Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুশান্ত সিং রাজপুতকে খোলা চিঠি লিখলেন তাঁর সহ-অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

Sushant Singh Rajput: আমি বহু মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু পড়াশোনা করার এমন খিদে আমি কারও মধ্যে দেখিনি। আমি দেখিনি একজন অভিনেতার মেক-আপ ভ্যানে এত বই থাকতে পারে।

সুশান্ত সিং রাজপুতকে খোলা চিঠি লিখলেন তাঁর সহ-অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
'দিল বেচারা' ছবির এক দৃশ্যে সুশান্ত-শ্বাশ্বত।
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2021 | 4:21 PM

প্রিয় সুশান্ত,

তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটা দিন, ঘণ্টা, সেকেন্ড মনে থেকে যাবে চিরকাল। মনে থেকে যাবে ব্যস্ত জামশেদপুরে শুটিং শিডিউলের দিনগুলোতেও ভোর পাঁচটায় উঠে ক্রিকেট খেলা। মনে থেকে যাবে সকালগুলোয় দেখা হতে তোমার সরল হাসি মাখা মুখে বলা “গুড মর্নিং দাদা” উইশগুলো।

মনে থেকে যাবে তোমার কাজের প্রতি অসম্ভব নিষ্ঠা। এসবের প্রত্যেকটি কোনওদিন ভুলতে পারব না আমি, আর না তা করার চেষ্টা করব। লিখলাম না, তোমার কাজের প্রতি তোমার নিষ্ঠা… এটা কিন্তু তোমার সঙ্গে একখানি ছবিতে অভিনয় করেছি বলে বলছি, তা নয়। একজন দর্শক এবং একজন অভিনেতা হিসেবে তোমার কাজ দেখেছি। ‘পিকে’-তে তোমার খুব কম সময়ের স্ক্রিন প্রেজ়েন্স দেখেও আমার তা মনে হয়েছে। আবার যখন তুমি ‘দিল বেচারা’র টাইটেল ট্র্যাকে নাচের সিকোয়েন্সের শুটের আগে (যা কি না হয়েছিল সিঙ্গল টেকে, কোনও কাট করা হয়নি) রিহার্সালে জান লড়িয়ে দিয়েছিলে, তা-ও আমি দেখেছি।

গানে লিপ সিঙ্ক, এক সঙ্গে নাচ, কখনও চেয়ার টপকে স্টেজ থেকে নেমে আসা, এগুলো তোমার মতো অসম্ভব প্রতিভাবান শিল্পী ছাড়া সম্ভব ছিল না। আমি বহু মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি, সুশান্ত কিন্তু তোমার মতো পড়াশোনা করার এমন খিদে আমি কারও মধ্যে দেখিনি। আমি দেখিনি একজন অভিনেতার মেক-আপ ভ্যানে এত বই থাকতে পারে। যা শুধু ফিল্ম বিষয়ক একেবারে নয়। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল তোমার ফেভারিট সাবজেক্ট, তারামণ্ডল। টেলিস্কোপের চোখ রেখে তুমি তারাদের দেশই তো দেখতে, তাই না?

মনে আছে সুশান্ত ‘দিল বেচারা’র ডাবিং সেশনে, তোমায় দেখে ভীষণ ফ্রেশ লেগেছিল। আমিও তখন ডায়েট করছিলাম। কিন্তু তোমাকে আরও ছটফটে, আরও সজীব দেখাচ্ছিল। আমি তোমায় কমপ্লিমেন্টও দিয়েছিলাম, মনে পড়ে। তুমি তাঁর বদলে কী করলে? আমায় রোগা-ছিপছিপে লাগছে বলে তুমি নায়িকা সঞ্জনাকে বললে, ‘সঞ্জনা সাবধান থেকো, তোমার বাবাকে কিন্তু মোটেই আর বাবার মতো দেখাচ্ছে না! বেশি কাছাকাছি যাসনি।’ মনে থেকে যাবে আমার কাছে সেই প্রাণোচ্ছ্বল সুশান্তকেও।

সুশান্ত, এত সব মনে থেকে যাওয়ার মধ্যেও আমার তোমার উপর রাগ হয়। অভিমানও বলতে পারো। আর এই রাগ অথবা অভিমান তোমার বাকি সব কিছুর মতো আমার মনে থেকে যাবে। তুমি চাইলে আমাদের আরও বহুদিন আমাদের মুগ্ধ করতে পারতে… কিন্তু তুমি কীভাবে যেন সে সুযোগ আমাদের থেকে কেড়ে নিলে… জমে থাকা অপূর্ণতা নিয়ে বলছি, ভাল থেকো সুশান্ত। তারাদের দেশে।

ইতি, শাশ্বতদা

আরও পড়ুন সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুবার্ষিকী—ফিরে দেখা

আরও পড়ুন SSR Case: কী কী ঘটল এক বছরে, কোথায় দাঁড়িয়ে মামলা, সুশান্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা ঘটনাপ্রবাহ