Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শ্রিয়া এখন ‘কনটেন্ট’? ঠাকুরপুকুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আয়না দেখালেন রূপাঞ্জনা

সারারাত পার্টি করে সাত সকালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে বিপত্তি। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তবে সেই মুহূর্তে কী ঘটে, সেই ভিডিয়ো এখন সাধারণের হাতে হাতে ভাইরাল।

শ্রিয়া এখন ‘কনটেন্ট’? ঠাকুরপুকুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আয়না দেখালেন রূপাঞ্জনা
Follow Us:
| Updated on: Apr 07, 2025 | 8:21 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় তোলপাড় হয়েছে টলিপাড়া কেবলমাত্র একটি খবরে, তা হল ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনা। রবিবার সকালে ভরা বাজারে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা। ঘটনাস্থলেই আহত হন ৬। বিকেল গড়াতেই মেলে একজনের মৃত্যু সংবাদ। ততক্ষণে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, গাড়ি কার, কারা ছিলেন, কে-কোন অবস্থায় সেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ঘটনায় অভিযুক্ত পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস। সঙ্গে ছিলেন এক চ্যানেলের কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। একই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনও। সারারাত পার্টি করে সাত সকালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে বিপত্তি। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তবে সেই মুহূর্তে কী ঘটে, সেই ভিডিয়ো এখন সাধারণের হাতে হাতে ভাইরাল।

কী ঘটেছে, কেন ঘটেছের পাশাপাশি চর্চায় উঠে এসেছে শ্রিয়া বসুর সেই মুহূর্তের পরিস্থিতির ছবি। তাঁর পোশাক, তাঁর সেই মুহূর্তে অবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা, কটাক্ষের বন্যা বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একদিকে যেমন সেটাও ঠিক, তেমনই আবার পাল্লা দিয়ে শ্রিয়ার সেই পরিস্থিতির ভিডিয়ো পণ্য করে যেভাবে মানুষের আঙুলের ডগায় ঘুরছে, তা যেন কারওই চোখ এড়াচ্ছে না।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এবার বাস্তবটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো অপরাধ। আর কোনও অবস্থাতেই বেপরোয়া গাড়ি চালানো কাম্য নয়। সেখানে দাঁড়িয়ে এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকেই। আর সেই প্রসঙ্গেই একশ্রেণি টলিউডের লাইফস্টাইলের দিকে আঙুল তুলছে। তার স্পষ্ট উত্তর দিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় করলেন এক পোস্ট। যার শুরুতেই লেখা– আমাদের Bengal Film & Television ইন্ডাস্ট্রি এরকম নয়।

এরপরই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, “যারা নিজেদের সম্মান রাখতে পরেন না, মদ্যপান করে হুঁশ হারিয়ে গাড়ি চালিয়ে মানুষ পিষে ফেলে ভাবে পার পেয়ে যাবে, তাদের কী হাল করে সাধারণ মানুষ তা তো নিজের চোখে ভিডিয়োতেই দেখলাম। তবে এটাও দেখলাম, কত মানুষ একটি মেয়েকে পণ্য বানিয়ে দিল। কার দোষ? সেটা ওপরওয়ালা বিচার করবেন আর আদালত। তবে ভিডিয়োগুলো যেহারে কনটেন্ট-এর মতো ভাইরাল হচ্ছে, সেটাও কি খুব দরকার?”

এরপর অভিযুক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “তোরা কি জানতিস না যে- যদি তুমি সম্পূর্ণ মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়ো এবং তারপর তোমার ইচ্ছামতো গাড়ি দিয়ে লোকজনকে চাপা দাও, তাহলে কেউ তোমার প্রতি সহানুভূতি দেখাবে না। Such a shame! সত্যি লজ্জা করছে । হুঁশ নেই যাদের, তারা আবার কীসের মানুষ?”