভিভকে জিজ্ঞাসাও করেন তিনি নানা পটেকরের সঙ্গে কোনওদিন দেখা করেছেন কিনা। নীনা জানান, না, তাঁদের দেখা হয়নি কোনওদিন।
আরও পড়ুন- এক অ্যাডেই বাজিমাত, বৌমা করতে চেয়ে ফোন, অবিবাহিত পায়েলের জুটেছিল ‘বিবাহিত’র তকমা
ভিভের প্রসঙ্গ কোনওদিনই এড়িয়ে যেতে দেখা যায়নি নীনাকে। সংবাদমাধ্যমেও বহুবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। মেয়ে মাসাবার কাছে তাঁর বাবা সম্পর্কে কী ধারণা এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, ” আমি মাসাবাকে পেয়েছি কারণ আমি ভিভিয়ানকে ভালবেসেছিলাম। আর যদি তুমি কাউকে ভালবাস তাঁকে তুমি ঘৃণা করতে পারবে না। এরকম তো হয় না যে আজ ভালবেসে ফেললাম কাল থেকে ঘেন্না করা শুরু করে দিলাম। তাই মাসাবার বাবার প্রতি ধারণা কেন আমি বিষিয়ে দেব? আমার ভিভের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। ও নিজেও আমায় শ্রদ্ধা করে, আর মাসাবা আমাদের দুজনকেই।”
মাসাবা বড় হয়ে পেশা হিসেবে ফ্যাশন ডিজাইনিংকে বেছে নেন। তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড রয়েছে। মায়ের কাছে বড় হলেও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মাসাবার। তাঁর বড় হওয়ার নেপথ্যে মায়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব ছিল বটে, তবে বাবার পরোক্ষ প্রভাবের কথা কখনও অস্বীকার করেন না তিনি।