Valentines Day Special: টিভির হিটজুটি রুবেল-শ্বেতার কাছে প্রেম মানেই বন্ধুত্ব, কবে বিয়ে, দিলেন সুখবর

Tollywood Love Story: রুবেল: দেখুন, আমাদের প্রেমে কোনও ন্যাকামো নেই। মানে কোনও প্রেমই ন্যাকা নয়। মানে ওই ঘ্যানঘ্যান ব্যাপারটা শ্বেতার মধ্যে সত্যি নেই।

Valentines Day Special: টিভির হিটজুটি রুবেল-শ্বেতার কাছে প্রেম মানেই বন্ধুত্ব, কবে বিয়ে, দিলেন সুখবর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2023 | 7:58 PM
জয়িতা চন্দ্র
পর্দায় নায়ক-নায়িকার প্রেম নিয়ে বরাবরই চর্চা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু সেই প্রেম যখন লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশন ছাপিয়ে ব্যক্তিজীবনকে রঙিন করে তোলে? তখন বোধহয় পর্দার রসায়নও চোখে পড়ার মতো সুন্দর হয়ে ওঠে। বাংলা ধারাবাহিকের দর্শকদের চোখে এমনই এক হিট জুটি শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাস। বর্তমানে তাঁরা দুই ভিন্ন ধারাবাহিকে কাজ করলেও, এই হিটজুটি বাংলা সিরিয়ালের টিআরপি-র অন্যতম ইউএসপি-ও। প্রেম-দিবসের প্রাক্কালে TV9 বাংলায় সেই প্রেমের কাহিনি শোনালেন রুবেল-শ্বেতা।
জনপ্রিয়তাই প্রেমের মূল
শ্বেতা: পরিচিতি ছিল আগে থেকেই। ক্লাস সেভেন থেকেই আলাপ। তারপর নাচ। একটা সময়ের পর আমরা আলাদা হয়ে যাই কেরিয়ারের জন্যই। রুবেল নাচের জন্য মুম্বই চলে যায়। আমি অভিনয়টা শুরু করি। এরপর হঠাৎ একদিন শুনি আমার সঙ্গে ও একটি ধারাবাহিক করছে। কোনও বিশেষ উত্তেজনা ছিল না। কাজ শুরু হয়ে যায়। অদ্ভুতভাবে আমাদের জুটিও খুব জনপ্রিয় হতে শুরু করে। আমরাও সেই স্পার্কটা সেটে অনুভব করতাম। আমরা তখনই প্রেম নিয়ে তেমন কিছু ভাবিনি, কিন্তু চর্চা এতটাই শুরু হয়ে যায় যে, আমরাও ভাবতে শুরু করি, আচ্ছা এমনটা হচ্ছে?
রুবেল: আমার তরফ থেকে চেষ্টার কোনও ক্রটি ছিল না বিশ্বাস করুন। তবে প্রেম তো বলে হয় না। আমরা একে অপরের ছোট-ছোট বিষয় ভীষণ যত্নশীল হয়ে উঠছিলাম, একে-অপরের উপস্থিতিতে খুব ভাল থাকতাম। একদিন আমরাই আলোচনা করি, ব্যাপারটা কোন দিকে যাচ্ছে বলতো? ততদিনে বিষয়টা যে দিকে যাওয়ার, চলে গিয়েছে…
সেরা জুটি হয়ে ওঠা কীভাবে?
শ্বেতা: কাজের ক্ষেত্রে একটা সময়ের পর এই সম্পর্কটাই বোধহয় ফুটে উঠত। পর্দায় আমাদের সেই বন্ধুত্ব, সম্পর্ক যাই-ই বলুন না কেন, জুটি হিসেবে সেটা প্রকাশ পেত। তাই-ই হয়তো সম্পর্কের গল্পটাও অনেক বেশি আবেগ দিয়ে তুলে ধরতে পারতাম।
রুবেল: ব্যক্তিজীবনে ভাল সম্পর্ক থাকলে ক্যামেরায় তো তার প্রতিফলন হবেই। শ্বেতার একটা মস্ত গুণ আছে, ও কাউকে যদি পছন্দ না-ও করে, পর্দায় এমনভাবে অভিনয় করে বেরিয়ে যাবে তাঁর সঙ্গে যে,  কেউ আঁচও করতে পারবে না। আমি বরাবরই বলি ও অনেক ভাল অভিনয় করে। আমার বিষয়টা অন্য, যার সঙ্গে বনে না, তার সঙ্গে অভিনয়টাও খুব একটা জমে না গোছের। যদিও অভিনেতা হিসেবে এটা আমার বলা উচিত নয়, তবে হয় এটা আমার। সেই কারণেই হয়তো শ্বেতার আর আমার জুটিটা দর্শক এতটা গ্রহণ করেছিলেন।
কীভাবে প্রেম নিবেদন? কে করেছিল প্রথম প্রোপোজ়? 
রুবেল: আমি—আমি করেছিলাম। ইনিয়ে-বিনিয়ে তো বোঝানোর কোনও খামতি ছিল না, কিন্তু প্রেম প্রস্তাব আমারই ছিল।
শ্বেতা: হুমমম… এটা কিন্তু খুব মজার একটা গল্প। আসলে রুবেল সব সময় আমার ছোট-ছোট আবেগের খেয়াল রাখে। আর ওর এই বিষয়গুলো আমাকে খুব আনন্দ দেয়। যেমন ধরুন ও কোনও চকোলেট দিলে আমি তার ব়্যাপারটা যত্নে রেখে দিই। ওর দেওয়া ফুলগুলো চেষ্টা করি রেখে দেওয়ার। ওর দেওয়া প্রতিটা উপহার, ছোট-বড় সমস্ত, খুব যত্নে রাখা আমার কাছে। আর ওই যে বললাম, ও জানে আমার সারপ্রাইজ় খুব ভাল লাগে। একবার শুটিং সেটে ছিলাম… ও হঠাৎ এসে বলল, ওপরের ঘরে যা, একটা কাগজ রাখা আছে। ওটা তোর খুব দরকারি, তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়। আমিও গেলাম। গিয়ে দেখি, ঠিক…  টেবিলে একটা কাগজ রাখা। খুলে দেখি বাবু সযত্নে আমায় গোটা-গোটা অক্ষরে প্রোপোজ় করেছে। সেই কাগজটাও আমি যত্নে রেখে দিয়েছি।
বাড়িতে কীভাবে জানানো হল বিষয়টা? 
শ্বেতা: না, না, কিছুই জানাতে হয়নি বাড়িতে। আমাদের নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে, তখন দেখি দুই বাড়িতেই এই ব্যাপারে কথা হচ্ছে। তোদের পাশাপাশি বেশ মানায়। বাহ্, তোদের জুটিটা তো ভাল। আর প্রথমেই বললাম না, আমরা কেউ কারও অচেনা ছিলাম না। তাই বাড়িতেও বিষয়টা খুব স্বাভাবিক।

