রাজনৈতিক দলকে বেছে নেওয়ার আগে কেন সতর্ক হওয়া ভাল? পোস্ট শেয়ার করলেন অনীক দত্ত
শ্রাবন্তী থেকে কাঞ্চন মল্লিক। সায়ন্তিকা থেকে রুদ্রনীল। রাজ চক্রবর্তী থেকে যশ! রাজনৈতিক মঞ্চে তারকাদের ‘স্পটলাইট’ নেওয়ার এই হিড়িকে ধাঁধিয়ে যাচ্ছে আমজনতার চোখ।
বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায়। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের তারিখ। লাল, সবুজ, গেরুয়া শিবিরও সাজিয়ে নিচ্ছে সব ঘুঁটি। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেতে যাঁদের নাম জ্বলজ্বল করছে, তাঁরা নেতা না অভিনেতা তা বোঝা দায়। শ্রাবন্তী থেকে কাঞ্চন মল্লিক। সায়ন্তিকা থেকে রুদ্রনীল। রাজ চক্রবর্তী থেকে যশ! রাজনৈতিক মঞ্চে তারকাদের ‘স্পটলাইট’ নেওয়ার এই হিড়িকে ধাঁধিয়ে যাচ্ছে আমজনতার চোখ। আজ যে অভিনেতা, সে কাল নেতা!
আরও পড়ুন বিজেপিতে যোগদানের দিনই মিঠুনের সঙ্গে ছবি পোস্ট, রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা?
এ হেন অবস্থাতে ‘বামমনস্ক’ বাঙালি পরিচালক ফেসবুক পোস্টে কটাক্ষ করলেন ‘দলে’ যোগ এবং ‘দলবদল’ করা সেলেবদের। বিপুল ভট্টাচার্য নামক এক ব্যাক্তির ফেসবুক পোস্ট, ‘কপি’ এবং ‘পেস্ট’ করলেন ‘ভুতের ভবিষ্যত’ খ্যাত পরিচালক অনীক দত্ত। কী লেখা ছিল পোস্টে?
‘উত্তরপাড়া হয়ে ফিরছিলাম। দাঁড়িয়ে গেলাম। ছাত্রীটি দুরন্ত বলছিল। ঝকঝকে একটি মেয়ে। খাপখোলা তলোয়ার। যুক্তি ও উপস্থাপনায়। বলছিল কোনও অভিনেতাকে ভাল লাগা মানেই, তিনি যে সাবানটা ব্যবহার করার জন্যে বিজ্ঞাপনী উপদেশ দিচ্ছেন সেটা কিনে আনা নয়। কারণ, এমনটা হতেই পারে যে সেই সাবানটি অতি ফালতু। উনি পয়সা পেয়েছেন সেটিকে এনডর্স করে কিন্তু নিজে কখনো ছুঁয়ে দেখেননি। বলল, যুবরাজ সিং বিজ্ঞাপন দিতেন রিভাইটাল বলে একটা সর্বরোগহর যৌবনবলবর্ধক ক্যাপসুলের। অ্যাড চালু থাকা অবস্থাতেই যুবরাজের ক্যানসার ধরা পড়ল। রাতারাতি যুবরাজকে সরিয়ে সলমান খানকে নিয়ে আসা হল রিভাইটালের গুণাগুণ কীর্তনে। জাস্ট রাতারাতি। বলল, ওই তেলের বিজ্ঞাপনটা আর দেখেন? সৌরভ যেখানে হার্ট পোক্ত রাখতে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ভোজ্য তেল খেতে বলত? নেই। সৌরভের বুকে স্টান্ট বসেছে। তাই ওই তেলের বিজ্ঞাপন থেকে তার মুখ উধাও। তাই বলল মেয়েটি, স্টার আসবে, স্টার যাবে, হয়তো আপনার অতি ভালবাসার মানুষ তাঁরা। রুপোলি পর্দার হার্টথ্রব। কিন্তু তাঁর পছন্দের সাবান, তেল বা রাজনৈতিক দলকে বেছে নেওয়ার আগে সতর্ক হওয়াটা ভাল। দেখে নেওয়া দরকার এটা বিজ্ঞাপনী ‘এনডর্সমেন্ট নয় তো?’
এমন এক সময়ে অনীকবাবু এই পোস্টটি করেন, যখন ব্রিগেড মাঠে একদা তৃণমূল ঘনিষ্ট অভিনেতা-সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী একেবারে ‘বাঙালিবাবু’ সেজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন উত্তরীয়। পোস্টটি একেবারে কাকতালীয় ছিল? নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? Tv9 বাংলার পক্ষ থেকে তাঁকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।