Rupankar Bagchi Controversy: ‘অসহায়তা থেকে লিখলাম..’, রূপঙ্কর-বিতর্কে কবীর সুমনের অবস্থান কী? খোলাচিঠি গায়কের
Kabir Suman: কেকে’কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রূপঙ্কর। এর পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষমাও চান তিনি।
নেটিজেনদের কাঠগড়ায় রূপঙ্কর দোষী। একদিকে তিনি যেমন ক্রমাগত পেয়ে চলেছেন খুনের হুমকি ঠিক তেমনই হাতে গোনা শিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে মনে করেছেন। এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন কবীর সুমন। এর আগে যদিও এই নিয়ে এক কবিতা লিখেছিলেন তিনি। তবে এবার লিখলেন এক খোলাচিঠি। রূপঙ্করের পাশে থাকার বার্তাই কি দিলেন সেখানে?
কবীর সুমন লিখেছেন, “… বন্ধুদের বলছি – একটি ভিডিও- উক্তির মধ্য দিয়ে যে অবস্থাটা তৈরি হয়েছে তা অবিলম্বে শেষ হওয়া দরকার। জীবনে একাধিকবার এরকম অবস্থায় পড়তে হয়েছে আমাকেই, মব লিঞ্চিংয়ের চাঁদমারি। অল্প কিছুদিন আগে আবার পড়েছিলাম। এখন আমারই এক সহপেশাজীবী গণরোষ গণ-আক্রোশের মুখে। আর এক সহপেশাজীবী মারা গেছেন।” গায়ক আরও লেখেন, “এরকম অবস্থায় আমাদের সকলের কর্তব্য আমাদের আবেগগুলোকে যথাসম্ভব সংযত রাখা। কিছু লোক হৈচৈ করে যাবেন। গণহিস্টিরিয়ায় আছেন তাঁরা। তাঁদের উদ্দেশে বলছি না। আমি বলছি আমার বন্ধুদের। আমরা এবার শান্ত হই।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপঙ্করকে তুলোধনার কার্যত বিরোধিতা করেই তাঁর আরও বক্তব্য, “যিনি মারা গেছেন তিনি বেঁচে উঠবেন না সমাজের এক অংশের আক্রোশের মগজহীণ আতিশয্যে। আসুন, চেষ্টা করি বিচারক না সাজতে। আমি নিজেকেও বলছি। বলছি আমার অস্থিরতা ও কষ্ট থেকে। আসুন চেষ্টা করি এই বিষয়টা নিয়ে আর না ভাবতে। এই বয়সে এই মুহূর্তে আর কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। অসহায়তা থেকে লিখলাম।” মন্তব্য বক্সে অবশ্য গায়কের সঙ্গেই সহমত পোষণ করেছেন তাঁর অনুরাগীরা।
কেকে’কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রূপঙ্কর। এর পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষমাও চান তিনি। পাঠ করেন এক বিবৃতি। যদিও সাংবাদিকদের তরফে কোনও প্রশ্ন শুনতে চাননি তিনি। বিবৃতিতে রূপঙ্কর লেখেন, “প্রথমেই প্রয়াত কেকের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার যে ভিডিয়োটি গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ও তাঁর বাইরে এত বিরামহীন উত্তেজনার উপাদান হয়েছে, এখানে এক্ষুনি পৌঁছানোর আগে আমি ফেসবুক থেকে ডিলিট করলাম। পরলোকগত গায়কের পরিবারের কারওর সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমেই বারবার জানাচ্ছি, আমি দুঃখিত। কেকে আজ যেখানেই থাকুন, ঈশ্বর যেন ওকে শান্তিতে রাখেন। ” তাঁর ক্ষমা চাওয়ার ধরণ নিয়েও উঠেছিল এই প্রশ্ন। এ বার মুখ খুললেন তাঁরই জ্যেষ্ঠ। আপনি কি সহমত?