প্রেমের জল কতদূর গড়িয়েছে? 
রুবেল: বহুদূর। আমাদের মধ্যে একটা সুন্দর ব্যাপার আছে। অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবেন না, ভীষণ টেলিপ্যাথি। হয়তো আমি ওর কথাই ভাবছি, আর ওরই ফোন চলে এল। বা ধরুন আমি ওকেই হোয়াটসঅ্যাপ করতে যাচ্ছি। দেখি দু’জনেই টাইপিং, আর একই মেসেজ একই সময় আদান-প্রদান হল: তুই কী করছিলি? বিষয়টা এমন।
তাহলে রুবেলের মনে প্রেমিকাকে নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই? 
রুবেল: দেখুন, আমাদের প্রেমে কোনও ন্যাকামো নেই। মানে কোনও প্রেমই ন্যাকা নয়। মানে ওই ঘ্যানঘ্যান ব্যাপারটা শ্বেতার মধ্যে সত্যি নেই। তাই কোনও অভিযোগ নেই। ওর সবটা ভাল। ও খুব সাধারণ মনের একটা মেয়ে। কোনও চাহিদা নেই। তবে অভিযোগ রয়েছে আমার। ও একেবারে খায় না। এটা নিয়ে আমার খুব চিন্তা হয়। ধরুন ঘুরতে গেলাম… আমার সঙ্গে রোল, চাউমিন বিরিয়ানি যাই-ই খেল, ব্যস বাড়ি গিয়ে খাওয়া বন্ধ। ওই পেটে থাকা বিরিয়ানি দিয়ে চলল এবার সারাদিন। কি না ও মোটা হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। আমি প্রকাশ্যে আজ অভিযোগ করলাম।
সবই তো হচ্ছে, তবে বিয়েটা কবে? 
শ্বেতা: এই নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। আগামী দু’বছরের মধ্যেই আমরা বিয়ে করছি।
রুবেল: একেবারে সত্যি। আগামী দু’বছরের মধ্যেই আসছে সুখবর।
প্রেমদিবসে কী প্ল্যান?
রুবেল-শ্বেতা দু’জনেরই শুটিং রয়েছে। তবে কিছু একটা ছোটখাটো প্ল্যান থাকবেই। একটু সময় করে ছোট্ট সেলিব্রেশন।