KK Memory: ‘অন্যদের সঙ্গে তাঁদের বাবার সম্পর্কের গল্প আমার অবিশ্বাস্য লাগে’, কেকে প্রয়াণের ৩ সপ্তাহ পর মৌনতা ভাঙল পুত্র

Viral Post: কলকাতার বুকে মায়ের হাত ধরে কেকে পুত্র নকুল কৃষ্ণ এসেছিলেন বাবার মৃতদেহ নিতে। সেদিন চোখে কালো চশমা, মুখে ছিল না একটি কথাও। তারপর চুপ করেই কেটে গিয়েছে তিনটি সপ্তাহ।

KK Memory: 'অন্যদের সঙ্গে তাঁদের বাবার সম্পর্কের গল্প আমার অবিশ্বাস্য লাগে', কেকে প্রয়াণের ৩ সপ্তাহ পর মৌনতা ভাঙল পুত্র
কলকাতায় এসে মৃত্যু হয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 7:26 PM

কেকের প্রয়াণ ঘটেছে তিন সপ্তাহ পার। আকষ্মিক এই মৃত্যুকে শোকে সকলেই হতবাক। কিছুক্ষণ আগে যে মানুষটার কণ্ঠে এত সুন্দর গান সকলে উপভোগ করছিলেন, সেই মানুষটাই তখন সকলের অলক্ষ্যে পা বাড়িয়েছিলেন মৃত্যু পথে। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সবটা শেষ। এক কথায় আজও অবিশ্বাস্য গায়ক কেকে আর নেই। পরিবারের মনের অবস্থাটা এর থেকেও ভয়ানক। গান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়েছিলেন কেকে, আর ফেরা হয়নি।

কলকাতার বুকে মায়ের হাত ধরে কেকে পুত্র নকুল কৃষ্ণ এসেছিলেন বাবার মৃতদেহ নিতে। সেদিন চোখে কালো চশমা, মুখে ছিল না একটি কথাও। তারপর চুপ করেই কেটে গিয়েছে তিনটি সপ্তাহ। তিন সপ্তাহের মাথায় মৌনতা ভেঙে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগ ঘন খোলা চিঠি বাবার উদ্দেশ্যে লিখলেন নকুল কৃষ্ণ। যেখানে ফিরে এল শৈশবের স্মৃতি, কৈশরে বাবার বন্ধু হয়ে ওঠা। নকুল লিখলেন- “তিন সপ্তাহ আগে ঠিক কী ঘটেছিল, এটা বুঝতে আমার একটু সময় লেগে গেল। এই যন্ত্রণা বর্তমানে শারীরিক। আমি এখনও হতবাক। মনে হচ্ছে কেউ যেন আমার বুকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমি কিছু বলতে চাইছি, আমার বাবাকে নিয়ে কিছু শেয়ার করতে চাইছি, অবশেষে আমি বুঝলাম আমি পারছি না, কারণ আমার আঘাত। আমি সত্যি বুঝলাম সত্যিকারের যন্ত্রণা কাকে বলে।”

এখানেই শেষ নয়, নকুল কৃষ্ণ আরও লিখেচলেন- “এখন বুঝতে পারছি কী প্রিভিলেজ তুমি আমায় দিয়েছ। শুধু একটা সুরক্ষিত জীবনই নয়, এই আক্ষেপটা আমার সারা জীবনের, যে আমি কতটা প্রিভিলেজ ছিলাম তোমায় প্রতিটা দিন চোখের সামনে দেখতে পেতাম। কত মানুষ তোমায় একবার দেখতে চায় আজ। আর আমরা তোমার ভালবাসায় প্রতিটা মুহূর্তে বেড়ে উঠেছি। সব কিছুতে তোমার মতামত বিচক্ষণতা দেখেছি, তুমি মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে দেখেছি, প্রতিটা কাজ তুমি কত যত্নের সঙ্গে করতে দেখেছি সব কিছুই। বিশেষ করে গান। কেবল পজিটিভির ওপরেই তুমি ফোকাস করতে শিখিয়েছিলে।”

নকুরের কথায়, “তোমার সমান-সমান মনে করেছি নিজেকে, কারণ তুমি সেভাবেই আমার সঙ্গে ব্যবহার করতে। আগলে রাখতে। কোনও আলোচনায় আমায় বড়দের মতই গুরুত্ব দিতে। তবে বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্রই আমার ওপর নজর রাখতে। ভরসা রেখেছ আমার ওপর তুমি সারা জীবন। যা করতে চেয়েছি পাশে থেকেছ। তোমার মতামত বুঝিয়ে বলেছ, আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছ। সকলেই তাদের বাবাদের সঙ্গে সম্পর্কের যে গল্প করে, তা আমার কাছে অদ্ভুত। বাবা হিসেবে তুমি নিজেকে সেই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলে। বাবার থেকেও বেশি তুমি ছিলে আমার কাছে বন্ধুর মত। কেবল আমাদের হৃদয়েই নয়, লক্ষ লক্ষ হৃদয়ে তোমার স্থান।-ইতি নকুল” নকুলের এই পোস্ট দেখে আবারও আবেগে ভাসল ভক্তরা। কমেন্টবক্স ভরে উঠল শোকবার্তায়।