Jeetu-Nabanita: সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে জিতু কামাল, প্রস্তুতি কেমন চলছে জানালেন স্ত্রী

দিন দুই আগে লুক প্রকাশিত হয়েছে জিতুর। যেন হুবহু সত্যজিৎ রায়। একঝলক দেখে কেউ ধরতেই পারবে না ইনি আসলে সত্যজিৎ নন।

Jeetu-Nabanita: সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে জিতু কামাল, প্রস্তুতি কেমন চলছে জানালেন স্ত্রী
জিতু কামাল ও নবনীতা দাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 6:16 PM
দু’জনেই অভিনেতা। একে-অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছেন বছর কয়েক আগে। দু’জনেই চুটিয়ে অভিনয় করেন ছোট পর্দার জন্য। স্ত্রী যদিও বেশিরভাগটা ছোট পর্দাতেই অভিনয় করছেন। সম্প্রতি ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে মা তারার চরিত্রে অভিনয় করছেন স্ত্রী। স্বামীকে দেখা যায় বড় পর্দা, ছোট পর্দা – সব মাধ্যমেই। স্বামী এখন ‘বিগ নিউজ়’। অভিনেতা জিতু কামাল ও নবনীতা দাস। সম্প্রতি বড় ব্রেক পেয়েছেন জিতু। দারুণ চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। এরকম চরিত্র প্রত্যেক অভিনেতার জীবনে কোনও না কোনও সময় আসে। পরিচালক অনীক দত্তর পরবর্তী ছবি ‘অপরাজিত’তে সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন জিতু। চরিত্রটির নাম যদিও সত্যজিৎ রায় নয়, রাখা হয়েছে অপরাজিত রায়। ‘পথের পাঁচালী’ ছবি তৈরির নেপথ্য কাহিনি বলবে চিত্রনাট্য।
দিন দুই আগে লুক প্রকাশিত হয়েছে জিতুর। যেন হুবহু সত্যজিৎ। একঝলক দেখে কেউ ধরতেই পারবেন না ইনি আসলে সত্যজিৎ নন। মানিকপুত্র সন্দীপ রায় TV9 বাংলাকে আগেই বলেছেন, “বাবার লুক ভালই হয়েছে। বেশ মানিয়েছে।”
এই লুক প্রকাশ সত্যি অবাক করেছে সকলকে। তারিফ পাচ্ছেন প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু। এত নিখুঁত! লুক প্রকাশ যেন প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সকলেরই এখন একটাই কথা, “লুক তো হল, এবার অভিনয়!” তা হলে কী, অভিনেতার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হল?
ছবির শুটিং কিছুটা হয়েছে বোলপুরে। বাকিটা হবে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। নিজেকে সত্যজিৎ ভেবে অভিনয় করতে হবে জিতু কামালকে। এ এক সাংঘাতিক প্রস্তুতি। TV9 বাংলাকে জিতু বলেছেন রাতে ঘুম হচ্ছে না তাঁর। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী নবনীতা জানিয়েছেন ঠিক কী রকম রোজনামচার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন জিতু। এ প্রস্তুতিতে স্ত্রীকে সম্পূর্ণরূপে পাশে পেয়েছেন তিনি। স্ত্রী নিজে অভিনেত্রী বলেই হয়তো স্বামীর ভিতরের অস্থিরতাকে অনুভব করতে পারছেন।
নবনীতা জানিয়েছেন জিতুর ভিতরের অভিনেতা কতখানি ছটফট করছেন। তিনি বলেছেন, “সকাল ৫টা – এর্লামের আগে উঠে বসে থাকা। সকাল ৬টা – আমার ফুলহাতা জামাগুলো কোথায়? অভিনয়ের আগে চরিত্রকে নিজের মধ্যে বহন করতে হয়, তার জন্য পরিচ্ছদ খুব দরকারি! সকাল ৭টা – মেকআপটা করে দাও তাড়াতাড়ি, ওয়ার্কশপ শুরু করব তো! সকাল ১০টা – (২ কাপ চায়ের পরেও) আরে, কতক্ষণ লাগে চা দিতে। বেলা ১২টা – শব্দ না করে রান্না করাতে পারলে করো, নয়তো রান্না বন্ধ করে দাও। এই বাড়িতে পড়াশোনা করার কোনও পরিবেশই নেই। দুপুর ২টো – কী গো, না খেয়েই বেরোচ্ছ? আহ্ চেঁচিও না। দিয়ে দাও। গাড়িতে খেয়ে নেব। এত কথা বোলো না…
তারপর নবনীতা বলেছেন, “এই রকম বহু তর্ক, বহু রাত জাগা, ওয়ার্কশপ এইসবের মধ্যে দিয়েই হয়তো চরিত্র গড়ে ওঠে.. চলো, আছি আরও রাত জাগার জন্য..”