Bhupinder Singh Passes Away: ১০ দিনের লড়াই শেষ, ‘শহর’ ছেড়ে দিকশূন্যপুরে ভূপিন্দর সিং

Bhupinder Singh Passes Away: ‘দো দিবানে শহর মে’ কিংবা ‘সত্তে পে সত্তা’ তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম।  সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইতে মারা গিয়েছেন তিনি।

Bhupinder Singh Passes Away: ১০ দিনের লড়াই শেষ, ‘শহর’ ছেড়ে দিকশূন্যপুরে ভূপিন্দর সিং
ভূপিন্দর সিং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2022 | 11:04 PM

প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী ভূপিন্দর সিং (Bhupinder Singh)প্রয়াত। তিনি তাঁর ভারী কণ্ঠের জন্য বলিউডের সঙ্গীত জগতে প্রসিদ্ধ ছিলেন। অন্য ঘরানার গান মানেই ছিলেন ভূপিন্দর সিং। ‘দো দিবানে শহর মে’ কিংবা ‘সত্তে পে সত্তা’ তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম।  সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইতে মারা গিয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী এবং গায়িকা মিতালি সিং বলেছিলেন, “তিনি সোমবার মারা গেছেন এবং শেষকৃত্য মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর কোলনের সমস্যা ছিল।’’ তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তাঁর শোকার্ত স্ত্রী মিতালি  বলেন, “তিনি কিছু দিন ধরেই ইউরিনারি সমস্যা সহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।” সঙ্গীতশিল্পী তাঁর ‘মৌসম’, ‘আহিস্তা আহিস্তা’, ‘দুরিয়ান’, ‘হকীকত’-এর মতো আরও অনেক স্মরণীয় গানের জন্য সঙ্গীত জগতের কাছে বেঁচে থাকবেন।

তিনি কয়েকদিন আগে ইউরিনারি সমস্যা নিয়ে ক্রিটিকেয়ার এশিয়া হাসপাতাল ভর্তি হন। সেখানকার ডাঃ দীপক নামজোশির বয়ান অনুসারে, “ভুপিন্দরজিকে দশ দিন আগে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর সংক্রমণ হয়েছিল। আমাদের দৃঢ় সন্দেহ ছিল যে তাঁর কোলন সমস্যা আছে এবং আমরা তদন্ত করছিলাম। একই সময়ে তাঁর কোভিড-১৯ও পাওয়া যায়। সোমবার সকালে তাঁর অবস্থার অবনতি হয় এবং আমাদের তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন”।

ভূপিন্দর পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং গিটার এবং বেহালা শিখেছিলেন। তিনি কিশোর কুমার এবং মহম্মদ রফির সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বৈত গান গেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারের ভূপিন্দর তাঁর গানে ভরা বাড়িতে বেড়ে ওঠার গল্প সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “যেহেতু বাড়িতে সবসময় এত গান থাকত, আমি এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু করতে চাইনি। আমার বাবা নাথা সিং পঞ্জাবের অমৃতসরে একজন সঙ্গীত অধ্যাপক ছিলেন। আমার বড় ভাইরা যন্ত্রশিল্পী ছিলেন। কিশোর বয়সে, আমি ভেবেছিলাম যে আমি যদি একজন সংগীতশিল্পী হয়ে যাই তবে আমি সম্মানিত হব না এবং সঙ্গীতে আমার কেরিয়ার থাকবে না। তাই গান গাওয়া ছেড়ে দিলাম। আমি পরিবর্তে হাওয়াইয়ান গিটার তুলে নিলাম এবং এটিতে সবচেয়ে কঠিন চলচ্চিত্রের গান এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বাজানো শুরু করলাম। আমার মনে হয় গিটারের কারণে আমি আবার গাইতে শুরু করেছি”।