তোমাদের ফুসফুস পচে যাক, তোমাদের দম বন্ধ হয়ে আসুক… : জয়া আহসান
তাঁর শহরের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন জয়া। ধোঁয়ায় ঢাকা শহর...অস্পষ্ট চারিদিক। সকালবেলাতেও শহরের এ হাল দেখে জয়া শঙ্কিত। হাইরাইজ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দাঁড়িয়ে রয়েছে শপিং মল, ছোট বড় নানা মাপের বাড়ি। কিন্তু চোখ যত দূরে যাচ্ছে, তারা সব আবছা অস্পষ্ট।
ধরিত্রী দিবসে প্রিয় পোষ্যকে নিয়ে সবুজ ধানের ক্ষেতে হেঁটে যাওয়ার পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। সবুজ ফ্রেম, সবুজ ধানক্ষেত আর জয়ার হাল্কা সবুজ রঙা জামা চোখে এনে দিয়েছিল প্রশান্তি। অথচ রবিবার জয়ার পোস্ট জুড়ে শুধুই হাহুতাশ, ‘হায়’ ধ্বনি।
তাঁর শহরের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন জয়া। ধোঁয়ায় ঢাকা শহর…অস্পষ্ট চারিদিক। সকালবেলাতেও শহরের এ হাল দেখে জয়া শঙ্কিত। হাইরাইজ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দাঁড়িয়ে রয়েছে শপিং মল, ছোট বড় নানা মাপের বাড়ি। কিন্তু চোখ যত দূরে যাচ্ছে, তারা সব আবছা অস্পষ্ট। জয়া লিখেছেন, “ভিডিও টা গতকাল সকাল ৮ টার,ছাদে উঠেই থমকে গেলাম। যেন অবিকল কোনো ডিস্টোপিয়ান সায়েন্স ফিকশনের সেট পড়েছে শহরজুড়ে। ধোঁয়া ধোঁয়া, চারপাশে সব অস্পষ্ট। ধুলো আর ধোঁয়া মিলে ধোঁয়াশার পেটে পুরো শহর। চোখ বেশি দূর চলে না। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হায়, আমার শহর।”
আরও পড়ুন- Oscar 2021: সেরা ছবির মনোনয়ন পাওয়া এই ৮টি ছবির কোনটি আপনার পছন্দের?
জয়া ভয় পেয়েছেন। ফুসফুসে বিষ, আর বায়ুদূষণে ‘বিরাট চ্যাম্পিয়ন আমার’ বলছেন তিনি। জয়া পোস্টের প্রতিটি ছত্রে উঠে এসেছে মানুষের অদমনীয় আকাঙ্ক্ষা, লোভ।, যে লোভের শেষ নেই। যে লোভের তল নেই। গোটা শরীরটাই এক এক সময় পাকস্থলী বলে মনে হয়েছে তাঁর। সকালের শহরকে এত অচেনা দেখা জয়ার কলম লিখছে, “আমাদের যেন গলা থেকে পশ্চাৎদেশ ,শরীরের পুরোটাই পাকস্থলি। খিদের শেষ নেই। খালি বড় করে কামড়ে ধরো আর খাও। পরিবেশের বারোটা বাজল তো আমার কী হলো! ইঁট পোড়ানো ধোঁয়ায় আমরা শহর ডুবিয়ে দেব। আপনি বাঁচলে বাপের নাম। উন্নয়ন কাজের ধুলোয় অন্ধকার করে দেব দেশ। আর কোনো দেশে কি উন্নয়ন হচ্ছে এত?
দম বন্ধ হয়ে এলেও, ফুসফুস ঝাঁঝরা হয়ে গেলেও ‘উন্নয়ন’এর নামে পরিবেশ দূষণ যে থামবে না এ হেন আত্মপলব্ধিতেই জয়ার পোস্টের শেষ দুটি লাইন, “তোমাদের ফুসফুস পচে যাক। তোমাদের দম বন্ধ হয়ে আসুক। একদিন তোমরা সবাই মরে যাও। এই শহর বেঁচে থাকবে, একাই। বাবা, এর নাম উন্নয়ন। হায়, আমার শহর!”
প্রিয় শহরের জন্য ভেবেছেন জয়া, ভেবেছেন শহরের বাসিন্দাদের জন্য। তাঁর লেখনীতে যে ভাবে জ্বলন্ত সমস্যা সত্যি হয়ে ঝরে পড়েছে তা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে নেটিজেনরা। কিন্তু সমাধান? তার উত্তর অজানাই।