Exclusive: বিস্ফোরক ঝিলম, ১০ বছর বয়সে পরিবারের মধ্যেই যৌন নিগ্রহ, মুখ খুলতে বাধ্য হলাম

Jhilam Gupta: 'আমার বয়স তখন মাত্র ১০, জানেন আমার পরিবারের এক সদস্য প্রথম আমায় এই যন্ত্রণা দেয়। গোপনাঙ্গে আচমকাই হাত, একবার দুবার বারবার...। আজও ভুলিনি। ব়্যাপের প্রতিটা কথা আমার গল্প। আমার মতো মেয়েদের গল্প। আমার না কষ্ট হলে, ভয় পেলে, ঘেন্না হলে বমি পায়। আজও পায়। সেদিনও পেয়েছিল।' TV9 বাংলায় ক্ষোভ উগরে দিলেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ঝিলম গুপ্ত।

Exclusive: বিস্ফোরক ঝিলম, ১০ বছর বয়সে পরিবারের মধ্যেই যৌন নিগ্রহ, মুখ খুলতে বাধ্য হলাম
Follow Us:
| Updated on: Sep 06, 2024 | 7:28 PM

জয়িতা চন্দ্র

সাত সকালে ভিড় বাস। স্কুল, কলেজ, অফিস যাওয়ার তাড়া। এই ভিড়ে নারী-পুরুষ সবাই সামিল। ট্রেনে-বাসে কিংবা অটোতে, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ‘পুরুষ সমাজ’ যখন কেবল ওয়ালেট সামলাতে ব্যস্ত, মেয়েটা তখন টাকা-পয়সা-মোবাইলের পাশাপাশি নিজেকে আগলাতে ব্যস্ত। কখন কার অসুস্থ মানসিকতার শিকার হতে হয়, কে জানে! তাই সতর্ক হওয়াই শ্রেয়। পোশাক ঠিকঠাক আছে তো! ভিড়ের চাপে গা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির নজর ঠিক কোন দিকে? বিকৃত কামনা চরিতার্থ করতে কেউ ভিড়ের সুযোগ নিচ্ছে না তো! এরপর একবুক ভয় নিয়ে বাড়িতে ফেরা। বুকে তখন চাপা কষ্ট। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে যেন যত শান্তি, যত নিরাপত্তা। মেয়েদের দিন রাত কতটা রূঢ়? সমাজকে আয়না দেখাতে এবার সোচ্চারে সামনে এলেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ঝিলম গুপ্ত।

সমাজ মাধ্যমে আপলোড হয়েছে ঝিলমের ব়্যাপ- ‘তোমার স্বর আমার স্বর’। এ মুহূর্তে সেই ব়্যাপ নিয়েই যত শোরগোল। একশ্রেণির মেয়েরা যখন ঝিলমের প্রতিটা কথার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছেন, তখন একশ্রেণির পুরুষেরা ঝিলমকে শালীনতার পাঠ দিচ্ছেন। ”আচ্ছা বলুন তো, যিনি নোংরা স্পর্শে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আমায় ফেললেন, যে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে আমি গেলাম, সেই সত্যির আবার শালীনতা হয়! বাসে ট্রামে পথে একটা মেয়ে এসবের প্রতিবাদ করে যদি একটা চড় মেরে দেন, তাহলে আর পাঁচজন রে-রে করে ওঠেন–‘আপনি গায়ে কেন হাত তুললেন?’ আর যিনি আমার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করলেন? সেটার বিচার হবে না?” TV9 বাংলায় প্রশ্ন তুললেন ঝিলম।

TV9 বাংলা: কঠিন সত্যিগুলোকে তুলে ধরার পরও ট্রোল্ড, ব়্যাপ নিয়ে কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?

ঝিলম গুপ্ত: মানুষ জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছে, ভাষা শেখাচ্ছে, কমেন্ট বক্সটা খুলে একবার দেখবেন। কেউ কেউ আবার সমর্থন করে বলছেন, বক্তব্যটা ঠিক কিন্তু এটা বড্ড ‘র’ হয়ে গিয়েছে। কী অবাক কাণ্ড, কোনটা ভুল! প্রতিটা মেয়েকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, প্রত্যেকে আমার এই কথাগুলোর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করবেন, কেউ স্বীকার করবেন, কেউ আবার লজ্জা-সমাজ এসবের চাপে ঢোঁক গিলবেন।

তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে নামতেই কি এই গান? গানে-গানে প্রতিবাদ…

