Indian Football: মিশন অলিম্পিক-ফুটবল বিশ্বকাপ, টিভি নাইনের উদ্যোগে আপ্লুত দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য
Indian Tigers and Tigresses Campaign: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী যেমন টিভি নাইনের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, তেমনই নতুন প্রতিভাদের বার্তা দিয়েছেন, যাতে ২০৩৬ সালের অলিম্পিকের স্বপ্নে এগিয়ে চলে তারা। শুধু তাই নয়, এই উদ্যোগের হাত ধরে ভারত বিশ্বকাপ খেলবে, এমন আশাও রাখছেন মনসুখ মান্ডব্য।

ভারতীয় ফুটবলে নতুন প্রতিভা তুলে আনতে বিশেষ উদ্য়োগ নিয়েছে টিভি নাইন নেটওয়ার্ক। সেই ঐতিহাসিক টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেস প্রকল্প নিয়ে আপ্লুত দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। সারা দেশ জুড়েই ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের কাজ চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নতুন ফুটবল প্রতিভারা যাতে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন, এর জন্যই তৈরি করা হচ্ছে তাদের। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী যেমন টিভি নাইনের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, তেমনই নতুন প্রতিভাদের বার্তা দিয়েছেন, যাতে ২০৩৬ সালের অলিম্পিকের স্বপ্নে এগিয়ে চলে তারা। শুধু তাই নয়, এই উদ্যোগের হাত ধরে ভারত বিশ্বকাপ খেলবে, এমন আশাও রাখছেন মনসুখ মান্ডব্য।
ক্রীড়ামন্ত্রীর বিশেষ বার্তা- ভারতীয় সেনার উদাহরণ দিয়ে নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগান মনসুখ মান্ডব্য়। সেনা যেমন দেশের হয়ে লড়ছে, ঠিক সেভাবেই ক্রীড়াবিদরাও যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেতে পারেন, সে কথাই তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। ভারতীয় ফুটবলের স্বপ্ন পূরণ টিভি নাইন যে উদ্যোগ নিয়েছে সেই টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেস প্রকল্পে দুর্দান্ত সাড়া মিলেছে। ৫০ হাজারের বেশি ছেলে ও মেয়ে এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল। তার মধ্যে আঞ্চলিক ট্রায়ালের জন্য বাছাই করে নেওয়া হয়েছিল ১০ হাজার জনকে। সেখান থেকে অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে বিশেষ অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে ২৮ জন।
ইন্ডিয়ান টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেসের এই প্রকল্পকে বিশ্বের সর্বোচ্চ ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের উদ্যোগ। ১২-১৪ ও ১৫-১৭ বছরের ফুটবল প্রতিভাদেরই এই সুযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে এই টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেস প্রকল্প পথচলা শুরু হয়েছিল। গত ২৮ মার্চ নয়াদিল্লিতে টিভি নাইনের হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে সামিটের মঞ্চে ‘ইন্ডিয়ান টাইগার্স অ্যান্ড টাইগ্রেস’-এর উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, যে ২৮ জন অস্ট্রিয়ায় বিশেষ অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে তাদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
ফ্রম ইন্ডিয়া টু ইউরোপ- ভারতের নতুন ফুটবল প্রতিভারা স্বপ্নপূরণের পথে। অস্ট্রিয়ার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। খুবই চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে ভারতীয় ফুটবলের নতুন প্রতিভারা সেই কঠিন পরীক্ষা পেরিয়ে এগনোর চেষ্টায়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মুন্ডেন ফুটবল অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৫ ক্যাটেগরির ছেলেদের দল দুরন্ত টিমওয়ার্কে প্রতিপক্ষকে ৭-০ ব্যবধানে হারায়। তবে অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে মেয়েরা কঠিন লড়াই করলেও হেরে যায়। মাঠে নেমে সর্বস্ব দিতে পিছপা হয়নি তারা। জার্মানির ক্লাব ভিএফবি স্টুটগার্টের কোচ এবং টিভি নাইন নেটওয়ার্কের এই উদ্যোগের ইয়ুথ ডেভেলোপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত সকলেই তাদের পারফরম্যান্স এবং কতটা উন্নতি হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন।
স্টুটগার্টে এই ‘স্পেশাল ২৮’-কে পর্যবেক্ষণের পর তাদের মধ্যে থেকে ৪ জনকে স্টুটগার্টের অনূর্ধ্ব ১২ স্কোয়াডের সঙ্গে অনুশীলনের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়। বাকিরা অস্ট্রিয়াতে অনুশীলন চালিয়ে যায়। স্পিড, স্ট্রেন্থ ট্রেনিং, ভারসাম্য ট্রেনিং সবকিছুতেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে চ্য়ালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে অনুশীলনের পর তাদের রিকোভারির দিকটাও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ভারত থেকে মুন্ডেন কিংবা জার্মানি। ভারতীয় ফুটবলের নতুন প্রতিভাদের স্বপ্নের সফর, যা আগে কখনও হয়নি।





