Bharti Singh: মঞ্চে হঠাৎই প্রসববেদনা ভারতীর, বুঝে উঠতে পারার আগেই…
Bharti Singh: কমেডিয়ান ছাড়াও এই মুহূর্তে আরও এক পরিচয় রয়েছে ভারতী সিংয়ের। তিনি মা-ও বটে। গত বছর সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
কমেডিয়ান ছাড়াও এই মুহূর্তে আরও এক পরিচয় রয়েছে ভারতী সিংয়ের। তিনি মা-ও বটে। গত বছর সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। একটু বেশি বয়সে মা হওয়ার কারণে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি তাঁকে। জানেন কি, শুটিং চলাকালীনই প্রসব বেদনা শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁর। প্রথমটা বুঝে উঠতেই পারেননি তিনি। কী হয়েছিল তারপর? স্মৃতি হাতড়ালেন ভারতী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এক রিয়ালিটি শো’র শুটিং করার সময়েই প্রসব বেদনা হতে শুরু করে। আমি তখন স্টেজে ছিলাম। প্রথম বার মা হচ্ছি, তাই বুঝতেই পারিনি ওটা প্রসব বেদনা। ভাবছিলাম অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার জন্য হয়তো ব্যথা করছে।” কিন্তু ক্রমেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। ডাক্তারকে ফোন করেন ভারতী। জানান, একটা ব্যথা হচ্ছে, বেশিক্ষণ থাকছে না। আসছে আর যাচ্ছে। ডাক্তার জানান, লেবর পেন শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর। আর দেরি করেননি ভারতী। কাউকে ডাকেনওনি। স্বামী হর্ষকে নিয়েই সোজা চলে যান হাসপাতালে। তাঁর কথায়, “কাউকে বিরক্ত কঋণী। ব্যাগ নিলাম। ও গাড়ি আনল আর আমাই বেরিয়ে গেলাম।” ঠিক সময়ে যদি ভারতী সেদিন ডাক্তারের কাছে না পৌঁছলে সমস্যা আরও বাড়ত তাঁর। নিজের বুঝতে পারেননি ঠিকই, ভাগ্যিস ডাক্তার ছিলেন।
সন্তান জন্মের ১১ দিনের মাথায় কাজে ফিরেছিলেন ভারতী। তা নিয়ে হয়েছিল বিস্তর সমালোচনা। হয়েছিল কটাক্ষও। অনেকেই তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, মা হয়ে এমনটা কী করে করতে পারলেন তিনি? সে সময় মুখ খুলেছিলেন ভারতী। বলেছিলেন, “আমি জানি অনেকেই বলছে এত ছোট বাচ্চাকে ফেলে কীভাবে কাজে চলে এলাম। কিন্তু ওই যে আমি নেগেটিভ কথা শুনতে চাই না।” বাচ্চার দেখভাল প্রসঙ্গে ভারতীর বক্তব্য, “কত মা-ই সন্তান জন্ম দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজে যোগ দেন। আমি আশীর্বাদধন্য যে আমার বাচ্চাকে দেখার জন্য আমার গোটা পরিবার রয়েছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় ছেলে আমার পার্টি করছে। আমি শুধু চাই সবাই আমাকে ভালবাসুক।” ভারতী এও জানান, তিনি স্বর্গ থেকে নেমে আসা ফেরেস্তা নন, তাই উপার্জন দরকার তাঁরও। তা ছাড়া সংসারে এখন বাড়তি খরচ, তাই সব কিছু মিলিয়েই তিনি আবার কাজে ফিরেছেন বলে জানান ভারতী।
গত বছর এপ্রিলের ৩ তারিখ সন্তানের জন্ম দেন ভারতী। সুখবর জানিয়েছিলেন হর্ষ নিজেই। মা হওয়ার আগে নানা অসুবিধের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর ওজন বেশি ছিল। তাই সন্তান ধারণেও হচ্ছিল নানা সমস্যা। সে সময় কড়া ডায়েটের মধ্যে থেকে নিজের ওজন অনেকেটাই কমিয়েছিলেন ভারতী। তাঁর সন্তান গোলা (ডাকনাম) যদিও মায়ের চেয়ে বেশি ন্যাওটা বাবার। মাঝেমধ্যেই ছেলের মিষ্টি ছবি শেয়ার করেন তাঁরা দু’জন।