শানুর কোন বিশেষ ভুলে রহমান কোনওদিন তাঁকে দিয়ে গান গাওয়াননি?
Kumar Sanu: ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অরবিন্দ স্বামী ও মধু। এটি মূলত একটি তামিল ভাষার ছবি হলেও হিন্দি তেলুগু, মরাঠি ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছিল।
কুমার শানু — বাংলার গর্ব তিনি তাঁর ভক্তসংখ্যা সারা দেশে এমনকি বিশ্বে ছড়িয়ে। ভারতের তাবড় তাবড় সঙ্গীতকার, সঙ্গীতপরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তাঁদের সুরে গান গেয়েছেন। একদিনে বহু গান রেকর্ড করার গিনিস রেকর্ড রয়েছে তাঁর। তবে তাঁর জীবনেও রয়েছে আফসোস। রয়েছে, হতাশা। কেন করেছিলেন অমনটা? কেন ফিরিয়ে দিয়েছেন এ আর রহমানকে? সেই প্রশ্ন আজও কুরে কুরে খায় তাঁকে। সেই অনুতাপের জ্বালায় আজও দগ্ধ হন কুমার শানু।
সম্প্রতি এক রিয়ালিটি শো-য়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “রোজা ছবির সব কয়টি গান এআর রহমান আমাকে গাইতে বলেন। উনি অনুরোধ করে আমি আর অলকা (ইয়াগনিক) মিলে গাইব। কিন্তু সে সময় জানি না আমাদের কী মতিভ্রম হয়েছিল। জানি না কেন বুদ্ধি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আমরা ওকে বলি গাইতে পারি, তবে তোমাকে মুম্বই এসে রেকর্ড করাতে হবে। তা সম্ভব ছিল না। আর আমাদেরও গান গাওয়া হয়নি। পরে যখন রোজার গানগুলো মুক্তি পায় আমাদের দারুণ কষ্ট হয়েছিল। কী সব গান! আহা! এই কারণেই কি না জানি না তবে রহমান সাব এর পর থেকে আর আমাকে কোনওদিন গাইতে ডাকলেন না।”
বহু তাবড় মানুষের সঙ্গে গান গেয়েছেন কুমার শানু। তবে রহমানের সঙ্গে গান গাইতে না পারার আক্ষেপ তাঁর আজও রয়েছে। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অরবিন্দ স্বামী ও মধু। এটি মূলত একটি তামিল ভাষার ছবি হলেও হিন্দি তেলুগু, মরাঠি ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছিল। ছবির পরিচালক ছিলেন মণিরত্নম। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এ আর রহমান। সে সময় রহমান নতুন। কার্যতই তাঁকে পাত্তা দেননি অলকা ও শানু। ছোটখাটো চেহারার সেই মানুষটা যে এমন কেরামতি দেখাবেন সে সময় বুঝতে পারেননি অধিকাংশই।