ব্যথা তো হবেই, চিৎকার করব, ওষুধও খাব…: ঐন্দ্রিলা শর্মা

অনস্ক্রিন বামাক্ষ্যাপার অকপট বক্তব্য, "তবে আমাদের দুজনের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কাকিমা।" কাকিমা অর্থাৎ ঐন্দ্রিলার মা। কারণ, অবশ্যই সংক্রমণের ভয়।

ব্যথা তো হবেই, চিৎকার করব, ওষুধও খাব...: ঐন্দ্রিলা শর্মা
ঐন্দ্রিলার কেমোথেরাপির সময়... সব্যসাচীর সঙ্গে।
Follow Us:
| Updated on: Jun 03, 2021 | 5:21 PM

অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল আগেই। হাসপাতালে ছয় দিন কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। কিন্তু বাড়ি ফিরেও প্রেমিক সব্যসাচীর কাছে যাওয়ার উপায় নেই তাঁর। কারণ, মা বারণ করেছেন। অতঃপর দরজার বাইরেই চলছে ভালবাসার কুশল বিনিময়। সেই ছবি শেয়ার করেছেন আবার সব্যসাচী নিজেই।

তিনি লিখেছেন, ” ঐন্দ্রিলা বেশ ভালো আছে, অসহ্য যন্ত্রনা আছে যদিও। আমায় কাল বলেছে “ব্যথা তো হবেই, চিৎকার করবো, ওষুধ খাবো। এটাই তো নরমাল ব্যাপার।টেনশনের কিছু নেই ”।

এর পরেই অনস্ক্রিন বামাক্ষ্যাপার অকপট বক্তব্য, “তবে আমাদের দুজনের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কাকিমা।” কাকিমা অর্থাৎ ঐন্দ্রিলার মা। কারণ, অবশ্যই সংক্রমণের ভয়। সেই ভয়েই যে হাসপাতাল থেকে তাঁকে তড়িঘড়ি বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন সব্যসাচী। তাঁর কথায়, “সাধারণ পরিস্থিতিতে আরো বেশ কিছুদিন হাসপাতালে রাখা হয়তো যুক্তিসঙ্গত ছিল, কিন্তু এখন সংক্রমণের ভয়ে সেই ঝুঁকি নিতে চাননি ডাক্তাররা।” ব্যথা থাকলেও মনের জোরে হাঁটাচলা করছেন ঐন্দ্রিলা। সিঁড়ি দিয়েও নাকি ওঠানামা করেছেন তিনি।

গত মাসের ২৮ তারিখ অস্ত্রোপচার হয় ঐন্দ্রিলার। ফুসফুসে বাসা বাঁধা ক্যানসারাস টিউমারটিকে নিখুঁত দক্ষতায় বাদ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। সব্যসাচী চৌধুরী টিভিনাইন বাংলাকে বলেছিলেন, “অপারেশন ভাল হয়েছে। সবটা বের করতে পেরেছে।” মুহূর্তেই খুশির জোয়ার উঠেছিল অভিনেত্রীর ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী এবং অনুরাগীদের মধ্যে। সহজ অস্ত্রোপচার ছিল না একেবারেই। যে জায়গায় তাঁর টিউমার হয়েছিল তা হৃদযন্ত্রের বেশ কাছে। তাই টানা তিন মাস তার আয়তন কেমোথেরাপির মাধ্যমে কিছুটা কমিয়ে আনা হয়। তারপরেই হয় অস্ত্রোপচার।

আরও পড়ুন- সবাই উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে, জড়িয়ে ধরে বলছে, ‘কতটা মিস করেছি জানো?’: ঐন্দ্রিলা শর্মা 

এর আগে ২০১৫ সালে ক্যানসার ধরা পড়েছিল ঐন্দ্রিলার। কেমো-রেডিয়েশনের পর সুস্থ হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন তিনি। এ বারের পরীক্ষাতেও পাশ করেই ফেলেছেন ঐন্দ্রিলা। অপেক্ষা শুধু ট্রফি নিয়ে কাজে ফেরার…।