দুয়ারে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রবীণদের পাশে পুজো কমিটি
ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এখন কড়া প্রশাসন। ভ্যাকসিন ক্যাম্প করতে চাইলে ক্লাব সংগঠনগুলিকে সাত সাতটি হার্ডল টপকাতে হচ্ছে। হ্যাপা অনেকেই নিতে চাইছেন না। গোলমালের ভয়ে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছেন।
প্রীতম দে: ভ্যাকসিন নেওয়াটাই এখন ঝক্কির। না নিলেও আবার ঝুঁকি। বিশেষ করে বয়স হয়েছে যাঁদের। বাড়িতে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু দেবে কে?প্রবীণদের পাশে পুজো কমিটি।
ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এখন কড়া প্রশাসন। ভ্যাকসিন ক্যাম্প করতে চাইলে ক্লাব সংগঠনগুলিকে সাত সাতটি হার্ডল টপকাতে হচ্ছে। হ্যাপা অনেকেই নিতে চাইছেন না। গোলমালের ভয়ে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছেন। আদতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজটাই পিছিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ অবশ্য মরিয়া। বাগুইহাটি শাস্ত্রী বাগান পুজো কমিটির সদস্যরা যেমন। বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে শেষমেষ মিলেছে ছাড়পত্র। অনেক ইনস্পেকশনের পরে।
আরও পড়ুন-হাসপাতালে ভর্তি ‘কোকিলাবেন’ রূপল পটেল, কেমন আছেন তিনি?
আরও একধাপ এগিয়ে তারা করছেন দুয়ারে ভ্যাকসিন । পাড়ায় এমন বহু প্রবীণ মানুষ আছেন যারা বেরোতে পারবেন না । এখন গিয়েও মিলছে না বাড়িতে গিয়ে দেবেটা কে ? বাগুইহাটির শাস্ত্রীবাগান ক্লাবের তরুণ ব্রিগেড এবার পুজোর দায়িত্বে। তারা বলেছে যা হয় হোক আমরা পাড়ার জেঠু জেঠিমা দাদু ঠাকুমারা যাতে বাড়িতে বসেই ভ্যাকসিন পান। দিপালী ভট্টাচার্য। ৮২ বছর বয়স। ভ্যাকসিন নিতে যাওয়া সম্ভব নয়। ৮৭ বছরের সুধীরময় সরকার কিংবা ৭২ এর পূর্ণিমা সেনগুপ্ত। বাড়িতে ভ্যাকসিন নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই । “পাড়ার এইসব মানুষগুলোর মুখ চেয়েই আমরা মরিয়া হয়ে ছিলাম যে করেই হোক টিকার ব্যবস্থা করতেই হবে। আমরা খুব খুশি যে আমাদের চেষ্টা বিফলে যায়নি,” বললেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি শাস্ত্রী বাগান পুজো কমিটির কর্মকর্তা।