একেবারেই নয়। এখানে যা যা বলেছি, সবটা নিজের কথা। এটা আমার গল্প, এটা আমার মত শত শত তিলোত্তমার গল্প। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ চলছে চলবে। তার সঙ্গে আমি রয়েছি। তবে জানেন তো বদলটা আনতে হবে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে। সবার আগে ভাবুন, আপনার বাড়ির পরিবেশটা সুস্থ তো! আপনার পরিবারেরই কেউ আপনার কন্যা সন্তানের মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে উঠছেন না তো? ওরা ভয় পায়, ওরা বলতে পারে না। আমিও বমি করে ফেলি, যখন আমার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে। দিনের পর দিন এই যন্ত্রণার শিকার আমি।

আপনি পরিবারের কাউকে জানাননি কখনও?

জানিয়েছি, আমার মাকে। বলেছিলেন, “চুপ-চুপ। লোকে শুনলে কী বলবে? ঝগড়া হবে”। তখন আমার বয়স ১০। আমার পরিবারের এক সদস্য আচমকাই আমার স্তন স্পর্শ করেন। সে যে কী চরম মানসিক যন্ত্রণা, আমি বলে বোঝাতে পারব না। আর এই ক্ষত কোনও দিন সারে না। আজও মনে পড়লে রাগে-ঘেন্নায় গা-টা জ্বলে যায়। একবার নয়, বারবার। বারবার। আমাদের বাড়িতে প্রণামের খুব ঘটা ছিল। মাঝে মধ্যেই মা তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। আমার কাছে ওই কটাদিন হয়ে উঠত শাস্তি।

কখন মনে হল এই নিয়ে কথা বলা যায়?

মনে আমার তখনই হয়েছিল। একবার সহ্য করতে না পেরে আমার বোন-বউদিকে জানিয়েছিলাম। জানতে পারলাম তাঁদেরও অভিজ্ঞতা এক। ভাবতে পারছেন, আমার বোন আমার থেকেও তিন বছরের ছোট। বারবার কোলে বসাতে চাইত। আজ তিনি মারা গিয়েছেন বলে তিনি চরিত্রবান! মরে গেলেই মানুষ দেবতা হয়ে যায়! কখনই নয়। আমি কোনওদিন তাঁকে ক্ষমা করব না।

প্রতিবাদ করা শুরু করলেন কবে থেকে?

অনেক পরে, অনেকটা পথ পেরিয়ে। কারণ বেড়ে ওঠার সময়টাই তো দেয়নি আমায় সমাজের এই অন্ধকার দিক। আমি তখন ক্লাস এইটে। বাবার হাত ধরে একবুক স্বপ্ন নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম টেবিল টেনিস ব্যাট কিনতে। ফিরতি পথে বাস থেকে নামার সময় আমার নিতম্বে আচমকাই স্পর্শ। মুহূর্তে যেন কত কী হয়ে গেল। আমি তখন ব্লান্ট। বাস থেকে নেমে বমি করে ফেললাম। ওই ব্যাটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেল জঘন্য একটা স্মৃতি। জানেন, আমার আর কোনওদিন TT খেলা হল না। ব্যাটগুলো দেখলেই ঘেন্না হত। তবে এখন ছেড়ে কথা বলি না। একেবারে ‘কে**’ রেখে দেব। শব্দটা বাদ দেবেন না কিন্তু। এটাই ঝিলম। আমি একা নয়, আমার বিশ্বাস সকলেই। প্রতিটা মেয়ের মনে এখন আগুন জ্বলছে।

এখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়?

নাহ্। এখন আমি পরিচিত মুখ। তাই কেউ সাহস করে না। তবে আমার পাশে হাঁটতে থাকা এক বান্ধবীর স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে দিয়েছিলাম আচ্ছা করে। এমন কোনও কটুকথা নেই, যা আমি সেদিন বলিনি। এই ছবি কোথায় নেই বলুন তো! যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই দেখবেন, কেউ না কেউ বিরক্ত করেই চলেছে।

‘আমি নেহাতই শিশু, মেয়ে হয়ে দোষী’ – তাহলে বলছেন মেয়ে জন্ম পাপের?

