Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shehnaaz Gill: সিদ্ধার্থের মৃত্যুর ১২ দিন পার, কেমন আছেন শেহনাজ গিল?

সিদ্ধার্থের শেষকৃত্যে সঙ্গী হয়েছিলেন শেহনাজ। গাড়ি থেকে নামতেই পাপারাৎজি ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। দাদা শাহবাজের উপস্থিতিতে ক্রমে ভিড় ঢেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শ্মশানে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শেহনাজ।

Shehnaaz Gill: সিদ্ধার্থের মৃত্যুর ১২ দিন পার, কেমন আছেন শেহনাজ গিল?
সিদ্ধার্থ-শেহনাজ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 4:04 PM

সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যুর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর একটি পোস্টও করেননি তিনি। জনসমক্ষেও দেখা যায়নি তাঁকে। শেষ দেখা গিয়েছিল সিদ্ধার্থের শেষযাত্রায়। ফ্যাকাশে চোখ, আর জমাট বাঁধা কান্নায় কোনওমতে দাদা শেহবাজের হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিদ্ধার্থের নিথর দেহের কাছে।

শেহনাজ গিল কেমন আছেন, তা নিয়ে রটছিল একের পর এক ভুয়ো খবর। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পর শেহনাজের মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন সেলেব কাপল রুবিনা দিলায়েক ও শেহনাজ গিল। কেমন আছেন শেহনাজ? মুখ খুললেন অভিনব।

তিনি বলেন, “আমার আর রুবিনার সঙ্গে শেহনাজের মায়ের দেখা হয়েছে। দ্রুত এই পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ও।’ অন্যদিকে মেয়ের পাশে আছি– এই বার্তা দিতে শেহনাজ গিলের বাবা তাঁর হাতে শেহনাজের নামাঙ্কিত একটি ট্যাটু করিয়েছেন। অভিনব জানান, তিনি ও সিদ্ধার্থ একসঙ্গে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এক ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন ওঁরা। দুজনেই বাইক খুবই পছন্দ করেন।

সিদ্ধার্থের শেষকৃত্যে সঙ্গী হয়েছিলেন শেহনাজ। গাড়ি থেকে নামতেই পাপারাৎজি ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। দাদা শাহবাজের উপস্থিতিতে ক্রমে ভিড় ঢেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শ্মশানে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শেহনাজ। পরেছিলেন সাদা-মাটা চুড়িদার। ক্লান্তি-কষ্টে মাথা এলিয়ে দিয়েছিলেন গাড়ির সিটে। সব সময় হাসিখুশি মেয়েটির এমন অবস্থা সেই প্রথম দেখেছিলেন নেটিজেন। তিনি যে ভাল নেই সেকথা জানিয়েছিল তাঁর পরিবারও। গত ২ সেপ্টেম্বর ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন সিদ্ধার্থ শুক্লা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল সিদ্ধার্থের খবর শোনা মাত্রই শুট বন্ধ করে হাসপাতালে ছুটে যান শেহনাজ।

যদিও পরে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই নাকি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন সিদ্ধার্থ। অভিনেতা ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু জন জানান, ১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন সিদ্ধার্থ। শরীর ভাল লাগছিল না তাঁর। তাঁর মা ও শেহনাজ দুজনেই সে সময় বাড়িতেই ছিলেন। প্রথমে লেবুর জল ও পরে সিদ্ধার্থকে আইসক্রিম খেতে দেন তাঁরা। কিন্তু তা কাজে লাগে না। অস্বস্তি বাড়তে থাকে ক্রমশ। এর পর শেহনাজ ও তাঁর মা তাঁকে আরাম করতে বলেন। কিন্তু ঘুম আসছিল না কিছুতেই। শেহনাজকে পাশে থাকতে বলেন সিড। পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে বলেন। শেহনাজ তাই করতে থাকেন। শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ, সূত্র বলছে তেমনটাই। ঘুমিয়ে পড়েন শেহনাজও। পর দিন সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে শেহনাজ দেখেন ঠিক একই রকম ভাবে ‘ঘুমিয়ে’ আছেন সিদ্ধার্থ। তিনি ডাকতেই বুঝতে পারেন, সিদ্ধার্থ সাড়া দিচ্ছেন না। ভয় পেয়ে পরিবারের বাকিদের ডাকতে ছুটে যান তিনি। ফোন করা হয় পারিবারি ডাক্তারকেও। তিনি এসেই বুঝতে পারেন সিদ্ধার্থ নেই। নিয়ে যাওয়া হয় কুপার হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বিগবস ১৩তে বিজয়ী হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। ওই শো’য়ে সিদ্ধার্থ ও শেহনাজের গিলের কেমিস্ট্রি ভালবেসেছিল দর্শক। যদিও তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ কথা স্বীকার করেননি তাঁরা। তবুও তাঁদের একসঙ্গে সময় কাটানো, নানা মুহূর্তকে ভালবেসে অনুরাগীরা তাঁদের ভালবেসে নাম দিয়েছিল ‘সিডনাজ’। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, সিডনাজের নাকি বাগদানও হয়েছিল। এ বছরেরই প্ল্যান ছিল বিয়ের। যদিও তা আর পূর্ণ হল না। শেহনাজ দ্রুত স্বাভাবিক হন, এখন এটাই প্রার্থনা ভক্তদের।

আরও পড়ুন- Sidharth Shukla: আলিয়ার বিপরীতে বলি-ডেবিউ, বচ্চন-ভক্ত সিদ্ধার্থের দীর্ঘ সময় কাটত জিমেই

আরও পড়ুন-‘এবার থেকে কুনজরে বিশ্বাস করব…’, সিদ্ধার্থের অকালমৃত্যু মানতেই পারছেন না ওঁরা!