Durga Puja 2021: পুজোর অ্যালবামের নস্ট্যালজিয়াকে উস্কে মুক্তি পেল ‘পুজোর গান’
Durga Puja 2021: পুজোর গানের অ্যালবামের ঠাঁই এখন স্মৃতির মণিকোঠায়। এ বারের পুজোয় বাঙালির সেই স্মৃতিমেদুরতাকে নতুন করে উস্কে দিলেন সুরকার এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। পুজোয় গান রিলিজের পুরনো রীতিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনতে তিনি তৈরি করে ফেলেছেন গোটা একটা পুজোর আলব্যাম।
পুজো আসছে। দুর্গাপুজো। কী ভাবে বুঝবেন? একটু একটু করে বদলাবে রোদ্দুরের রং। ভোরের দিকে হালকা ঠাণ্ডার অনুভূতি। কুমোর পাড়ায় বাড়বে ব্যস্ততা। আর ফাইনাল বেল পড়ে গেল মহালয়ার ভোরে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়া বাঙালির নস্ট্যালজিয়া। রেডিও যেন বাঙালির বাড়িতে ওই একটা দিনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে মহালয়া শুধুমাত্র রেডিও নস্ট্যালজিয়া নয়। টেলিভিশনে বিভিন্ন চ্যানেলেও মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়। কোন চ্যানেলে কোন অভিনেত্রী দুর্গা হবেন, তা নিয়ে আগাম জল্পনা চলতে থাকে। শুধু দুর্গা নন, বাকি দেব-দেবীদের নিয়েও তো জল্পনা তৈরি হয়। তবে দুর্গাকে ঘিরে আলাদা উৎসাহ থাকেই। দুর্গার সাজ-পোশাক নিয়ে জল্পনা চলতেই থাকে। এর মধ্যেই নতুন গানও জানান দেয়, পুজো এসে গিয়েছে।
এখন আর আগের মতো পুজোর গানের আলব্যাম রিলিজ করে না। এখন শিল্পীরা যে যাঁর নিজের মতো পুজোর গান গেয়ে ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন। পুজোর গান প্রকাশের এখন এটাই নতুন চল। পুজোর গানের অ্যালবামের ঠাঁই এখন স্মৃতির মণিকোঠায়। এ বারের পুজোয় বাঙালির সেই স্মৃতিমেদুরতাকে নতুন করে উস্কে দিলেন সুরকার এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। পুজোয় গান রিলিজের পুরনো রীতিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনতে তিনি তৈরি করে ফেলেছেন গোটা একটা পুজোর আলব্যাম। এই আলব্যামে ঠাঁই পেয়েছে মোট ছয়টি বাংলা গান। ছ’টা গানেরই সুর বেঁধেছেন ইন্দ্রদীপ নিজে। গানগুলি লিখেছেন ঋতম সেন, শ্রীজাত এবং সুব্রত বারিসওয়ালা। গানগুলি গেয়েছেন শান, মোনালি ঠাকুর, রূপঙ্কর বাগচী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, শুভমিতা এবং ইমন চক্রবর্তী। সম্প্রতি পুজোর আলব্যামটি মুক্তি পেয়েছে। আলব্যামটির নাম ‘পুজোর গান’।
এই অ্যালবামের প্রসঙ্গে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত বললেন, “নন-ফিল্মি গানের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আলবাম তো আমরা আর কেউ করিই না। সোশ্যাল মিডিয়া এসে সব ওলট-পালট করে দিয়েছে। বহু বছর পর বিশেষ করে পুজোতে আবার আলবামের জন্য গান বেঁধে সত্যি খুব ভাল লেগেছে। এর জন্য ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য শ্যাম স্টিলের। ওদের উদ্যোগেই আবার পুজোয় আলব্যাম রিলিজ সম্ভব হল। বাটারফ্লাই ফিল্মস এবং মিউজিকের অবদানও অনেক।” তবে সুরকার একটু অনুযোগের সুরেই বললেন, “আলবামে বলিউডের শিল্পীকে রাখতে হবে, এমন মনোবভাব থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। পরের বছর আলবামের সবকটা গানই যেন বাংলার শিল্পীরাই গাইতে পারেন, আমাদের সেই পথ করে দিতে হবে। আর অবশ্যই আমাদের নন-ফিল্মি গানের সংখ্যা বাড়াতে হবে।”
ইমনের কথায়, “ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্দ্রদীপদাকে আমি গুরু মানি। আমি যে ধারার গান গাই, তার থেকে একদম অন্য ধারার গান উনি আমায় দিয়ে গাইয়ে নিয়েছেন। এই গানটা গাওয়ানোর আগে আমায় ইন্দ্রদীপদা বলেছিল, ‘দিনরাত তো ফ্যাশন করেই বেড়াস, এ বার হারমোনিয়াম নিয়ে বসে এই গানটা তুলে নে।’ কতটা পারলাম, আপনারা বলবেন।”
শুভমিতা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তকে আগে তিনি বেশ ভয়েই পেতেন। এখন অবশ্য কাজ করতে করতে সেই ভয় অনেকটাই কেটে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “একটু ভুলচুক হলেই আইডি বকাবকি করতেন। ভয়ে ভয়ে থাকতাম। এখন অবশ্য আমরা অনেকটাই বন্ধু হয়ে উঠেছি।” বহু বছর পর পুজোর আলব্যাম গান গাইতে পেরে রাঘব চট্টোপাধ্যায় এবং রূপঙ্কর দুজনেই খুশি। তাঁরা দুজনেই অনেক দিন পর নন-ফিল্মি গানে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁরা কাজ করলেন।