Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছিল ‘জন গণ মন’, স্বরলিপি রচয়িতা ছিলেন কে?

AzadiKaAmritMahotsav: Besant Theosophical কলেজেই ছিল সেই ঐতিহ্যশালী নথি, যেখানে 'জন গণ মন' লেখা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের সংরক্ষণে সেই নথি বহু বছর থাকার পরে, শেষ পর্যন্ত কিনে নেন এক মার্কিন আর্ট কালেক্টর।

ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছিল 'জন গণ মন', স্বরলিপি রচয়িতা ছিলেন কে?
গ্র্যাফিক্স- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2021 | 6:28 PM

ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, এই তথ্য তো সকলেরই জানা। ১৯১১ সালে লেখা হয়েছিল এই গান। কিন্তু এ দেশের এমন অনেকেই হয়তো রয়েছেন যাঁরা জানেন না যে, এই গানের একটি ইংরেজি অনুবাদও করা হয়েছিল। ‘জন গণ মন’-র ইংরেজি অনুবাদের নাম ছিল ‘মর্নিং সং অফ ইন্ডিয়া’। ১৯১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সেই গানে সুরও দেওয়া হয়। সেই সময়ে মদনপাল্লে নামের এক অখ্যাত জায়গায় অল্প কয়েকদিনের জন্য থেকে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

প্রাথমিকভাবে ইতিহাসের পাতায় মদনপাল্লে সেভাবে খ্যাতি না পেলেও বিশ্বকবি সেখানে থাকতে যাওয়ার পর কার্যত রাতারাতিই বিখ্যাত হয়ে যায় ওই জায়গা। আইরিশ কবি জেমস এইচ কাজিনের সঙ্গে সেই সময় ওই এলাকায় থেকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তৎকারী Besant Theosophical কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন কবি কাজিন। সেই সময়ের আগে পর্যন্ত ‘জন গণ মন’ কেবলই ‘লিরিক’ ছিল। কিন্তু এরপর কবি জেমস কাজিনের স্ত্রী মার্গারেট (সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ) এই লেখার সুর দিয়েছিলেন। অর্থাৎ স্বরলিপি রচনা করেছিলেন। তারপরই আসল সঙ্গীত হয়ে উঠেছিল এই লেখনী। আজও তা অনুসরণ করা হয়। শোনা যায়, ‘লিরিক্স’- এর প্রতিটি শব্দের অর্থ আলাদা করে বুঝে নিয়েছিলেন মার্গারেট। তারপর কম্পোজ করেছিলেন সুর। সানন্দে তা পছন্দ করেছিলেন কবিগুরু।

১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ‘জন গণ মন’-কে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু মিজিশিয়ান হার্বার্ট মুরিলকে এই গানের সুর প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানাতে বলেছিলেন। ‘জন গণ মন’-র সুর শুনে প্রথমে মুরিলের মনে হয়েছিল এই গান একটু ধীর গতির অর্থাৎ স্লো। তাই গানের টেম্পো খানিকটা বাড়িয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীত La Marseilles-এর আদলে গড়ে তুলেছিলেন নতুন গান। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কেএসএস সেশান জাতীয় সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু’র একটি সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছিলেন।

বর্তমানে অবসরের পরে সেই ঐতিহাসিক স্থান মদনপাল্লেতেই থাকেন অধ্যাপক সেশান। ‘দ্য হিন্দু’- র ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, Besant Theosophical কলেজেই ছিল সেই ঐতিহ্যশালী নথি, যেখানে ‘জন গণ মন’ লেখা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের সংরক্ষণে সেই নথি বহু বছর থাকার পরে, শেষ পর্যন্ত কিনে নেন এক মার্কিন আর্ট কালেক্টর। তবে বিক্রির আগে দেশ থেকে চিরতরে এই নথি বিদায় দেওয়ার আগে একটি ফটোকপি করিয়ে রাখা হয়।

TV9 News Network কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্য়োগ #AzadiKaAmritMahotsav। Rashtragaan-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। আসুন, নিজের গলায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে www.rashtragaan.in-এ আপলোড করে এই মহতী উদ্য়োগে অংশগ্রহণ করুন।