Bharti Singh: ‘ডাস্টবিন থেকে তুলে আপেল খেতে চাইতাম’, এতটা কষ্ট ভারতীর!
Bharti Singh: মা বাড়ি বাড়ি কাজ করতেন। ছোটবেলাতেই বাবাকে হারিয়ে ছিলেন ভারতী সিং। আজ সাতমহলায় থাকলেও একটা সময় 'নুন আনতে পান্তা ফুরোতো' তাঁর। কানাকড়িও হাতে নেই। এক দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
মা বাড়ি বাড়ি কাজ করতেন। ছোটবেলাতেই বাবাকে হারিয়ে ছিলেন ভারতী সিং। আজ সাতমহলায় থাকলেও একটা সময় ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোতো’ তাঁর। কানাকড়িও হাতে নেই। এক দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সে দিন সেই সব অভুক্ত রাতের কথা বলতে কুণ্ঠাবোধ করেন না ভারতী। সম্প্রতি নীনা গুপ্তার মুখোমুখি হয়ে ভারতী যা বললেন তা আপনাকে কাঁদাবে।
তাঁর কথায়, “দেখতাম অনেকে অর্ধেক আপেল খেয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে। মনে হত বার করে ওই অর্ধেকটা খেয়ে নিই। এতটাই গরীব ছিলাম আমরা। কোনও উৎসব আসত আর আমার মন খারাপ হয়ে যেত। পাড়ায় অন্য বাচ্চারা বাজি ফাটাত। আমরা গিয়ে হাততালি দিতাম যাতে সবাই ভাবে ওই বাজিটা আমার, আমি জ্বালিয়েছি।” এখানেই থামেননি তিনি। বলেছেন, “মা অন্যের ঘরে কাজ করত আর আমি বসে থাকতাম। মা টয়লেট সাফ করত। তারপর কাজের বাড়ি থেকে বেঁচে যাওয়া সবজি-রুটি মা’কে দিত। ওদের ওই বাসি রুটি আমাদের কাছে টাটকা। আমরা ভীষণ খুশি হয়ে যেতাম।”
তবে ‘চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়’– ভারতীরও যায়নি। আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত। মানুষকে হাসান যে মানুষটি তাঁর জীবনেও ছিল এত সংগ্রাম! জানতে পেরে তাঁকে কুর্নিশ ভক্তদের।