Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাস্তা থেকে কাজ শুরু করে নিজের হোটেল যে নন্দিনীর, তাঁকে কুর্নিশ লেখিকা লীনার

Nandini-Jol Thoi Thoi Bhalobasha: বর্তমানে ধর্মতলায় বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য আইটিতে চাকুরিরতা নন্দিনী রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই দোকান সামলেছেন। তাঁর মতো একজন সুন্দরী-শিক্ষিতাকে রাস্তার ফুটপাথে দোকান দিতে দেখে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়। ফুড ব্লগাররা সেখানে দৌড়ে গিয়েছেন। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন নন্দিনী।

রাস্তা থেকে কাজ শুরু করে নিজের হোটেল যে নন্দিনীর, তাঁকে কুর্নিশ লেখিকা লীনার
নন্দিনী; 'জল থৈ থৈ ভালবাসা' কোজাগরী
Follow Us:
| Updated on: Jan 22, 2024 | 1:15 PM

‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’ ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্র কোজাগরী বসু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সারাজীবন চাকরিবাকরি না করে সংসার সামলে এসেছে কোজাগরী। ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে, শিক্ষিত হয়েছে। কিন্তু সংসার সামলাতে গিয়ে নিজের জন্য কিছুই করে উঠতে পারেনি কোজাগরী। বিষয়টি তাঁর যতটা না বেশি খারাপ লেগেছে। তার চেয়েও তাকে বেশি কথা শুনতে হয়েছে সন্তানদের থেকে। মা কিছু করে না, এটা তার অপরাধ। আবার কিছু করলেও অপরাধ। কলেজের নামী অধ্যাপকের স্ত্রী তিনি। স্বামীর বন্ধুদের কাছেও লজ্জিত হতে হয়েছে কোজাগরীকে। কারণ একটাই, সে রোজগার করে না। ফলে সে যেটা করতে পারে, সেটাকেই সম্বল করে রোজগারের পথ করে নিয়েছে কোজাগরী। অসম্ভব ভাল রান্না করে সে। তাই পাড়ার মোড়ে একটি হাতের হোটেল খুলেছে। ভাল জায়গায় রেস্তরাঁ না খুলে, কেন ভাতের হোটেল খুলল কোজাগরী, তা নিয়েও অহোরাত্র কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু তাতে দমে যাওয়ার পাত্রী নয় কোজাগরী। তার ভাতের হোটেল কোজাগরীর হেঁশেলে নিয়ে ব্যস্ত আছে সে। এই কোজাগরীর হেঁসেলে কার অনুপ্রেরণা?

বর্তমানে ধর্মতলায় বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য আইটিতে চাকুরিরতা নন্দিনী রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই দোকান সামলেছেন। তাঁর মতো একজন সুন্দরী-শিক্ষিতাকে রাস্তার ফুটপাথে দোকান দিতে দেখে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়। ফুড ব্লগাররা সেখানে দৌড়ে গিয়েছেন। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন নন্দিনী। এদিকে ধারাবাহিকে কোজাগরীর একই অবস্থা। সম্ভ্রান্ত বাড়ির বউ কোজাগরী। সেও যখন রাস্তার ধরে ভাতের হোটেল দেয়, তখনও দেখা যা ফুড ব্লগাররা ছুটে এসে তার ইন্টারভিউ নিচ্ছে।

নন্দিনীর হেঁশেলের সঙ্গে কোজাগরীর হেঁশেলের এই মিল দেখে TV9 বাংলা যোগাযোগ করে গল্পের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, “মহিলাদের রোজগার করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে একথা বলতে পারি, নন্দিনীর হেঁশেলের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ধারাবাহিকে কোজাগরীর হেঁশেলটি তৈরি হয়নি। তবে আমি একটা কথা বলতে চাই, নন্দিনী যে কাজটা করছে, সেটা যথেষ্ট প্রশংসার এবং অনুপ্রেরণার। তাঁকে আমি শুভেচ্ছা জানাতে চাই। কোজাগরীর হেঁশেল তৈরি হয়েছে নোয়া থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। নোয়া আমারি তৈরি একটি বুটিক কাম রেস্তরাঁ। সেখানেও রান্নাবান্না হয় নিত্য। একেবারে বাড়ির মতোই খাবার। তবে নন্দিনীর এই যাত্রা আমি জানতাম না। তিনি যদি রাস্তার হোটেল থেকে শুরু করে নিজস্ব একটি হোটেল খুলে থাকেন, তা হলে তাঁকে আমি কুর্নিশ জানাই।”