Joyjit Bandhapadhyay: এখন মহিলারা এতবেশি সিগারেট খান, যে মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলেই ভাল: জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
TV9 বাংলাকে জয়জিৎ বলেছেন, "একটা সময় ছিল দিনে ৬০টা সিগারেট খেতাম। এখন সেটা কমিয়ে এনেছি ৬ থেকে ৭-এ। কিন্তু এতবছরের নেশা যেহেতু, কিছুতেই ছাড়তে পারছি না। ২৫ বছরের নেশা।"
নিউ ইয়ার রেজ়লিউশন। কী হতে পারে আপনার? কাল বাদে পরশু ২০২১ সাল চিরকালের মতো ছেড়ে চলে যাবে আমাদের। সেই সঙ্গে ছেড়ে যাবে আমাদের কিছু অভ্যাসও। অন্তত সেই পরিকল্পনা করে বসে আছেন অনেকে। ‘শব্দ’টা হল প্রমিস। নিজেকে কথা দেওয়া। আমরা কি সত্যি নিজেকে দেওয়া কথা রাখতে পারি? পারি কি? নিজেকে প্রশ্ন করাই বোধ হয় ভাল।
এই নিউ ইয়ার রেজ়লিউশনের মধ্যে অন্যতম জায়গা দখল করে থাকে সিগারেট ছাড়ার প্রমিস। মন ও মাথার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দু’জনেই বলতে থাকে নানা কথা। মস্তিষ্কে বসবাস করা জ্ঞান বলতে থাকে, ‘ছেড়ে দাও’। মন দুর্বল হয়ে পড়ে। একটাই সংশয়, ‘পারব তো?’
সেই দোটানার মধ্যেই রয়েছেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। মন-মাথার দোটানা। এতটাই টানাপোড়েন, যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বসেছেন। লিখেছেন, “চেষ্টা করেও ছাড়তে পারছি না ۔۔۔ তোমাদের উপদেশ চাই।” তাঁর এই দোটানা দেখে যোগাযোগ করেছিল TV9 বাংলা।
আমাদের জয়জিৎ বলেছেন, “একটা সময় ছিল দিনে ৬০টা সিগারেট খেতাম। এখন সেটা কমিয়ে এনেছি ৬ থেকে ৭-এ। কিন্তু এতবছরের নেশা যেহেতু, কিছুতেই ছাড়তে পারছি না। ২৫ বছরের নেশা।”
অনেকের মতো জয়জিৎও মাধ্যমিকের পড়েই প্রথম সিগারেটে টান দিয়েছিলেন। কিন্তু সুখটান যে করতেন বাড়ি থেকে লুকোননি কোনওদিন। ১৭ বছর বয়সের গণ্ডি পেরিয়ে সিগিপানকে নিত্যসঙ্গী করে নিয়েছিলেন। অনুপ্রেরণা বাংলা এবং বিশ্বের তামাম গোয়েন্দারা। ফেলুদা, ব্যামকেশ, শার্লক হোমস… প্রত্যেকে সিগারেটে আসক্ত। বিষয়টিকে পুরুষালি (ম্যানলি) বলে মনে করতেন জয়জিৎ। মজার ছলেই আমাদের বলেছেন, “তখন ম্যানলি লাগত। এখন কিন্তু আর লাগে না। এখন মহিলারা এতবেশি সিগারেট খান, যে মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলেই ভাল।”
প্রথমবার সিগারেটে টান দিয়ে মারাত্মক কেশেছিলেন জয়জিৎ। তারপর বন্ধুরাই তাঁকে ঠিক মতো সিগারেটে টান দিতে শিখিয়েছেন। যেমনটা হয়ে থাকে আরকী। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে একটা সময় ৬০টা সিগারেটও খেয়েছেন জয়জিৎ। মাঝে ৬-৭ মাসের জন্য অভ্যাস ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি পারেননি। জয়জিৎ আমাদের বলেছেন, “এই বদ অভ্যাসকে ত্যাগ করাই ভাল। কিন্তু কেউ পারে না। আমরা যে শহরে থাকি, সেই শহরে প্রচুর বায়ু দূষণ। ফলে সিগারেটের কারণে খুব একটা ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। ডাক্তারই জানিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: