lift off festival: করোনার বাংলা নিয়ে জলপাইগুড়ির ছেলের ছবি চলল হলিউডে
Dooars: জলপাইগুড়ি স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি অভ্রদীপ ঘটকের। ২০০৪ সাল থেকে ছবির সঙ্গে পথচলা শুরু তাঁর।
জলপাইগুড়ি: বাংলার ছেলের তৈরি ফিচার ফিল্ম আনল আন্তর্জাতিক মঞ্চের স্বীকৃতি। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা অভ্রদীপ ঘটক। ছবি তৈরি করেন। তাঁর তৈরি প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘নিষাদ’ এবার দেখানো হচ্ছে লিফট-অফ সেশনে (Lift-Off Sessions 2021/22)। ব্রিটেনের পাইন স্টুডিয়োর পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলসে লিফট-অফ ফিল্ম ফেস্টিভেল, হলিউডে দেখানো হবে এই ছবি। আদ্যোপান্ত বাংলায় তৈরি এই ছবি নিয়ে বিশ্বের দরবারে কার্যত বাংলাকেই তুলে ধরছেন অভ্রদীপ। দারুণ খুশি তাঁর পরিচিত, বন্ধুরা। অভ্রদীপ তাঁর এই ছবি তৈরি করেছেন, একেবারে অচেনা আনকোরা কিছু মুখকে সামনে রেখে। জলপাইগুড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে আড়াই ঘণ্টার এই ফিচার ফিল্ম তৈরি করেন তিনি। চলতি মাসে লন্ডনে আয়োজিত লিফট অফ গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জমা পড়া ৪০ হাজার ছবির মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পায় নিষাদ। এর আগে ফ্রান্স, বোস্টন, লন্ডনেও দেখানো হয়েছে সেটি। এবার দেখানো হবে হলিউডে।
করোনার প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর আনলক পর্ব শুরু হয়। ধীরে ধীরে খুলতে থাকে পর্যটন কেন্দ্রগুলিও। দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে ডুয়ার্সেও বাড়তে থাকে পর্যটকদের ভিড়। নিষাদে তুলে ধরা হয়েছে এরকমই প্লট। দু’টি পর্যটক দলের ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা, তাদের চোখে কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে এলাকার মানুষের দুর্দশার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন অসামাজিক কাজে এলাকার লোকজনের জড়িয়ে পড়া নিষাদের বিষয়বস্তু।
জলপাইগুড়ি স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি অভ্রদীপ ঘটকের। ২০০৪ সাল থেকে ছবির সঙ্গে পথচলা শুরু তাঁর। ২০১৬ সালে আইফোন ফোরএস ব্যবহার করে তিস্তাপারের দিনলিপি নিয়ে তৈরি করেছিলেন টান। ছবিটি সারা বিশ্বের ৯টি প্রথম সারির চলচিত্র উৎসবে জায়গা করে নেয়। নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, চিন-সহ ইউরোপীয় দেশেও সে ছবি দেখানো হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮টি শর্টফিল্ম ও বেশ কয়েকটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের কাজ করেছেন তিনি। এখনও অবধি অভ্রদীপের ঝুলিতে রয়েছে জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্তর মিলিয়ে ২৩টি সম্মান। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল নিষাদ। এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত অভ্রদীপ এই আনন্দ ভাগ করে নিতে চান তাঁর গোটা টিমের সঙ্গে। এই প্রথমবার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছায়াছবি বানালেন তাঁরা। বিভিন্ন বাধা বিপত্তি কাটিয়ে তা চলেছে হলিউডে।