আমি সেই তালিকায় পড়ি না, যেখানে পুরুষ মানেই ধর্ষকের তকমা দিতে হবে। একেবারেই নয়। এটা কিছু মানুষের মানসিক বিকার। তাদের হাতে পড়ে গেলে তো নিঃসন্দেহে জীবনটা যন্ত্রণারই মনে হয়। যেমন আমাদের বোনের (তিলোত্তমা) হয়েছে। সে তো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। সে কি জানত, তাঁর একটা রাতের ঘুম জীবন কেড়ে নেবে? আমি জানি না সেই রাতে কী হয়েছিল? আমি ডাক্তারের ভাষা বুঝি না। তবে ডাক্তাররা খবরের চ্যানেলে এসে ভেঙে যা বুঝিয়েছেন, তাতে একটা বিষয় বুঝছি, এটা একজনের কাজ নয়। তারা কারা? তারা এখন কোথায়? আচ্ছা একটা কথা বলুন তো, হাসপাতালে গিয়ে সাধারণ একটা ডাক্তারের ঘর খুঁজতে মানুষ নাজেহাল হয়ে যায়, দরজায় দরজায় ঘোরে, সেখানে কোথায় সেমিনার ঘর, সেখানে কোথায় কে ঘুমচ্ছে বাইরের লোক জানে কী করে?  আমার বোনটাকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি? কেন আমার বোনটা লালসার শিকার হল? প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। ওই যে বললাম, বিপ্লব শুরু হোক ঘর থেকে।

“আমার বাড়িতে আজও বলিনি এসব…”, আপনার গানের নিচেই একজন কমেন্ট করে গিয়েছেন, কতজন পারে সাহস করে বলতে?

পারতে হবে। পারতেই হবে। বড় ক্রাইম ঘটার আগেই মানুষগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। আমাদের ভারতীয় কালচারে একটা কথা আছে, লোকে কী বলবে! আর এখানেই আমরা পিছিয়ে পড়ি। তবে সাহস রাখতে হবে। স্কুলের পঠনপাঠন পাল্টানোর কথা হচ্ছে। ‘গুড টাচ ব্যাড টাচ’ শেখানো হচ্ছে। আরে ম্যাডাম, এ পোড়া দেশে তো পতিতাকেও ধর্ষণ করা হয়। না কথার অর্থ যে না, সেটা বোঝে না এরা। মায়েরা শুনবে না এটা হয় না। আমি সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, এবার মুখটা খুলুন, কথা বলুন। তবু তো আমার বোনটা ডাক্তার হয়েছে, একটু গ্রামে গিয়ে দেখুন, এখনও অসাধু সাধুবাবাদের হাতে বাড়ির বউকে তুলে দেওয়া হয় বাড়ির ব্যবসায় উন্নতির জন্য, সন্তান ধারনের জন্য। তারা কোথায় পালাবে বলুনতো!

অধিকাংশ মেয়েই তো লজ্জায় কষ্টে নিজেকে আড়াল করে নেয়, ভয় পায়…

কীসের ভয়? আচ্ছা বলুনতো নির্যাতিতার মুখ কেন ঢাকা থাকবে? সে কী অন্যায় করেছে? কারও গয়না চুরি গেলে যখন আপনি প্রশ্ন করেন, তখন কি তাঁর মুখ ঢেকে দেন? দেন না তো! তাহলে কারও সম্মান চুরি গেলে কেন তাঁর মুখ ঢাকা হবে? উল্টে সে তো সাহসী, প্রতিবাদ করছে। সামনে এসে দোষীকে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মেয়েদের হয়ে লড়াই করছে। আজ আমাদের বোন (তিলোত্তমা) এত মেয়ের লড়াইয়ের মুখ হয়ে উঠল না, বলুন তো! আর কত দিন? আর কবে?

পথে একা একটা মেয়ে আজও ভয় পায়, প্রতিবাদের মিছিলের মাঝেই তো কত কী ঘটে যাচ্ছে!

যাচ্ছে তো। কারণ ওই যে, মহিলাদের লড়াইয়ে পুরুষ ঢুকে গিয়েছে। তাতে আমার আপত্তি নেই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার সময় এটা। কিন্তু তাঁদের উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে কয়েকজন আন্দোলনটাকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে। প্রতিটা মিছিলে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। আমাদের শ্রীরামপুরেও ঘটেছে। আমি চাই এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদ মানুষে নিজের জীবনের তিক্ততার প্রতিবাদ হিসেবে গড়ে তুলুক। কে যৌন নিগ্রহের শিকার হননি বলুন তো! এবার থেকে মাটিতে ফেলে মারুন। পেপার স্প্রের যুগ গেছে। ব্যগে এবার থেকে ছুরি কাঁচি রাখুন। দেখবেন, সব পালাবে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এতদিন কোথায় ছিলেন? তিলোত্তমার আগেও তো কত গ্রাম থেকে কত খবর আসত, মানুষ তো পথে নামেনি?

