National Film Awards 2022: মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলনের বিষয় স্বীকৃত জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে, কী প্রতিক্রিয়া আন্দোলনকর্মী রত্নাবলী রায়ের?
Ratnabali Ray: 'থ্রি সিস্টার্স' একটি নন-ফিচার ছবি। সেই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত রত্নাবলী রায়। তিনি কী বললেন TV9 বাংলাকে?
‘অভিযাত্রিক’-এর সঙ্গে-সঙ্গে ৬৮তম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে একটি সামাজিক ছবি। ‘থ্রি সিস্টার্স’ পুরস্কৃত হয়েছে নন-ফিচার সেকশনে। ডকুমেন্টারি ছবিটির প্রযোজক মানবাধিকার তথা সমাজকর্মী রত্নাবলী রায়। পরিচালনা করেছেন পুতুল রফি মাহমুদ। মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বোঝাতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন রত্নাবলী ও তাঁর মতো আরও অনেকে। ‘থ্রি সিস্টার্স’ সেই রকমই একটি নন-ফিচার ছবি। সেই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত রত্নাবলী রায়। তিনি কী বললেন TV9 বাংলাকে?
রত্নাবলীর কথায়, “আমি তো সবটাই আপনাদের কাছ থেকেই শুনছি। আমি এখনও বিষয়টা বিশ্বাসই করতে পারছি না। ভাবতেই পারছি না… আশাতীত বিষয় ঘটে গেল… অনেকদিন আগে আমরা ছবিটা জমা দিয়েছিলাম। বিষয়টা হল এই যে, এটা আমাদের ট্রিলজির দ্বিতীয় ছবি। ট্রিলজির নাম ‘লাভ ইন দ্য টাইম অফ ম্যাডনেস’। ট্রিলজির প্রথম ছবি ‘অতসী’ মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে। সেটা সম্ভবত বছর দু’-এক আগের কথা। এইবার ‘থ্রি সিস্টার্স’ পেল জাতীয় পুরস্কার।” সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমি কিন্তু এটাকে নিজের ব্যক্তিগত সাফল্য হিসেবে দেখছি না। এটা আমাদের মেন্টাল হেল্থ সেক্টরের জয় বলে মনে করছি। কারণ গত ২৭ বছর ধরে মানসিক স্বাস্থ্যকে আমরা সংলাপের কেন্দ্রে আনতে চাইছি। ‘থ্রি সিস্টার্স’-এর পরিচিতি, ‘থ্রি সিস্টার্স’-এর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সেই সংলাপকে কেন্দ্রে আনারই একটা পদক্ষেপ।”
‘থ্রি সিস্টার্স’ কীসের কথা বলেছে?
রত্নাবলী বলেছেন, “তিন বোনকে নিয়ে ‘থ্রি সিস্টার্স’। যে তিন বোন এখনও পর্যন্ত মানসিক হাসপাতালে রয়ে গিয়েছেন। গোটা ফিল্মটাই একটি রোড ট্রিপ। আমরা সকালবেলা ওঁদের হাসপাতাল থেকে নিয়ে বেরোই। ওঁদের বাড়ি বনগাঁ। সেখানে যাওয়ার পথে গোটা যাত্রাকে ধরা হয়েছে ছবিতে। তারপর দেখানো হয়েছে পারিবারিক, সামাজিক প্রতিক্রিয়া। দেখানো হয়েছে, মনোরোগীদের প্রতি সমাজের কতখানি হিংসা, ঘৃণা জমে রয়েছে।”
‘থ্রি সিস্টার্স’-এর পরিচালক পুতুল রফি মাহমুদ। তিনি প্রযোজনা করেছিলেন ‘কসমিক সেক্স’ ছবিটিও। তাঁর সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন রত্নাবলী। রত্নাবলীর কথায়, “ওঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করতে পারা আমাদের কাছে পরমপ্রাপ্তি। না হলে এই ধরনের বিষয়গুলো বোঝানোই মুশকিলের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।”