Lopamudra Mitra: এ বার পুজোয় আমার নতুন গান ‘আব্বুলিশ’: লোপামুদ্রা মিত্র

Lopamudra Mitra: পুজোর গানের আমেজ এখনও আলাদা। বাঙালির কাছে এখনও পুজোর গানের আবেগ আলাদা। হতে পারে এক সময় ক্যাসেট রিলিজ করত। তারপর এল সিডির যুগ।

Lopamudra Mitra: এ বার পুজোয় আমার নতুন গান ‘আব্বুলিশ’: লোপামুদ্রা মিত্র
লোপামুদ্রা মিত্র। ছবি: ফেসবুক থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 7:16 AM

পুজো আসছে। দুর্গাপুজো। কী ভাবে বুঝবেন? একটু একটু করে বদলাবে রোদ্দুরের রং। ভোরের দিকে হালকা ঠাণ্ডার অনুভূতি। কুমোর পাড়ায় বাড়বে ব্যস্ততা। আর ফাইনাল বেল পড়েছে গতকাল অর্থাৎ মহালয়ার ভোরে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়া বাঙালির নস্ট্যালজিয়া। রেডিও যেন বাঙালির বাড়িতে ওই একটা দিনই আজও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে মহালয়া শুধুমাত্র রেডিও নস্ট্যালজিয়া নয়। টেলিভিশনে বিভিন্ন চ্যানেলেও মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়। কোন চ্যানেলে কোন অভিনেত্রী দুর্গা হবেন, তা নিয়ে আগাম জল্পনা চলতে থাকে। শুধু দুর্গা নন, বাকি দেব-দেবীদের নিয়েও তো জল্পনা তৈরি হয়। তবে দুর্গাকে ঘিরে আলাদা উৎসাহ থাকেই। দুর্গার সাজ-পোশাক নিয়ে জল্পনা চলতেই থাকে। এর মধ্যেই নতুন গানও জানান দেয়, পুজো এসে গিয়েছে।

ঠিক যেমন মুক্তি পেতে চলেছে সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রর পুজোর গান। সে প্রসঙ্গে লোপামুদ্রা বললেন, “এ বার পুজোয় আমার একটি নতুন গান ‘আব্বুলিশ’। কথা এবং সুর শুভাশিস দেব। আমার এই নতুন গানটি আপনারা শুনবেন। আশা করি খুবই ভাল লাগবে।”

পুজোর গানের আমেজ এখনও আলাদা। বাঙালির কাছে এখনও পুজোর গানের আবেগ আলাদা। হতে পারে এক সময় ক্যাসেট রিলিজ করত। তারপর এল সিডির যুগ। আজ হয়তো সবই ডিজিটাল। ভার্চুয়াল। কিন্তু নতুন গান, তথা পুজোর গানের আমেজ আজও যেন একই রকম। এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন লোপামুদ্রা। সদ্য মুক্তি পাওয়া পুজোর গান হয়তো এ বার বাজবে প্যান্ডেলেও।

বছরভর নানাবিধ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন লোপামুদ্রা। কখনও রিয়ালিটি শোয়ে বিচারকের দায়িত্ব সামলান। কখনও বা বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। কয়েক মাসে আগে যেমন করোনা আক্রান্তদের পাশে নিজের মতো করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন লোপামুদ্রা। আসলে করোনা আক্রান্তদের আইসোলেশনের ক্ষেত্রে অনেককেই একাকীত্ব ঘিরে ধরছিল। মন খারাপ হয়েছিল সর্বক্ষণ। তাঁদের সাহায্য করার জন্য চারণ ফাউন্ডেশন একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। গল্প করে, গান শুনে, আড্ডা দিয়ে কোভিড রোগীর মন ভাল করার চেষ্টা করেছিলেন লোপামুদ্রা স্বয়ং। কোনও প্রবেশমূল্য ছাড়াই কোভিড আক্রান্তরা মন ভাল রাখার এই সুযোগ পেয়েছিলেন।

কেন এই উদ্যোগ? কীভাবে হয়েছিল গোটা পরিকল্পনা? সে প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে লোপামুদ্রা বলেছিলেন, “আসলে আমার মন খারাপ লাগছে খুব। মনে হচ্ছে, এই সময় কারও জন্য কিছু করতে পারছি না। বাড়িতে বসে আছি। ভয়ও পাচ্ছি। আর্থিক ভাবে সাহায্যের জায়গাতে এই মুহূর্তে আমরা কেউ নেই। আমি শ্রম দিয়ে সাহায্য করতে পারি। আর আমার শ্রমদান মানে, গান বাজনা করা। কোভিড আক্রান্তদের অনেকেরই শুনছি ডিপ্রেশন হচ্ছে। আমার সঙ্গে কথা বলে, গান শুনে যদি মন ভাল হয়, সে চেষ্টা করব।”

এই আড্ডার সময়সীমা কতক্ষণ? লোপামুদ্রা কি একাই থাকবেন, নাকি অন্য কোনও শিল্পীও থাকবেন আড্ডায়? লোপামুদ্রা শেয়ার করেছিলেন, “আড্ডা ৩০ মিনিটেরও হতে পারে। আবার এক ঘণ্টারও হতে পারে। কতজন মানুষ থাকছেন, সেটা দেখে ঠিক করব। সময়সীমা এখনও ঠিক করিনি। আর আড্ডাতে আমিই থাকব। জয়ের (সঙ্গীত শিল্পী জয় সরকার) খুব ইচ্ছে থাকার। ও হয়তো কোনওদিন থাকবে। আর আমার কোনও শিল্পী বন্ধু যদি ভলান্টিয়ার করতে চান, অবশ্যই স্বাগত। কারণ বিনা পারিশ্রমিকে কাউকে এই আড্ডা, গানের আসরে অংশ নেওয়ার কথা আমি বলতে পারি না। কেউ নিজে থেকে করতে চাইলে, অবশ্যই করতে পারবেন।”

আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: কী ভাবে তৈরি হচ্ছে বাড়ির ঠাকুর? দেখুন সুদীপার শেয়ার করা ভিডিয়ো