গোটা ভারতের নানা প্রান্তে প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে। মানুষ না কোথাও গিয়ে মেনে নিতে শুরু করেছিল যৌন হেনস্থা হয়। সহ্য ক্ষমতা বাড়িয়ে ফেলেছিল মেয়েরা। ইগনোর করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ভিতরের চাপা কষ্টটা কোথায় যাবে? দেখুন, ওটাই আজ দাবানল। সহ্যের সীমা যে পার হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তো আপনাদের রিচ কমে যাচ্ছে…

কণ্ঠ রোধ করে কি আর সত্য ঢাকা যায়! শাক দিয়ে কি গেল মাছ ঢাকা? গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। আমাদের কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের একটা সমস্যা আছে। আমরা যা নিয়েই কথা বলি না কেন, রাজনীতিটা কেউ না কেউ জুড়ে দিয়ে যান। এটা নিয়ে মুখ খুললে আমি তৃণমূল, ওটা নিয়ে মুখ খুললে আমি বিজেপি। বিশ্বাস করুন আমি কোনও পার্টি করি না। একটা সময় এই রিচের জন্য স্থির করেছিলাম আর কোনওদিন ভিডিয়ো বানাব না। কোনওদিনও না। জানেন যে ব়্যাপটা নিয়ে আপনি আমি এত কথা বলছি, সেটা আমার পেজ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। অনেকেই আমায় প্রশ্ন করছেন ‘গানটা কই?’ পুরো গানটা মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না। কীসের এত ভয়! একটা মেয়ে ১০টা মেয়ের সত্যি সামনে এনেছে বলে? আমার জীবনে ঘটেছে বলেই তো এই গান আমার হাত দিয়ে বেরিয়েছে।

সত্যি কি এই অভিশাপ কাটবে বলে বিশ্বাস করেন আপনি?

গোটা বিশ্বে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মেয়েদের যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় না। তাই হলে হাল ছাড়লে তো হবে না। আমি বিশ্বাস করি এভাবেই সম্ভব। চিৎকার করে প্রতিবাদ করতে হবে। বাসে ট্রামে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখলে চলবে না।

একশ্রেণি তো এর মধ্যেও বলছেন, পথে নেমে কী লাভ? 

আমি জানি আমার হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। আমার হাতে আইন নেই। তবে আমি সেই জনগনের অংশ যাঁরা প্রশাসন তৈরি করতে সাহায্য করে ভোটের মাধ্যমে। তাই গলার আওয়া তো তুলতেই হবে। আমরা কাজ করছি, ব্যস্ত রয়েছি, কিন্তু প্রতিবাদ ভুলছি না। নাম না নিয়েও অভিযোগ করা যায়। চিৎকার করতে হবে। এটা ভাবার দিন গিয়েছে, যে গলা তুলে কী হবে, মেয়েটা কি ফিরবে? আমরা জানতাম নিরাপত্তা নেই, কিন্তু সেই ভয়কে মাথাচারা দিয়ে উঠতে দিইনি। এবারও যদি পথে না নামি, আর কবে? আর কবে? শেষে এটুকুই অনুরোধ করতে চাই, আর চুপ করে মেনে নেওয়া নয়। এবার চলুন আমরা সবাই মিলে রুখে দাঁড়াই।

ঝিলমের আর্জি– আমার এই গানটা বহু মানুষ পছন্দ করেছেন। ভালবাসা দিয়েছেন। কারণ আমি বিশ্বাস করি সকলে আমার কথাগুলোর সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন। আমার অনুরোধ, কথা বলুন। আপনাদের যন্ত্রণাগুলোও ভাগ করে নিন। আমার কমেন্টবক্স আপনাদের জন্য খোলা। আসুন আমরা সকলে মিলে এদের মুখোশ টেনে খুলি।

প্রসঙ্গত, ঝিলম গুপ্তর মুক্তি পাওয়া গান, ‘তোমার স্বর আমার স্বর’-এর মিউজিক সামলেছেন ‘এক্স প্রেম’ খ্যাত সুরকার সপ্তক সানাই দাস ও ভিডিয়োটি পরিচালনা করেছেন শ্রেয়তমা দত্ত।